ভ্রমণ: চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে যাওয়া এবং ঘুরাঘুরি। পর্ব-১
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হয়ে গেলাম একটা ভ্রমন পোস্ট নিয়ে। আসলে গত বছর যখন ডিসি পার্ক শুরু হয়েছিল তখন আমরা প্রথমে কক্সবাজার ছিলাম। কিন্তু ডিসি পার্কের আয়োজন শেষের দিকেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার আগে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছিলাম। সেটাও আপনাদের মাঝে গত সপ্তাহে শেয়ার করেছি। আর আজকে চলে এলাম ডিসি পার্কে যাওয়ার প্রথম দিকের অংশগুলো শেয়ার করার জন্য। ডিসি পার্ককে এক কথায় ফুলের মেলা বলা যায়। যেখানে হাজার হাজার রকমের ফুল, ডেকোরেশন সবকিছু মিলিয়ে একটা সুন্দর জায়গা তৈরি করা হয়েছে।
প্রথমেই আমরা হাইস থেকে নেমে টিকিট সংগ্রহ করে নিলাম। কারণ সেখানে তো অবশ্যই টিকেট লাগে। জনপ্রতি ৫০ টাকা করে টিকিট নিয়েছিল।আমরা অনেকজন ছিলাম। সবার জন্য টিকেট নিয়ে নিয়েছিলাম। তারপরে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখি দারুন একটা জায়গা। এটা দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। গত সপ্তাহের আই লাভ ফ্লাওয়ার এই জিনিসটা শেয়ার করেছিলাম। তবে আজকে দূর থেকে পুরো এরিয়াটাই দেখালাম। অনেক বড় করে এটা তৈরি করা হয়েছে পানির উপরে। যেটা দেখতে দারুন লাগছিল। দূর থেকে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম এবং সেলফি তুলে নিলাম। আসলে এটা মাঝ বরাবর জায়গায়। এখান থেকে দুদিকে যাওয়া যায়। কোন দিকে যাব সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাই সবাই মিলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম বসার জায়গা গুলোতে।
যাইহোক বিশ্রাম নিয়ে কিছুক্ষণ বসে আমরা কিছু খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। কারণ সকালে সেখানে গিয়ে তেমন কিছু খাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই যেহেতু দুপুরের সময় হয়ে এসেছে তাই ভাবলাম সবাই মিলে হালকা নাস্তাটা সেরে নেই। যাইহোক নাস্তা করার পর আমরা হাঁটা শুরু করলাম ডান পাশের দিকে। অর্থাৎ যেদিক থেকে শুরু করে ফুলের জায়গা গুলো প্রথমে পড়বে। যেতে যেতে চারপাশের ফটোগ্রাফি করছিলাম। জায়গাটা এত সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে যে ছবি কোন দিকে তুলব সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। অনেকগুলো ফটোবুথ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সবাই গিয়ে ফটোগ্রাফি করছিল।
মাঝে মাঝে মজা লাগে একটা বিষয়, আমরা ফটোগ্রাফি করি এখানে শেয়ার করার জন্য। কিন্তু অন্যরা ফটোগ্রাফি করে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন স্টোরি দেয়ার জন্য। যাইহোক এখানে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এদিকে আমার ছেলে নিজে নিজেই তার দাদু আর নানুর হাত ধরে হাটা শুরু করছিল। যেহেতু তারা গিয়েছিল ওই হিসেবে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। হাটতে হাঁটতে আশেপাশের পরিবেশের ছবি তুলছিলাম। গাছে গাছে কত সুন্দর করে ডেকোরেট করা হয়েছে। এই গাছগুলো কিভাবে এত সুন্দর করে সাজিয়েছে সেটাই ভাবছিলাম।
এই যে প্রত্যেকটা গাছে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং থেকে শুরু করে কিছু পাখির বাসা তার পাশাপাশি বড় বড় লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে ফটোবুথ রয়েছে সেখানেও বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। যাতে করে সবাই ফটোগ্রাফি করতে পারে। দারুন থিমে পুরো এরিয়াটা সাজিয়েছে। আবার দেখলাম ভিন্নভাবে ছোট ছোট ঘর গুলো সাজিয়েছে। যেখানে বসে মানুষ বিশ্রাম নিতে পারে। চারিদিকে এত মানুষ যে কোথাও যাওয়ার বা বসার মত জায়গা পাচ্ছিলাম না।
যাই হোক এই ছিল ডানপাশের এক পাশ ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত।যেখানে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছি এবং আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। পরবর্তী পর্যায়ে অপরদিকে যাওয়া এবং ফুলের ফটোগ্রাফি করা সব কিছু নিয়ে আবার হাজির হব। আশা করি আমার আজকের ব্লগটা আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bristy110/status/1890250902000505214
চট্টগ্রামে ডিসি পার্কে বেড়ানোর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন উপরে খুব ভালো লাগলো আপু। ঘোরাফেরের মাঝে মাঝে চমৎকার সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি। মাঝেমধ্যে ঘোরাফেরা করলে এমন অনেক ভালো থাকে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
চট্টগ্রাম ডিসি পার্ক এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল যে দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ছবিগুলো শেয়ার করে ভালো লাগলো।
চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে যাওয়া এবং ঘুরাঘুরির ১ম পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার প্রথম পর্বটি পড়ে মনে হলো পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আপনি সেখানে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার প্রথম পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো, আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া পার্কটি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। ফুলে ফুলে ভরপুর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি পোস্টে ডিসি পার্কের কিছু কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আজকে ডিসি পার্কের কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই জায়গাটাতে সিজনে প্রত্যেক বছর খুব সুন্দর ফ্লাওয়ার ফেস্ট এর আয়োজন করা হয়। তবে আমার কখনো সেখানে যাওয়া হয়নি। যাই হোক আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তাই ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফি রেনডম ফটোগ্রাফি হিসেবে শেয়ার করা যাক। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনি দেখছি ডিসি পার্কে ঘুরতে গেলেন। আর ডিসি পার্কের সৌন্দর্যের খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। তবে এই পার্ক খুব চমৎকারভাবে করেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং পরিবেশ সবকিছু অসাধারণ। আর এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে মন এমনিতে ভালো হয়ে যায়। খুব সুন্দর করে ডিসি পার্কে ঘুরতে যাওয়া প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডিসি পার্ক এর মত জায়গা গুলো ঘুরতে পারলে খুবই ভালো লাগে। কারণ অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করা যায়। ধন্যবাদ আপু
অনেকের কাছ থেকে চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে ঘুরাঘুরির ব্লগ পড়েছি। ইচ্ছে ছিল এবারে চট্টগ্রামে যেয়ে দেখে আসব। কিন্তু আর যাওয়া হলো না। হয়তো কোন একদিন গেলে ঘুরে আসবো। আপনাদের ঘোরাঘুরির পর্ব দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমার কাছে এই পার্ক অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
প্রতিবছরই তো করা হবে আপু। কখনো সময় পেলে ঘুরে আসবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
চট্টগ্রামের ডিসি পার্কের কথা অনেক শুনেছি। অনেক ফটোগ্রাফিও দেখেছি। সেখানে অনেক ফুলের বাগান রয়েছে। জায়গা টা অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া জায়গাটা অনেক সুন্দর। দেখতে বেশ ভালো লাগে। এখানে ঘুরে আসতে পারলে তো মনটা ভালো হয়ে যায়।
ডিসি পার্কটা অনেক সুন্দর এবং অনেক বিস্তৃত একটি জায়গা। প্রতি বছর সেখানে ফুলের উৎসব হয়। এটা আসলে চট্টগ্রামবাসীর জন্য অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। আর সৌভাগ্যবশত আমরাও সেখানে যেতে পেরেছি। যাই হোক চমৎকার কিছু ফটোচিত্রের সাথে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেছো। বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
ডিসি পার্ক এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যে সেখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে করেছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমায়, ভালো লাগলো মন্তব্য দেখে।