নতুন একটি গ্রামে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত ।
সত্যিই সৃষ্টিকর্তা একদমই কার্পণ্য করেননি আমার এই সুন্দর সোনার বাংলা কে সাজাতে।ঈশ্বরের সৃষ্টি সবকিছুই সুন্দর ।প্রত্যেকটা সৃষ্টির ভিতরে লুকিয়ে আছে একটি অদ্ভুত রহস্য ।এই রহস্যের কোন উন্মোচন নেই, নেই কোনো সঠিক ব্যাখ্যা। শুধু আছে কিছু যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিশ্বাস আর মান্যতা। এটাকেই ধ্রুব সত্য মেনে আমরা এগিয়ে চলেছি সামনের দিকে।ষড়ঋতুর দেশ আমার এই বাংলা ।গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত ও বসন্ত ।বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়। এই সময়টা প্রকৃতি সেজে ওঠে রঙিন আর বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য নিয়ে ।চারিদিকে ফুলের মেলা, প্রজাপতির ঘুরে বেড়াচ্ছে।সে এক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।কিন্তু সৃজনশীলতা আর সৃষ্টির কাজে একটি ঋতুর অবদান অনস্বীকার্য।
প্রত্যেকটা বৃষ্টিধারা আর বৃষ্টির ফোঁটা পতনের ছন্দে একজন কবি একজন লেখক এর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে সৃজনশীলতা। একজন গায়ক বৃষ্টিধারার ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি করে ফেলেন নতুন নতুন চমৎকার সুর। তাই বর্ষা ঋতু কে একটি আলাদা ঋতু হিসেবে দেখা হয়। এই ঋতুর গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অনেক বেশি। এখন বর্ষার শেষাশেষি চলছে আমাদের দেশে আর কিছুদিন পর বৃষ্টি বিদায় নেবে ।আসবে শরতের স্নিগ্ধ হাওয়া কাশফুলের ভুবন ভোলানো দোলা। সম্ভবত আজকের দিনটি একটি সুন্দর দিন ছিলো। সুন্দর বলছি কারণ আজকে সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু এই বৃষ্টিকে ঠিক বৃষ্টি বললে হয়তো সত্যিকারে বৃষ্টি কে অবমাননা করা হবে। এ যেন ঠিক বৃষ্টি হলো আবার হলোনা ।
চারণভূমিতে একটি গরু
মানে এত সাধারন এবং এতো সামান্য পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল যে একজন পথচারী ও সেটা বুঝতে গেলে তাকে মনোযোগ দিতে হবে।যাইহোক এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম একটি নতুন গ্রামে, উদ্দেশ্য প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ ।এই গ্রামটির নাম টেঙ্গা টেঙ্গি।হয়তো কোন দুজন ব্যক্তি ছিলেন টেঙ্গা টেঙ্গি যারা এই জায়গাটার গোড়াপত্তন করেছিলেন। তাদের নামে এই নামকরণ করা হয়েছে।এই জায়গাটায় বসতি খুব একটা ঘন নয় আবার বেশি ছাড়াছাড়িও নয়। মোটামুটি বসতি রয়েছে এই জায়গাটায়।কিন্তু একটা বিষয় খুব খারাপ লাগলো।
এই গ্রামটার অধিকাংশ জায়গা নিচু হয়ে গেছে । তার জন্য দায়ী দুর্নীতি, স্থানীয় প্রশাসনকে বড় টাকার ঘুষ দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গ্রামটির অনেকটাই ক্ষতি করে ফেলেছে। যথেচ্ছভাবে ইট ভাটার জন্য মাটি খননের ফলে এই জায়গা অনেক নিচু হয়েছে। এবং সেখানে বড় খাতের সৃষ্টি হয়েছে। যেগুলো এখন পতিত জমি ছাড়া আর কিছু নয় ।সেখানে না হয় মাছ না হবে চাষাবাদ।মানুষ সাময়িক টাকার লোভে কিভাবে নিজেদের ভবিষ্যত নষ্ট করে এই গ্রামটি তার উদাহরণ।এগুলো ছাড়া এই জায়গাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে ।
সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম আর এই বর্ষার দিনে প্রকৃতি আরও নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। নিজের সবুজকে আরো ছড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যেক পরতে পরতে। এখানে হঠাৎ করে দেখা হলো একজন মৎস্য শিকারীর সঙ্গে। তিনি ওখানকার ই একজন স্থানীয় বাসিন্দা।তিনি পেশাদার মৎস্যজীবী নন, এই বর্ষাকালে খাল-বিল সব জলে ভর্তি হয়ে থাকে। আরে খাল বিলে পাওয়া যায় প্রচুর নতুন নতুন ছোট ছোট মাছ আর স্থানীয়রা এভাবেই জাল ব্যবহার করে মাছগুলো ধরে। এবং পরিবারের খাওয়ার জন্য এরা এগুলো আহরণ করে।
গ্রাম ও জীবন প্রসঙ্গে কিছু কথা হলো।স্থানীয় বিষয় সম্পর্কে লোকটি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন ।আমরা কোথায় থাকি , এসব কিছু জিজ্ঞাসা করলেন। পারস্পারিক একটি মত বিনিময় হলো ।এখানকার কয়েকটি ছবি এবং মৎস শিকারি ভদ্রলোকের ছবি শেয়ার করলাম ।হঠাৎ দেখলাম ওই নিচু হয়ে যাওয়া জায়গায় একটি গরু ছুটে বেড়াচ্ছে প্রকৃতির বুকে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির আরেক প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুন্দর লাগলো এটা দেখে। সত্যি দিনটি দারুন কাটল। তারপর সন্ধ্যা হতে হতে বাড়ি ফিরে এলাম। তখন ও ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল। সত্যিই একটা দারুন পরিবেশ ছিলো।
ধন্যবাদ সবাইকে
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP 250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP
Beauty of Creativity.
Beauty in your mind.Take it out and let it go.Creativity and Hard working.Discord- https://discord.gg/RX86Cc4FnA
গ্রাম ও জীবন প্রসঙ্গে কিছু কথা হলো।স্থানীয় বিষয় সম্পর্কে লোকটি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন ।আমরা কোথায় থাকি , এসব কিছু জিজ্ঞাসা করলেন। পারস্পারিক একটি মত বিনিময় হলো ।এখানকার কয়েকটি ছবি এবং মৎস শিকারি ভদ্রলোকের ছবি শেয়ার করলাম ।হঠাৎ দেখলাম ওই নিচু হয়ে যাওয়া জায়গায় একটি গরু ছুটে বেড়াচ্ছে প্রকৃতির বুকে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির আরেক প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুন্দর লাগলো এটা দেখে। সত্যি দিনটি দারুন কাটল। তারপর সন্ধ্যা হতে হতে বাড়ি ফিরে এলাম। তখন ও ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল। সত্যিই একটা দারুন পরিবেশ ছিলো।
ভাইয়া আপনি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এবং এর সৌন্দর্য যে ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে সত্যি খুব অসাধারণ ছিল। আমি এক সময় গ্রামে থাকতাম আপনার এই পোস্টটি দেখে আমারও সেই ছোটবেলার শৈশবের ও কৈশোরের স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামটির নাম টেঙ্গা টেঙ্গি, রিমঝিম বৃষ্টি বেশ ভালোই সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম আর এই বর্ষার দিনে প্রকৃতি আরও নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। আমার প্রকৃতি অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিলো আপনার। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀 ভাইয়া
টেঙ্গা-টেঙ্গি নামটা শুনে তমা-তঙ্গী ভ্রমণের কথা মনে পড়ে গেল।আপনি ভীষন প্রকৃতি প্রেমী সেটা আপনার পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায়।শুভ কামনা রইলো দাদা😍
দাদা আপনার দেখা এর আমাদের দেখার মাঝে রাত দিন ফারাক রয়েছে।আপনি ওই গ্রামের সৌন্দর্য বর্ণনা করার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষা ঋতুর প্রশংসা করেছেন। টেঙ্গা টেঙ্গি গ্রামের নামটিও অনেক মজার ছিল । সেইসঙ্গে ওই গ্রামে অসাধু
ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড এর কথাও উল্লেখ করেছেন। সব মিলে অসাধারণ ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনাকে দারুন লাগছে দেখতে। আপনি সময় পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের প্রতি আপনার মনের ভেতর যে বিশেষ স্থান আছে সেটা আমার খুব ভালো লাগে। আজকাল অনেকেই শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গ্রাম কে ভুলে গেছে। কিন্তু আপনি এত আধুনিক জীবনযাপন সত্ত্বেও গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আপনাকে এখনো মোহিত করে। এটা আমার খুব ভালো লাগে। অসাধু লোকদের দৌরাত্ম্য এখন সব জায়গায়। গ্রামের সহজ সরল মানুষ না বুঝে নগদ লাভের আশায় নিজেদের বড় ক্ষতি করে ফেলেছে বোঝা যাচ্ছে। আমি নিজেও গ্রাম এলাকা অনেক পছন্দ করি। গ্রামীণ পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও শহরে থাকার কারণে এখন গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয় না। তারপরও মাঝে মাঝে শহরের আশেপাশে গ্রামগুলিতে যাওয়ার চেষ্টা করি। ছবিগুলি বরাবরের মত সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
গ্রামকে আসলেই অনেক সুন্দর এবং এর নাম অনেক মজাদার। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল। এত সুন্দর লেখা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
ঋতু হলো আমাদের দেশের ছয়টি পর্ব। এই 6 টি পর্বের মধ্যে সবথেকে সুন্দর সুন্দর হলেও শরৎকাল। কখনো মেঘ কখনো বা অঝোর ধারায় বৃষ্টি আবার কখনোবা কাশফুলের স্নিগ্ধ বাতাসে মন ভরে যায়
আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ এবং আপনার গ্রামটি বেশ সুন্দর লাগতেছে ফটোগ্রাফিতে। গ্রামে কাটানো সময়গুলো আমার অনেক ভালো লাগে। গ্রামের মুক্ত বাতাস এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে হলেও গ্রামে সকলের যাওয়া উচিত।
সবুজ গ্রাম, গ্রামের চিরচেনা প্রকৃতি এবং কৃষকদের নিষ্ঠার সাথে কার্যাবলী, সর্বোপরি প্রকৃতির সতেজময় রূপ আমার কাছে খুব ভালো লাগে। গ্রামের বাড়ীতে গেলে ফিরে আসতে মন চায় না আমার। ফটোগ্রাফিগুলো চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ
গ্রামের দৃশ্য দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়।গ্রামের মানুষের আচার-আচরণ সুন্দর হয়ে থাকে।আপনার উপস্থাপনা সুন্দর ছিল। আপনাকে অভিনন্দন।