আমড়ার কাস্মীরী আচার রেসিপি। ১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
আসসালামুআলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আপনাদের সামনে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি হলো আমড়ার কাস্মীরী আচারের রেসিপি। এটি খুবই মজাদার একটি আচার।
এই লোভনীয় আচার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ নিম্নরূপ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আমড়া | ১৫ টি |
চিনি | ৩ কাপ |
সরিষার তেল | আধা কাপ |
শুকনো মরিচ | ৮-১০ টি |
লবণ | ১ টেবিল চামচ |
রসুনবাটা | ১টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ২ টি |
দারচিনি | ছোট ১ টুকরো |
পানি | ১ লিটার |
আচার তৈরির পূর্বপ্রস্তুতি
আমড়াগুলো নিয়ে এগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। খোসা ছাড়ানোর পর কাটা চামচের সাহায্যে আমড়াগুলোকে ছিদ্র করে নিলাম। ছিদ্রগুলো পুরো আমড়া জুড়ে করলাম,যাতে খুব তারাতারি এটি সিদ্ধ হয়ে যায়।
এরপরে একটি বড় আকারের বাটিতে ৪ কাপ পানি দিয়ে এরমধ্যে ১ টেবিল চামচ লবণ এর অর্ধেক পরিমাণ লবণ দিলাম। এরমধ্যে আমড়াগুলো দিয়ে দিলাম৷ কিছুক্ষণ এর জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম, যাতে আমড়ার মধ্যে যে টক থাকে তা সরে যায়।
- কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর আমড়াগুলোকে একটি পাতলা কাপড়ে বেধে ঝুলিয়ে রাখলাম। এইভাবে আমড়ার টক ঝরিয়ে নিলাম।
- শুকনো মরিচ গুলো থেকে ৫/৬ টা মরিচ কাচি দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।
এগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এবং খাওয়ার সময়ও খুব নরম হয়ে যায়।
আচার তৈরির পদ্ধতিঃ
- একটি আচার তৈরির কড়াই নিলাম। এর মধ্যে সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার পর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম রসুনবাটা। রসুনবাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম। এরপর এরমধ্যে তেজপাতা আর দারচিনি দিয়ে দিলাম।
- এরপরে দিয়ে দিলাম কেটে রাখা শুকনো মরিচ। এগুলোকে ভালোভাবে তেলের মধ্যে ভেজে নিলাম। কিছুক্ষণ পর লবণ আর চিনি দিয়ে দিলাম ।
- চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে পানি দিয়ে দিলাম। আমি অল্প অল্প করে সবটা পানি দিয়ে দিলাম। পানি দিয়ে ভালোভাবে সব মিক্স করে নিলাম। এখন সুন্দর একটা রঙ দেখা যাচ্ছে। চিনি আর পানির মিশ্রণটি দেখতেই অনেক সুন্দর লাগতেছে।
- আগুন হাই হিট এ দিয়ে এগুলো রান্না করতে থাকলাম। পানি যখন সিদ্ধ হয়ে এলো তখন টক ঝরানো আমড়াগুলো দিয়ে দিলাম। আমড়া দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম। এরমধ্যে বাকি শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম।
- ধীরে ধীরে পানি শুকিয়ে আসতে লাগল তখন আমি বারবার নাড়তে থাকলাম যাতে লেগে না যায়। চিনি আর পানি যখন শুকিয়ে ঘন হয়ে আসে তখন আমড়াগুলো বারবার উল্টো করে দিয়ে নাড়লাম। যাতে চিনির পানি ভালোভাবে আমড়ার মধ্যে ঢুকে যায়।
- আচারের ঝোল যখন একেবারে ঘন হয়ে আসে তখন চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে নিলাম। আর ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিলাম।
- এইভাবে খুব সহজে এবং তারাতারি তৈরি করে পেললাম মজাদার আমড়ার কাস্মীরী আচার।
- এই আচার এইভাবেই একটি কাচের বয়ামে রেখে ফ্রিজে রেখে দিলাম।ঠান্ডা হয়ে এলে এই আচার খেতে খুব ভালো লাগে৷ আশা করি আপনাদের কাছে এই আচারের রেসিপিটি খুব ভালো লাগবে।
কাশ্মীর নামটা শুনেই একটু আলাদা ভাবে নিয়েছিলাম আচারটি। সত্যি আচারের রেসিপি টা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যিই আচারটি খুবই মজার ছিল।
আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে। এই আচারের কথা কথা আমি শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। ফল হিসাবে আমড়া আমার অনেক পছন্দের। আচারটা দেখতেও অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টের আর একটা জিনিস আমার পছন্দ হয়েছে। আপনি মার্কডাউন সুন্দর ভাবে ব্যবহার করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয়। আপনাদের সুন্দর মতামতের জন্যই আমি উৎসাহ পাই, আরও ভালো কিছু করার। সবসময় ভালো কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
ওয়াও, এটা খুব সুস্বাদু, এবং সুস্বাদু,
ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনাকে স্বাগত
দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্টটি হয়েছে। অনেক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে আপনাকে ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। আমি চেষ্টা করব সবসময় আপনাদের সাথে থাকার।
আচার দেখলেই আমার জিভে জল চলে আসে, আচারটা দেখে শুধু খেতে মন চাচ্ছে, আমাদের সাথে এমন একটি জিভে জল আনা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগল আপনার সুন্দর মতামত প্রদানে। আমিও আচার খেতে পছন্দ করি, তাই বানিয়ে নিলাম রসালো এই আচার।
দারুন তো আজ আরো একটি রেসিপি নাম জানলাম এবং শিখেনিলাম। যদিও আমাদের বাড়ীতে আমড়ার আচার তৈরী করা হয় কিন্তু সেগুলো এভাবে না। পদ্ধতিটি আমার ভালো লেগেছে, রসে ভরা আচার, দেখেই লোভ লাগছে। ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য। খুব সহজে এটি বাসায় তৈরি করতে পারবেন, খেতে খুবই মজার৷
বিন্দাস লাগছে দেখতে। নামটাই একটা আলাদা স্বাদ যোগ করেছে মনে হচ্ছে। এমন একটা রেসিপি মজা না হয়ে কই যাবে!।
স্বাদ এতোটাই ভালো যে আচার করার পর এখন আর নাই-ই। খাওয়া হয়ে গেছে😇
দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে, জিভে জল চলে এল। আপনি ত মনে হয় পাঁচপোড়ন ব্যবহার করেন নি। যদিও আমাদের বাসায় আমরা অন্যভাবে আমড়ার আচার বানায়। অনেক মজা হয়েছে মনে হচ্ছে।
না ভাইয়া, এই আচারে পাঁচপোড়ন ব্যবহার করা হয় না। এই আচারের স্বাদ হয় হালকা টক-ঝাল আর একটু বেশি মিষ্টি, রসালো ভাবটা দেখতেই খুব ভালো লাগে খেতেও অনেক মজার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্য।