আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকের এই মুহূর্তে আমি আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করার জন্য এসেছি।আজকের রেসিপিটি হলো কচুর ডাটা ভাজির রেসিপি।

কচু এমন একটি সবজি যার সবগুলো অংশই খাওয়া যায়।কচুর শাক,ডাটা,লতি,কচুর মুখী,কচুর কাঠ,কচুর ফুল।এসবকিছুই খাওয়া যায়,কোন কিছুই বাদ যায় না। তবে সবগুলো কচু আবার খাওয়া যায় না। এর মধ্যে কিছু কিছু না খাওয়ার মতও রয়েছে।এগুলো শুধুমাত্র খাওয়ার উপযোগী তা কিন্তু নয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শক্তি উপাদান। কচুর শাকে থাকে ভিটামিন-এ এবং এই সব উপাদান গুলোর মধ্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং আরো অন্যান্য কিছু উপাদান বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর এটি হাড় গঠনে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। কচুর বিভিন্ন রকম রেসিপি আমি উইঙ্কলেস দাদার কাছে দেখেছিলাম। যদিও তিনি এই কচুর ডাটা দিয়ে ঘন্ট তৈরি করেন। কিন্তু আমি এভাবেই ভাজি করে খেতে বেশ পছন্দ করি। আর আমি দাদার সেই রেসিপি দেখে ভেবেছিলাম কচু ডাটা পেলে ভাজি রেসিপি তৈরি করব। সেই হিসেবে আজকে তৈরি করে ফেললাম। যাইহোক এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। চলুন তাহলে রেসিপিটি শুরু করা যাক।
কচুর ডাটা ভাজি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
উপকরণ| পরিমাণ |
| কচুর ডাটা | পরিমাণ মত |
| শুকনো মরিচ | ১০/১২টি |
| পেঁয়াজ কুচি | ১ টি |
| রসুন কুচি | বড় ২ টি |
| লবণ | ১ চা চামচ |
| তেল | ২ টেবিল চামচ |
| পানি | ২ কাপ |

প্রথমে কচুর ডাটা গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম পানি দিয়ে।
এখন চুলায় কড়াই বসিয়ে দিলাম। তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে কচুর ডাটা গুলো দিয়ে দিলাম এবং সিদ্ধ করতে থাকলাম।
সিদ্ধ করা কচুর ডাটা গুলো একটি চালনির মধ্যে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিলাম এবং একটু চাপ দিয়ে অবশিষ্ট পানি ভালোভাবে ঝরিয়ে নিয়েছি।

সে কড়াইটি পুনরায় চুলায় দিয়ে দিলাম। শুকনো হয়ে আসলে এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তারপর এর মধ্যে রসুন কুচি, শুকনো মরিচ কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকলাম কিছুক্ষণ।
এই ধাপে আমি সেই ভাজা উপকরন গুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর আবারো ভালোভাবে মিশিয়ে ভাজতে থাকলাম। কিছুটা বাদামী বর্ণের হয়ে এলে এর মধ্যে পানি ঝরানো কচুর ডাটা গুলো দিয়ে দিলাম।
সর্বশেষ এগুলোকে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে থাকলাম যতক্ষণ না পর্যন্ত রান্না হয়ে আসে। আর আমি প্রায় দশ মিনিটের মত এগুলো ভেজে নিয়েছি এবং টানটান রেখেই চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার কচুর ডাটার ভাজি।



আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকের এই রেসিপিটি। আপনাদের মতামত জানতে চাই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

|
|---|
https://twitter.com/bristy110/status/1608777954741608452?s=20&t=DDD2LeNR46q6O26q3dZ5Ig
কচুর ডাটা ভাজি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন কচুর কোন অংশই বাদ যায় না। কচুর সব অংশই খাওয়া যায়। কচু সবগুলো অংশই খেতে আমার খুব ভালো লাগে। কচুর ডাটা ভাজি খেতে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমার অনেক প্রিয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময় এই কামনা করি।
কচুর ডাটা ভাজি খেতে আমার দারুন লাগে। তবে কিছু কিছু আছে যেগুলো গালে চুলকায়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কচু ভাজি করেছেন তবে আমরা কচু ভাজির মধ্যে একটু তেতুল দিয়ে থাকি।এই তেতুল দেয়ার কারণে কচু ভাজির স্বাদ আরো বেড়ে যায়। তবে এটা ঠিক বলেছেন কচুর কোন অংশে বাদ যায় না। প্রতিটা অংশের খাওয়ার উপযোগী। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন একটু তেতুল দিলে তখন আর গলা চুলকায় না এবং স্বাদও অনেক বেড়ে যায়। ধন্যবাদ যথাযথ মন্তব্য করার জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন আসলে কচুর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি খেতেও অনেক মজার হয়।কচু দিয়ে বেশ মজার মজার রেসিপি তৈরি করা যায়।আপনি বেশ সুন্দর করে কচুর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যেটা খেতে অনেক সুস্বাদু হবে দেখে বোঝা যাচ্ছে।ডাটা দিয়ে তৈরি করা রেসিপিটি দেখতে অনেক ইয়াম্মি দেখাচ্ছে।
আপনার সাথে আমিও একমত, আসলে কচুর যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি খেতেও অনেক মজার হয়।
কচুর ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে বললে তা কখনোই শেষ করা যাবে না। আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী এটি। কচুর ডাটা ভাজি রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। কচুতে আমি কখনো রসুন কুচি করে ব্যবহার করিনি। আবার শুকনো মরিচ দিয়েও ভাজি করিনি। আপনার মত এভাবে একবার তৈরি করে দেখব।
একদিন আমি যেভাবে করেছি এভাবে রান্না করে খাবেন,দেখবেন অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তখন থেকে সবসময় খাবেন ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন কচুর কোনো অংশই বাদ দেওয়া যায় না। সব অংশই খাওয়া যায়। কচু শাক ভাজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে কচুর ডাটা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা খেয়েছি এভাবে কখনো কচুর ডাটা ভাজি করে খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু তাহলে একদিন খেয়ে দেখবেন, অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আর আমাদের এরিয়াতে তো অনেক প্রিয়।
কচুর ডাটা ভাজি লেবু দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আমাদের দিকে এটাকে কচুর লতি বলা হয়। কচুর ডাটা খেতেও যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর উপকারিতাও অনেক। আপনার রেসিপির কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে আপু। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন কচুর ডাটা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর উপকারিতাও অনেক। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।