শূন্য পকেট মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।পর্ব-২
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে একটি গল্প নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
একদা আকস্মিক এক দুর্ঘটনার কারণে তার অনেক বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। আর সেই ক্ষয়ক্ষতিকে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য তার গচ্ছিত অর্থ সম্পদ সবগুলোর প্রয়োজন পড়ে যায়। একটা সময় দেখা যায় সেই দুর্ঘটনাকে ব্যাকআপ দিতে দিতে নিজে সর্বোচ্চ হারা হতে যাচ্ছেন।
সেই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন তিনি যাদেরকে সহযোগিতা করেছেন এবং যারা এখন ভালো একটি পর্যায়ে রয়েছে, তাদের কাছে সহযোগিতার জন্য হাত পাতেন। তখন সেই ব্যক্তিগণ তাকে বিভিন্ন কলাকৌশলে রিফিউজ করে।যদিও প্রথম প্রথম সরাসরি রিফিউজ করেনি। পরক্ষণে যখন দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার সাহায্যের জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন তখন সরাসরি রিফিউজ করেছে এবং খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন করিম সাহেবের সাথে।
গ্রামে এরকম অসংখ্য লোক ছিল যাদেরকে অনেক বেশি সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন। এখন তাদের প্রকৃত চেহারা করিম সাহেব দেখতে পাচ্ছেন। অনেকে রয়েছে যাদেরকে করিম সাহেব বাজার করে দিতেন তারা এখন বাজারে গেলে সর্বোচ্চ এক কাপ চা অফার করেন করিম সাহেবকে।আবার অনেকে রয়েছে করিম সাহেব কে দেখে পালিয়ে যান বাজারের চিপা গলিতে যাতে করে কোন সাহায্য না চাইতে পারে।
যাইহোক এমতাবস্থায় করিম সাহেবের দিনকাল খুবই কষ্টে যাচ্ছে।তিনি প্রতিটা পদে পদে বুঝতে পারছেন মানুষ কতটা নিষ্ঠুর এবং স্বার্থপর। কিন্তু তার তো কিছুই করার নেই এখন শুধু মানুষের কাছ থেকে উপকারের অপকার প্রতিদান পাওয়া ছাড়া।
এখন তিনি শূন্য পকেটে বিচরণ করেন অথচ একটা সময় ভরা পকেটে বিচরণ করতেন। অসংখ্য লোক তার আশে পাশে আনাগোনা করতো পাওয়ার জন্য। আর এখন তাকে দেখলেই দূরে পালিয়ে যায় যাতে করে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না চাইতে পারে।
তবে এখানে মূল বিষয় হচ্ছে করিম সাহেব তখন বুঝেনি যে তিনি কাকে সহযোগিতা করছেন এবং মানবতার প্রতিদান এভাবে ফিরে আসবে সেটা আসলে তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি। বর্তমান সমাজের মানুষের মনের রূপরেখা তার মাঝে এখন পুরোই পরিষ্কার। তবে তার কিছুই করা ছিল না।
(চলবে.......)
https://steemit.com/hive-129948/@bristy1/hcchu
(গত পর্বের পোস্ট লিঙ্ক)
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://twitter.com/bristy110/status/1629039645089742849?s=20
আমরা অনেকেই হয়তোবা এরকম যারা উপকার করে কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তার প্রতিদান হিসেবে কোন কিছুই পায় না। যদিও প্রতিদান কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু সময় সবকিছুই দেখার সুযোগ করে দেয়। যাই হোক গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আমরা অনেকেই হয়তোবা এরকম যারা উপকার করে কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তার প্রতিদান হিসেবে কোন কিছুই পায় না।
জি আমিও সেটা মনে করি এরকম যারা উপকার করে কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তার প্রতিদান হিসেবে কোন কিছুই পায় না।
আপু, গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে, উপকারী গাছের ছাল থাকেনা। করিম সাহেবের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। করিম সাহেবের সচ্ছলতার সময় তিনি যাদের সাহায্য করেছেন, তারাই আজ করিম সাহেবের অসচ্ছলতার কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমান সময়ে লোভী ও স্বার্থপর মানুষের অভাব নেই। আপনার গল্পে করিম সাহেবের পরিণতি দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। করিম সাহেবের শেষ পরিণতি জানার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ
জি ভাইয়া করিম সাহেবের সচ্ছলতার সময় তিনি যাদের সাহায্য করেছেন, তারাই আজ করিম সাহেবের অসচ্ছলতার কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
সত্যি আপু করিম সাহেব কেনো আমার মনে আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক আছে। আসলে বেশি ভালো মানুষের দশা অবশেষে এমনি হয়। করিম সাহেবের জন্য সত্যি অনেক খাবার লাগল।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক আপু বেশি ভালো মানুষের দশা অবশেষে এমনি হয়। করিম সাহেবের জন্য সত্যি অনেক খাবার লাগল।
এটাই বাস্তব আপু একসময় যখন পকেটে অনেক টাকা থাকবে তখন আত্মীয় স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব হবে না। কিন্তু পকেট যখন শূন্য হয়ে যাবে তখন কেউ থাকবে না। সবাই তাকে এড়িয়ে চলবে। যাই হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি আপু। এই পর্বটি অনেক ভালো লেগেছে।
একদম ঠিক আপু একসময় যখন পকেটে অনেক টাকা থাকবে তখন আত্মীয় স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব হবে না।
তবে আপু এটাই বাস্তব যখন করিম সাহেবের কাছে ছিল তখন তার আশেপাশে অনেক লোক ছিল। তার কাছ থেকে পাওয়ার জন্য সব সময় তার পাশে ছিল। এখন তার খারাপ অবস্থা এই কারণে তার থেকে সেই লোকগুলো এখন দূরে আছে এবং তাকে দেখলে পালিয়ে যায়। আসলে আমাদের সমাজে এই ধরনের লোক গুলো অনেক কষ্ট পায়। তবে আপু সুসময় যারা পাশে থাকে দুঃসময় আসলে তারাই বড়ই কষ্ট দেয়। আশা করি পরে করবো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
জি ঠিকই বলেছেন এখন তার খারাপ অবস্থা এই কারণে তার থেকে সেই লোকগুলো এখন দূরে আছে এবং তাকে দেখলে পালিয়ে যায়।
আপু শূন্য পকেট মানুষকে যে অনেক কিছু শেখায় তা হারে হারেই বুঝতে পেরেছে করিম সাহেব। উপকারের প্রতিদান তিনি ভাল করেই পেয়েছেন। এই ঘটনা গুলো আমাদের সমাজের বাস্তবতার সাথে অনেক মিল আছে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক ভাইয়া শূন্য পকেট মানুষকে যে অনেক কিছু শেখায় তা হারে হারেই বুঝতে পেরেছে করিম সাহেব। উপকারের প্রতিদান তিনি ভাল করেই পেয়েছেন।
টাকা ছাড়া একটা মানুষ এই সমাজে যে কতটা অবহেলিত এবং অপমানিত হয় সেটি আপনি আপনার পোস্টে অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। করিম সাহেবের যখন অনেক টাকা পপয়সা ছিল তখন সবাইকে সাহায্য করেছেন আজ যখন করিম সাহেব অভাবে পড়েছেন তখন তিনি এই দুনিয়ার মানুষের আসল চেহারাটা করিম সাহেব দেখতে পাচ্ছেন। ধন্যবাদ আপু, পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
একদম ঠিক ভাইয়া করিম সাহেবের যখন অনেক টাকা পয়সা ছিল, তখন সবাইকে সাহায্য করেছেন। আজ যখন করিম সাহেব অভাবে পড়েছেন, তখন তিনি এই দুনিয়ার মানুষের আসল চেহারাটা করিম সাহেব দেখতে পাচ্ছেন।