একটি দেশ ও তার হৃদয়ের কথা।
১৯৪৭ সাল ও দেশ ভাগ দুই বাংলার এক করুণ ইতিহাস।যার প্রত্যেক কোনে কোনে যন্ত্রনা অমর হয়ে আছে।যদি কেউ সময় পাও খোঁজ নিও ,তাদের দেখা মিলবে।বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা।এই ভাষাতেই প্রথম "মা" বলে ডাকা।তাই এই ভাষার কোনো তুলনা হয়না।কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকের কোলকাতার বাঙালিরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে লজ্জা পায়।কলকাতার বুকে বাঙ্গালী হয়ে হিন্দিতে কথা না বলতে পারা টা আনস্মার্ট পরিচয়।ভাগ্য ভালো বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ আছে যাদের মাতৃভাষা বাংলা।না হলে আজকে বাংলা নামক এই মধুর ভাষাটি বিলুপ্ত হয়ে যেত।এ সেই ভাষা যার মর্যাদা লড়াইয়ে ৫২ সালে কত মেধাবী তাজা প্রাণ নির্দ্বিধায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল।
Image
যদিও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এমন মানসিকতার একটা কারণ আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনুসন্ধান করেছি এবং একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল।দেশ ভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু বাঙালি অপার বাংলায় চলে আসে এবং এসে কঠিন জীবনযুদ্ধে পড়ে যায়।প্রতিনিয়ত নিজেকে বাঁচিয়ে আজ সমাজের একটা স্তরে এসে নিজেকে সুস্থির করেছে।
তাই বহুদিনের কঠিন জীবনযাপন ও টানাপোড়েন তাদের মনের দিক থেকে কঠিন ও একটু আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে।যাইহোক এপার বাংলা ও ওপার বাংলার মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার বন্ধন আরো অটুট হোক।
Image
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
অসাধারন
১. ডানের দিকের কলামে সখ্যতার বানান সংখ্যতা হয়ে গেছে।
২. দাদা, এখানে যে বাঙালী জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে - সেটা আমার মনের দাবি। দুই বাংলা এবং বাংলা ভাষাভাষি মানুষ সবাই সীমানাহীন একত্র হতে পারত! জানেন কি হত তবে?
আমাদের সংস্কৃতি রক্ষা পেত। বাঙালির যে সংস্কৃতি তা এখন হারতে বসেছে। ইংরেজী এবং হিন্দি ভাষার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য।
বুক ভরা ভালোবাসা দাদা। একই মন-অখন্ড বাঙালী মন লালন করছেন,জানতে পেরে খুবই ভালো লাগল।
ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।আমাদের নিজেদের স্বার্থে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি কে রক্ষা করা উচিত।তাহলে বাঙালি স্বত্তা বেঁচে থাকবে।
আপনাদের মেন্টালিটি দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। কিছু নিউজ পোর্টাল আছে সেখানে গিয়ে কমেন্ট সেকশনে প্রবেশ করে আমি অনেকবার হতাশ হয়েছি। সেখানে দেখতে পেয়েছি কিছু কলকাতা এবং বাংলাদেশি ইয়াং জেনারেশন নিজেদের মধ্যে বিশ্রী ভাষায় গালাগালি সহ ঘৃণা প্রকাশ করছে। তারা এটি কেন করছে সে বিষয়ে আমি অজ্ঞ। আমি সব সময় চেয়েছি ওপার বাংলা এবং বাংলা সব সময় মিলেমিশে থাকুক। কেন এত ঘৃণা থাকবে। ভালোবাসা ছড়িয়ে দিলে তাদের সমস্যা কোথায় আমি বুঝি না ।
তবে আপনাদের দেখে আমি ক্রমশই মুগ্ধ হচ্ছি। আপনাদের সাথে দীর্ঘ পথ একত্রে চলতে চাই এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাই।
শেষের অংশের দুই দেশের পতাকার সমন্বিত ছবিটির অর্থ বিশাল
ওটা আমিও লক্ষ্য করেছি।এটা সত্যি খুব বাজে ব্যাপার।কারণ এই অর্থহীন বাজে তর্কের কোনো মানে হয় না।বরং ভালোবাসায় অনেক সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।
জি দাদা… ভালোবাসা দিয়ে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব।
ভাষা কিংবা ভালোবাসা কোন সীমানা মানে না, এপার ওপার বলে কোন কথা আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু স্বার্থনেষী মহলের ইন্ধনে আজ আমরা দ্বিধাগ্রস্ত এবং নিজেদের মাঝে দেয়ার তৈরীতে ব্যস্ত।
শেষ অংশটুকু বরাবরের মতোই হৃদয় ছুয়ে দিয়েছে, সীমানা ছাপিয়ে ভালোবাসার বন্ধন থাকুক অটুব সব সময়। ধন্যবাদ
একদম ভাই।কিছু স্বার্থন্বেষী দের জন্যই এই দুই বাঙালির ভিতর একটা প্রাচীর গড়ে উঠেছে।কিন্তু আমরা চাই অতীতের মতো সব সবাই বাঙালি এক ও অভিন্ন থাকুক।
দাদা আপনার লেখাটি পড়ে এত ভালো লেগেছে যে আমি আমার মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছিনা। বাংলাদেশ আর ভারতের মাঝে যে বিদ্বেষের সম্পর্ক বর্তমান চলছে সেই সম্পর্কের ভেতরে দুই বাংলার মানুষের ভেতর হূদ্যতা হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ আমরা একই ভাষায় কথা বলি। বিশ্বাস করুন দাদা যখন সৌরভ গাঙ্গুলী ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হয়েছিল তখন প্রচন্ড গর্ব হচ্ছিল যে নিজেদের একজন ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হয়েছে। কিন্তু ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে খারাপ সম্পর্কের কারণে দুই বাংলার মানুষের মাঝেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে। আশাকরি ২ বাংলা আবার এক হয়ে যাবে কোন এক সময়। দুই বাংলার মানুষ একসাথে মিলে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে অনেক দূর।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন ।কোনো বাঙালি বিশ্বের দরবারে নিজেকে পরিচিত করলে বাঙালি হিসেবে আমাদের খুব ভালো লাগে।সে এপার হোক কিংবা ওপার হোক।নানা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে ও আমাদের মধ্যকার তিক্ততা দূর হোক ,আন্তরিকতা বিস্তৃত হোক।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি আমার কমেন্টে রিপ্লাই দিয়েছেন আমার অনেক ভালো লাগছে। আবার সেই আগের দিনের অপেক্ষায় থাকলাম। যখন আমরা সবাই এক ছিলাম। আশা করি আবার একদিন সবাই এক হয়ে যেতে পারবো।
আপনার সঙ্গে আমিও আশাবাদী।।
আমি কাউকে দোষারোপ করব না । আমি শুধু বলতে চাই দিনশেষে মানুষ হওয়া জরুরী । সেটা যে দেশেই হোক না কেন। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ।
কথা প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল শচীন টেন্ডুলকার এর বাবার কথা।একবার এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেছিলেন তাঁর বাবা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।সফলতার কোনো শর্টকাট হয় না।তিনি বলেছিলেন ক্রিকেটার হিসাবে তুমি(শচীন) বড় হতে পারো কিংবা না পারো আগে বড় মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো।
যথার্থ বলেছেন ভাইয়া।
মানুন মানুষের জন্য। আমরা মানুষকে ভালবাসবো। ভালোবাসার কোন বডার হতে পারে না।
একদম ভাই।এর কোনো সীমানা নেই ,নেই কোনো বিধিনিষেধ।।
জি ভাই।
চমৎকার বলেছেন, আপনার লেখাগুলো আমার ভালো লেগেছে, যদি সবাই মানসিকতা এতো সুন্দর হতো, তবে দুই বাংলার মাঝে কোন সমস্যা তৈরী হতো না।
এই সেই ফেলানী যাকে পাখির মত গুলি করে, মানবতার জয়ধ্বনি গাইতে শুনা গেছে। বিচারের নামে মানবতাকে প্রহসনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও আমরা মানুষই আছি। স্বাগতম বাবু ---