" সুস্বাদু চামঘাস ভর্তা রেসিপি " || ১০ % বেনিফিশিয়ারি সাইফক্স এর জন্য
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম / আদাব
আজ ২২ জ্যৈষ্ঠ - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ - রোজ রবিবার - ৫ -জুন -২০২২ |
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দ
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার ও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। |
---|
সম্পূর্ণ তৈরি ভর্তা রেসিপি
প্রতিদিনের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসে হাজির হলাম। নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে চামঘাস ভর্তা রেসিপি শেয়ার করবো। এই গাছের সঠিক নাম কি তা আমার জানা নেই। তবে গ্রাম বাংলার মানুষ একে চামঘাস বলে জানে। এটি এক ধরনের সবজি বলা যায়। একে যে কোন সবজি সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে। এই চামঘাসের ভর্তা আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে কারণ এর ভর্তার স্বাদ একদম টাকি মাছের ভর্তার মতো লাগে। যারা কখনো তৈরি করে খাননি তারা চাইলে একবার বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। একবার খেলে আবার ও খেতে ইচ্ছা করবে। আমার আম্মু আমাদের বাসায় প্রায় সময় এই রেসিপিটি তৈরি করে। এই রেসিপিটি তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। আশা করি আমার তৈরি রেসিপি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক চামঘাস ভর্তা রেসিপি। |
---|
প্রয়োজনীয় উপকরণ
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | চামঘাস | পরিমাণ মতো |
২. | পেঁয়াজ কুচি | পরিমান মতো |
৩. | কাঁচা মরিচ | ৭টি |
৪. | লবণ | স্বাদমতো |
৫. | সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
৬. | রসুন কুচি | পরিমাণ মতো |
রান্না করার প্রক্রিয়া
রান্না করার প্রক্রিয়া
ধাপ ১
ধাপ ১
প্রথমে চামঘাস গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নেই। এরপর ছুরি সাহায্যে ছোট ছোট করে কেটে নেই।
ধাপ ২
ধাপ ২
এখন চুলোর মধ্যে কড়াই বসিয়ে দেই। এরপর কড়াই এর মধ্যে কেটে রাখা চামঘাস গুলো দিয়ে নেই ভেজে নেওয়ার জন্য।
ধাপ ৩
ধাপ ৩
চামঘাস গুলো কিছুক্ষণ ভেজে নেই। কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর কালো কালো হয়ে এলে নামিয়ে নেই। এরপর চামঘাস গুলো একটি গ্লাসের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নেই ।
ধাপ ৪
ধাপ ৪
এরপর কড়াই এর মধ্যে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি ,কাঁচা মরিচ, ও রসুন ভালো ভাবে ভেজে নেই। এরপর সব গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নেই।
ধাপ ৫
ধাপ ৫
এরপর পরিমাণ মতো সরষের তেল ভর্তার মধ্যে দিয়ে নেই। এরপর সব গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নেই। ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত করে নেই।
অবশেষে তৈরি হয়ে এলো সুস্বাদু চামঘাস ভর্তা রেসিপি । আশা করি আমার তৈরি করা এই রেসিপিটি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের মহা মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রেসিপি | সুস্বাদু চামঘাস ভর্তা |
---|---|
ছবি তোলার মাধ্যম | Realme c1 |
ফটোগ্রাফার | @bobitabobi |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি মোছাঃ ববিতা আক্তার বিথী। আমার ইউজার নেম @bobitabobi। আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমার ভালো লাগে বাংলায় কথা বলতে। এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার পাশে থাকবে। আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এসে উপস্থিত হতে পারি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
ধন্যবাদ সবাইকে
অঞ্চলভেদে একই জিনিসের অন্যান্য নাম হয়ে থাকে আমাদের এদিকে এটার নাম বলে খার কচু। ভর্তা অথবা ঘন্ট করে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে তবে এর রেসিপি প্রস্তুত করতে হলে খুবই সতর্কতার সাথে প্রস্তুত করতে হয় কেননা রেসিপিটি যদি সব ধরনের মসলা এবং সিদ্ধ ভালো না হয় তাহলে নিশ্চিত গলা ধরবে। যাইহোক আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে সে রকম হবে না খেতে খুব মজা হবে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া অঞ্চলভেদে এক জিনিসের একক নাম থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া
এই প্রথম চামঘাস এর নাম শুনলাম আপু। এর আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না খাওয়া তো দূরের কথা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে। খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই চামঘাস খুব একটা পাওয়া যায় না আপু, তা আপনি নাও দেখতে পারেন
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
চামঘাস আমি আগে কখনো খাইনি দেখিও নি। এই প্রথম দেখলাম। এটা খেতে কেমন তাও জানিনা। দেখে মনে হচ্ছে খুব মজাদার। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন চামঘাস ভর্তা খেয়ে দেখব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু অবশ্যই বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খেতে অনেক সুস্বাদু লাগবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
এই রেসিপিটার সাথে আমি একদমই পরিচিত নই ।হয়তোবা এর আগে কখনো নামও শুনিনি। তবে রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি বাসায় একদিন তৈরি করে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু
,
এই প্রথম নাম শুনলাম,চামঘাস। টাকি মাছ মত খেতে,তাহলে তো ভালোই। মাছ ছাড়া মাছের ভর্তা। যাই হোক প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু একদম টাকি মাছের ভর্তার মতো লাগে। ধন্যবাদ
চামঘাস কি জিনিস । আগে তো কখনো নাম শুনি নি । কিন্তু যে কোন ভর্তা আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। যেকোনো কিছুই ভর্তা করে খেলে খুবই ভালো লাগে। আপনার চামঘাস এর ভর্তার রেসিপি মনে হচ্ছে যে সুস্বাদু হয়েছে।
এই সবজি সঠিক নাম কি তা আমি জানিনা আপু। তবে আমাদের এদিকের মানুষ চামঘাস বলেই চেনে। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপু।
চামঘাস ভর্তা রেসিপি আমার কাছে সম্পূর্ণ ইউনিক লেগেছে। এছাড়া চামঘাস এর নাম এই প্রথম আমি শুনেছি ।তাই এই ঘাসটির নাম আমারও জানা নেই ।তবে চামঘাস এর ভর্তা যেহেতু টাকি মাছের মত লাগে তাহলে এই ভর্তা টি অনেক সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি কখনো চোখে পড়ে তাহলে একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ
যেকোনো ভর্তা আমার খুবই পছন্দের। ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে আসলে বেশ ভালো লাগে। তবে আমি এই প্রথম চামঘাস নাম শুনলাম। তবে খেতে নাকি টাকি মাছের মতো তাহলেতো ভর্তা খেতে অনেক বেশি মজার বোঝাই যাচ্ছে।
আপনার মতো আমার কাছেও যেকোনো ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে
চামঘাস ভর্তা রেসিপি খুবই লোভনীয় লাগছে। তবে চামঘাস এই নামটি আমি প্রথম শুনলাম। এর আগে কখনো শুনিনি। তবে আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।