বৃষ্টি ভেজা গোধূলি বেলায় তালবান্ধায়।।১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে আজকে বিকেল এর কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।সামনে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব।
সারাবছর অধীর আগ্রহে সবাই অপেক্ষায় থাকে এই পাঁচটা দিনের।মায়ের আগমনে সব কিছু মঙ্গলময় হয়ে ওঠে।দুঃখ অসুখ ভুলে মানুষ এই দিনটা তে ঘরে আনন্দের প্রদীপ প্রজ্বলিত করে।জানি সময় সর্বদা একরকম যায় না।জীবনে ওঠা পড়া থাকবেই।তাই তো মানব জীবন এতো দুর্লভ, এতো আকর্ষণীয়।
বহুদিন পর আবার গেলাম নিউ ব্যারাকপুর এর তালবান্ধা জায়গাটিতে।এখানে আমি কি কাজে যাই মোটামুটি আপনারা যারা আমার ব্লগ অনুসরণ করেন সবাই জানেন।হ্যাঁ, হাঁস কিনতে গেছিলাম।আজকে কিছু কাজ ছিলো।বেশ কিছু মেডিসিন অর্ডার করার ছিলো এবং সন্ধ্যায় পুজোর শপিং।
তাই বিকেলেই বেরিয়ে পড়লাম।কাজ গুলো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল তাই ভাবলাম যাই হাঁস কিনে নিয়ে আসি।আজকে বৃষ্টির দিনে একটু ভালো মন্দ খাওয়া যাক।তাই চলে গেলাম তালবান্ধায়।
গিয়ে দেখি আজকে মাত্র তিনটি দোকান খোলা আছেন।কি আর করা তাদের মধ্যে থেকে একটি দোকান থেকে ৬৪০ টাকার বিনিময়ে দুটি হাঁস কিনে নিলাম।এরপর শুরু হলো হাঁস এর মাংস প্রসেসিং এর কাজ।গরম জলে হাঁস রেখে তার লোম ছড়ানো হয়।এরপর পুরো body তে হলুদ লাগিয়ে আগুনে একটু হালকা করে ঝলসিয়ে নেওয়া হয়।
এটা করলে হাঁসের মাংসের স্বাদ অনেকটা বেড়ে যায়।তবে এই কাজ বেশ কিছুটা সময় সাপেক্ষ এর ব্যাপার।অন্তত দুটো হাঁস ready করতে মোটামুটি ৪০ মিনিট সময় তো লাগবেই।তাই আমরা তিনজন পাশের একটা চায়ের দোকানে বসে একটু চা খেতে খেতে আড্ডা দিতে লাগলাম।
এরপর রাস্তায় নেবে দেখি চারিদিকে দারুণ পরিবেশ।তাই টপাটপ কিছু ফোটোগ্রাফি করে নিলাম।বৃষ্টি শেষে গোধুলি বেলার আকাশ এর সৌন্দর্য আসলেই অন্যরকম।চোখ জড়িয়ে যায় হৃদয় ভরে যায়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
কলকাতা গেলে এইবার তালবান্ধা যেতেই হবে দেখছি। বারবার এতো নাম শুনি। আমি নিশ্চিত হাঁস গুলো বেশ ভালো। আর যদি ছাড়িয়ে রেডি করে দেয় তাহলে আরো চিন্তা কমে যায়।
তালবান্ধা দেশি হাঁস এবং দেশি মুরগি কেনার জন্য সবথেকে উত্তম জায়গা। এক সময় আমি নিজেও সপ্তাহে অন্তত একবার গিয়ে ওখান থেকে মাংস কিনে নিয়ে আসতাম। এখন যেহেতু বাড়ির অধিকাংশ লোক নিরামিষভোজী হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে আর যাওয়া হয়ে ওঠে না খুব বেশি একটা। যেহেতু এখানকার অধিকাংশ হাঁস মুরগি গ্রাম থেকে আসে সুতরাং দামে কিছুটা সস্তা এবং জিনিসও খুব ভালো পাওয়া যায় ।গিয়ে দেখতে পারো নির্মাল্য দা। ঠকবে না এটুকু বলতে পারি।
সপ্তাহে একবার। উরিববাস। নিরামিষভোজী হয়ে যাওয়ার আসল কারণ। হাঃ হাঃ কলকাতা গেলে গিয়ে ঘুরে আসতেই হয়।
Thanks for everything
হাঁসের মাংস স্বাদে সেই। খেয়েছি অনেকবার। তবে আপনাদের প্রসেসিং এর বিষয়টা ভালো লাগলো দাদা। আমাদের এখানে তো মেশিনে দিয়ে দেয়, মেশিন থেকেই মোটামুটি প্রসেসিং হয়ে বের হয়। তবে একবার আপনাদের ওখানের মতন প্রসেস করে খেয়ে দেখবো।
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা ,কোন এক সময় নিউ ব্যারাকপুরের এই তালবান্ধায় আমি দুই সপ্তাহ পর পর যেতাম এই হাঁস কেনার উদ্দেশ্য নিয়েই। তারপর অনেক অনেক দিন কেটে গেছে আর এখানে যাওয়া হয় না। সময়ের সাথে খাদ্যাভ্যাসের কিছুটা পরিবর্তন চলে এসেছে তাই আর যাওয়া না। ওয়েদার খারাপের কারণে আজ হয়তো তিনটি দোকানই খোলা ছিল কিন্তু অন্যান্য সময় অনেকগুলো দোকান খোলা থাকে। আজ কম দোকান খোলা ছিল বলেই হয়তো তোমাদের কাছ থেকে এক একটি হাঁস ৩২০ টাকা করে নিয়েছে। আমি যখন এখানে হাঁস কিনতে যেতাম মোটামুটি ২৮০ টাকা করে নিয়ে আসতাম এক একটি হাঁস।
দাদা খুবই ভালো লাগলো আপনার হাঁস কেনার গল্পটি। এছাড়া গোধূলি বেলার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল সেরকম । আরো ভালো লাগলো আপনি মাঝে মাঝে এখানে হাঁস কিনতে জান। আবার চায়ের দোকানে আড্ডায়ও বসেন।
হুম এর আগে তালাবাদ্ধা জায়গার নাম শুনেছি।আসলেই বৃষ্টির সময় হাঁস খাওয়া বেশ মজা,তবে হলুদ দিয়ে ঝলসালে যে টেস্ট বেড়ে যায় তা জানতাম না,আমাদের হলুদ ছাড়ায় ঝলসায়।
দাদা বৃষ্টির দিনে বাসায় একটু ভাল কিছু রান্না হলে ভাল লাগে। হাঁস কেনার জন্য অনেক দুর গিয়েছেন মনে হচ্ছে। কত ওজন হয়েছে জানিনা তবে ৬৪০ টাকার বিনিময়ে দুটি হাঁস মানে অনেক কমে পেয়েছেন, খুবই ভাল। আমাদের ঢাকায় কমপক্ষে ১০০০-১২০০ টাকা লাগবে ২ টা হাঁস কিনতে।
এই প্রসেস টা আমার কাছে দারুন লেগেছে। আপনি
গোধুলি বেলার আকাশের অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, অসাধারন। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা খুব ভালো লাগলো গোধূলি বেলার আকাশ দেখে । আর বৃষ্টির দিনে ভুনা খিচুড়ি আর হাঁস খুবই ভালো লাগে খেতে । আপনি ত দেখছি হাঁস এর প্রসেসিং টাও জানেন । খুব ভালো লাগলো শুনে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য । অনেক শুভকামনা দাদা আপনার জন্য ।
সম্ভবত অনেকদিন আগে দেখেছিলাম আপনি এই তালবান্ধা থেকে হাস মুরগি ক্রয় করে থাকেন। হাঁসের দাম দেখছি খুব একটা বেশি না ওখানে। এবং ঠিকই বলেছেন দাদা বাতাসে যেন পূজো পূজো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।।
দাদা খুব সুন্দর কিছু বৃষ্টি ভেজা গোধূলি বেলার ফটোগ্রাফি করেছেন। দাদা আপনাদের ওদিকে দেখছি হাঁসের দাম তেমন একটা বেশি না। তবে আপনি কিন্তু ঠিকই বলেছেন হাঁসের গায়ে হলুদ লাগিয়ে আগুনে ঝলসালে হাঁসের মাংসের স্বাদ বেড়ে যায়। আমরাও হাসের গায়ে হলুদ লাগিয়ে আগুনের ঝলসি নেই। দাদার দেখছি হাঁস প্রসেসিং সম্বন্ধে ভালোই ধারণা আছে। ধন্যবাদ দাদা বৃষ্টি ভেজা গোধূলি বেলায় তালবান্দায় কাটানো মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।