ছুটির দিনে তালবান্ধায় একটু হাঁস কিনতে যাওয়া।।জানুয়ারি,২০২২।।
![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটি সাদামাঠা পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি আপনাদের সঙ্গে।আজকে শনিবার ছিলো।কাল রবিবার।আর রবিবার মানেই ছুটি আর মজাই মজা।তা আজকে আবার গেলাম বাজারে হাঁস কিনতে।আমাদের বাড়ির কাছেই পাতিহাস পাওয়া যায়।
তবে সেই হাঁসগুলো সম্ভবত ফার্মের হাঁস।সেগুলো খুব একটা সুস্বাদু না।তাই দেশি পাতিহাস কেনার জন্য আমাকে যেতে হয় বাড়ি থেকে ১২ কিমি পথ অতিক্রম করে তালবান্ধা নামক জায়গায়।এখানে একটা বাজারের সন্নিকটে রাস্তার দুইধার ধরে বিক্রি হয় দেশি হাঁস মুরগি।এই হাঁস মুরগি সবই বর্ধমানের।সেখানে বাড়ি বাড়ি গ্রামের মেয়েরা এই হাঁস মুরগি পালন করে ব্যাপারীর কাছে বিক্রি করে।বেপারি আবার সেগুলো এই সব দোকানদার দের কাছে বিক্রি করে।এই হাঁস গুলো দেশি ও ঘরোয়া ভাবে চাষ করার জন্য খেতে বেশ সুস্বাদু হয়।
![]() | ![]() |
---|
যাই হোক আমি আর আমার এক ভাইপো গেলাম হাঁস কিনতে।মোট চারটি হাঁস কিনলাম।দুটো আমাদের জন্য আর দুটো আমাদের অন্য বাড়ির জন্য।সঙ্গে একটি ২ কেজি সাইজের একটা দেশি মুরগি ও কিনলাম।কারণ আমাদের দাদার মেয়ে আবার চিকেন ছাড়া অন্য কোনো মাংস খাইনা।তাই অগত্যা ৪ টে হাঁস কেনার পর ও আবার মুরগি কিনতে হলো।সপ্তাহ খানেক আগে লোকটি হাঁস প্রতি ৩০ টাকা বেশি নিয়েছিল।তাই হালকার উপর কড়া কিছু দিলাম ফলশ্রুতিতে হাঁসের দাম ৪০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় নেমে এলো।
আগেই বলেছিলাম।বাজারের অবস্থা খুব করুন।অধিকাংশ লোক মাস্ক ব্যবহার করে না।তাই এখন বাজারে যাওয়া মানেই রিস্ক।আর তাই ইচ্ছে করেই বেশ দেরি করে তালবান্ধায় গেছিলাম যাতে ভিড়ের সম্মুখীন না হতে হয়।অবশ্য গিয়ে দেখলাম ভিড় তেমন নেই।এটা আমার জন্য বেশ আনন্দের কথা।তারা যেহেতু হাঁস গরম জল করে লোম পরিস্কার করে দেয় এবং কেটে পিস করে দেয় তাই আমাদের ওখানে মোটামুটি ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হলো।হাঁস ড্রেসিং করার জন্য ওই দোকানির ৩ জন লোক রয়েছে।তাই দ্রুতই হাঁস ড্রেসিং হয়ে গেলো।
এই হাঁস পরিস্কার করার সময়ের মধ্যে পাশের বাজার থেকে ১ কেজি ছোট পুঁটি মাছ এবং ১ কেজি ছোট কোলসে মাছ কিনেনিলাম।আসলে ছোট মাছ খেতে বেশ ভালোই লাগে।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
আসলেই দাদা ঠিক কথা বলেছেন আপনি, সাপ্তাহিক ছুটির দিন মানেই আনন্দের দিন। টানা এক সপ্তাহের ক্লান্তির পর এই দিনে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানো ও রেস্ট করা যায়। আপনি খুব সাবধানতার সহিত বাজারে গিয়ে দেশি পাতিহাঁস ও দেশি মুরগি কিনেছেন, তা শুনে বেশ ভালই লাগলো। তবে একটা জিনিস দেখে অবাক হলাম, পাতিহাঁস গুলো গরম পানি দিয়ে পাখা ফেলে দিয়ে ড্রেসিং করা। তারপর পিস আকারে কাটা। আমাদের বাসায় গরম পানি দিয়ে পাখনা ফেলে দেওয়ার পর আগুনে পাতিহাঁস কে হালকা একটু পুড়িয়ে নেয়। সব মিলিয়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা আপনার আজকের পোস্টটি ছিল স্পেশাল। তালবান্দা বাজার টি নাম বেশ সুন্দর। আমিতো প্রথমে মনে করেছিলাম ছুটির দিনে আপনি তালাবদ্ধ করে ঘরে বসে আছেন,হাহাহা। দাদা মজা করলাম মনে কিছু নেবেন না দাদা। আর বর্ধমানের কাছে এই বাজারটা আপনি পাতিহাঁস কিনতে গিয়েছিলেন, তার অনেক সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন আপনি। তবে আপনি সত্যি বলেছেন ঘর বাড়ি তে হাঁস-মুরগী পালন করা হয়, সেগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু এবং দারুন লাগে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনাদের ওখানে হাস ড্রেসিং করে দেয়, তবে হাস পরিষ্কার করা খুব জটিল এবং কঠিন একটা কাজ। আর আমাদের এদিকে বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের বাজারগুলোতে হাঁস পরিষ্কার করে দেয় না বা কোন মাধ্যমে নেই। আর এখানেও প্রচুর কোড়া আইন করছে। কারন হাঁস-মুরগি এবং পাখি বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ হয় এবং ড্রেসিং মেশিনে জীবানুর পরিমাণে থাকে তাই হাঁস মুরগি ড্রেসিং নিষিদ্ধ প্রায়। যাইহোক আপনিও ফাকে গিয়ে পুটি মাছ এবং পোলোই মাছ নিয়েছেন, সবমিলিয়ে দারুন একটা সময় পার করেছেন। যদিও বাজার করা একটা বিরক্তিকর কাজ, তবে আপনি এত দূরে গিয়ে কোলাহলমুক্ত একটা এলাকায় বাজার করেছেন। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং গভীর ভালোবাসা।
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। দাদা আপনি তালাবান্ধা নামক বাজার থেকে দেশী হাঁসপাতি নিয়েছে। আসলো ফ্রার্ম এর হাঁসের থেকে দেশী হাঁসে অনেক পুষ্টি এবং অনেক স্বাদ পাওয়া যায়। দেশি মুরগী মাংস আমার খুব পছন্দের দাদা৷ সব মিলেয়ে দাদা আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।৷
ভাই তো দেখছি দারুণ হাঁসের ভক্ত হয়ে গেছেন, প্রায় হাঁস শিকারে যাচ্ছেন বাজারে হা হা হা। তবে এটা সত্য শীতের সময় হাঁসের রান্না বেশ স্বাদের লাগে আর শরীরটাও একটু অন্য রকম লাগে। তবে পুঁটি মাছ আমার কাছে বেশী ভালো ফ্রাই খেতে, হলুদ মরিচ মাখিয়ে গরম গরম ভাজা খেতে বেশ লাগে। ধন্যবাদ
শীতের সময় হাঁসের মাংসের স্বাদ বাড়ে। হাঁস পরিস্কার করা কঠিন সেই কাজটি দোকানদার করে দিয়েছে তাহলে আপনার কষ্ট কম হবে এবার মজা করে রান্না করে ফেললেই হলো। আপনার হাঁস কেনার গল্পে মনে পড়লো এবছর এখনো হাঁস খাওয়া
হয়নি তাড়াতাড়ি কিনতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
দাদা, একদম ঠিক কথা বলেছেন ফ্রামের হাঁসগুলো খেতে একদমই সুস্বাদু না। আমি একবার হাঁস কিনেছিলাম। আর যার থেকে হাঁস কিনেছি সে বলেছিল এটি দেশি হাঁস পরে খাবারের সময় বুঝতে পারলাম আসলে দেশি হাঁস না। দেশি হাঁসের মাংস অনেক সুস্বাদু কারণ এগুলো প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয়। শীতের দিনে হাঁসের মাংস খেতে অনেক সুস্বাদু। ভালই হল দাদা আপনি খুব কম দামে হাঁস গুলো কিনেছেন। ঠিক বলেছেন এখন বাজারে যাওয়াটা খুবই বিপদজনক কারণ বাজারে মোটেও স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলছে না। তাই প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিটি দেশ এবং প্রতিটি এলাকা।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
হাঁস এর মাংস খুবই সুস্বাদু বিশেষ করে দেশী হাস।তবে গ্রামে আমাদের প্রত্যেক এর বাড়িতেই দেশী পাতিহাঁস থাকে তাই এই কষ্ট পোহাতে হয় না😁।তবে এটা জেনে ভালো লাগলো জে হাস কেনার জন্য আপনাকে বেশি গেঞ্জামের সমুখিন হয়ে হয় নাই😍
হাঁসের মাংস আমারও খুব ফেভারিট। আর শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি।
পুটি মাছ ফ্রাই করে খাওয়ার মজাই আলাদা খুবই টেস্টি হয় গরম গরম ভাতের সাথে।সব মিলিয়ে আজকে আপনার পোস্টটা অসাধারণ হয়েছে।
অনেক কেনাকাটা করলেন দেখি ভাইয়া।
আসলে দেশী গুলোর স্বাদ ই আলাদা,ফার্মের গুলো বিরক্ত লাগে।