লাইফ স্টাইল।। চিড়া মিল দেখতে যাওয়ার অনুভূতি।।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২১/০৯/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞শুভ বিকেল💞
প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। তবে আজকে সকালে খুব দ্রুত ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। কেননা এদিকে কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। তাই ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। তবে আজকে সকাল থেকেই কিন্তু গরম আজ কয়েকটা দিন যেভাবে হচ্ছে ঠিক সেভাবে। তো বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সকালে ঘুম ভেঙে যায়। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে আবহাওয়াটা মনে হচ্ছে একটু ভালো। কেননা আজকে হালকা বাতাস হচ্ছে। তবে হালকা বাতাস হলেও কিন্তু গরমের ভাবটা এখনো ভালোভাবে কাটে নি। তবে এই গরমে কিন্তু কিছু ভালো লাগছেনা। এদিকে যেমন গরম পরছে তেমনি আবার লোডশেডিং হচ্ছে। সত্যিই কোনভাবেই যেন শান্তির একটা দেখা পাচ্ছি না। তবে কি আর করার বারোটার সময় গোসল করলাম। গোসল শেষ করে ওযু বানিয়ে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ শেষ করে বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেলাম। দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় দেখে বিদ্যুৎ নাই। বলেন তো তাহলে কেমনটা লাগে। সত্যিই খুবই কষ্ট করে দুপুরের খাবার শেষ করলাম। খাবার শেষ করে ফাটাই বের হলাম কারণ কেমন গরম পরছে তাতে আবার বিদ্যুৎ নাই। এভাবে একটু বাইরে সময় কাটালাম। এইতো বিকেল হতে কিছুক্ষণ আগেই বিদ্যুৎ এলো । তাই ভাবলাম এই সুযোগে পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।
আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় পড়ছি আর করতে যাচ্ছি ইতিমধ্যে আপনার আমার টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার দারুন একটি অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এইতো গত বৃহস্পতিবারে গিয়েছিলাম আমঝুপিতে। এটা আমার বাসা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এমনকি কাজলা নদীর পাশেই এ চিড়ামিল অবস্থিত। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম দেখতে যাওয়ার জন্য। যদিও ঐদিন গরমটা ছিল অনেক বেশি। সেই সাথে এতটা পথ মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং করতে একটু ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তো সেখানে পৌঁছাতেই দুপুর হয়ে যায়। তাই ভাবলাম আগে দুপুরের খাবার খাওয়া যাক। তাই সেখানে যে হোটেল ছিল সেখান থেকে দুপুরের খাবার খাওয়া শেষ করলাম। এরপরে চলে আসলাম সেই মিল দেখতে। আসলে আমাদের এদিকেও চিড়া মিল রয়েছে কিন্তু আমি অনেকদিন হলো সেটা আর দেখি নাই। তবে আমাদের এই দিকে যে মিল রয়েছে সেখানে সারাটা বছর চিড়াকুটা হয় না। তবে আমি জানতে পারলাম আমঝুপি গ্রামে সেখানে একটা চিড়াকোটার মিল রয়েছে। তবে তাই সেখানে গেলাম। কেননা এটি আমার দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। তো গিয়ে সেখানে দেখতে পেলাম তারা কিভাবে চিড়া তৈরি করে। গিয়ে আমি প্রথমে যেটা দেখতে পেলাম তারা ভেজা ধানগুলো একটি জায়গায় রেখেছে। এবং ওই সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনার উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটি জায়গায় অনেকগুলো ধান রয়েছে।
আসলে বর্তমানে মানুষ অনেক বুদ্ধিমান। কেননা আজ মানুষের মাধ্যমে কোন কাজ করাই লাগে না বললেই চলে। কেননা আজ মানুষ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। আর আমি যেহেতু এর চিড়া তৈরি করা দেখতে গিয়েছি তাই সেখানে আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম কিভাবে তারা চিড়া তৈরি করে। তো আমি দেখতে পেলাম যে ভিসা ধানগুলো রয়েছে সেগুলো বড় একটি কড়ার মধ্য দিয়ে ভেজে নেওয়া হচ্ছে। এমন সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনার উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সেখানে একজন কর্মচারী খুব সুন্দর করে এগুলো দেখছে ভাজা হয়েছে কিনা। তবে সেখানে আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম তাদের সেখানে এমন একটি যন্ত্র লাগানো আছে যার মাধ্যমে ওগুলো আর নিজে নাড়াচড়া করা লাগে না। এভাবে যন্ত্রের মাধ্যমে খুবই সুন্দর করে তারা ওই ভেজা ধান ভেজে নিল।
এবার আপনার ওপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এই ভাজা ধানগুলো খুবই সুন্দর করে চালান দিয়ে চেলে নেওয়া হচ্ছে। কারণ এখানে তারা যে বালু ব্যবহার করে এই ধান ভেসে ছিল সেই বালুগুলো ফেলে দিয়ে শুধু ভাজা ধানগুলো নিল। এমন সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি।
আমি দেখতে পেলাম শুধু তাদের এতটুকুই কাজ। এরপরে এই ভাজা ধানগুলো বড় একটি ঘূর্ণন মেশিনের মধ্যে দিল। এবং সেখান থেকে এই ধান থেকে চিড়া তৈরি হল। সত্যি বিষয়টা কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আপনার উপরের লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটা বড় জিনিস ঘুরছে আর এটার মাধ্যমেই চিড়া তৈরি হচ্ছে। তাহলে বিষয়টি আমি সেখানে দাঁড়িয়ে দেখতে পেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এমনকি মুহূর্তের মধ্যেই ধান থেকে চিড়া হয়ে গেল। আসলে আমাদের এলাকায় সব সময় চিড়া কোটা হয় না। কিন্তু আম ঝুঁপিতে গিয়ে আমি দেখতে পেলাম সেখানে চিড়া তৈরি হচ্ছে। এমনকি তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এখানে বছরের প্রতিটা মাসেই চিড়া কোটা হয়। আমি একটা বিষয় দেখে অবাক হলাম সেখানে সেটা হচ্ছে মাত্র একজন শ্রমিক এই চিড়া কোটার দায়িত্বে রয়েছে। মাত্র একজনের কাজের মাধ্যমেই এভাবে ধান থেকে তৈরি হচ্ছে। তার মানে বুঝতে পারছেন এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ চলছে। তবে এর থেকেও যেগুলো চিড়া তৈরীর বড় মিল রয়েছে সেখানে আরো সহজেই চিড়া তৈরি করা হয়। তবে আমি যেখানে গিয়েছিলাম সেখানে চিড়া তৈরির এই সুন্দর একটি প্রসেস দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে।
এভাবে চিড়া তৈরি হয়ে গেলে তারা বাস্তা ভর্তি করছে। আর তারা যখন এই বাস্তা ভর্তি করে ঠিক ওই মুহূর্তে আমি উপরের ছবি আমার ফোনে ধারণ করি। এখানে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন চিড়া গুলো কিন্তু দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তাছাড়া এগুলো একদম সাদা ফ্রেশ চিড়া। এই চিড়া গুলো খেতে খুবই স্বাদ হয়ে থাকে। কেননা এগুলো চিকন ধানের চিড়া। এভাবেই অনেকটা পথ অতিক্রম করে সেখানে গিয়ে চিড়া মিল দেখতে পেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তাই এই পোস্টটি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি আজও কখনো দেখি নাই চিড়ির মিল। নতুন একটা অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হলাম। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই নতুন একটা বিষয় উপস্থাপনা করতে দেখে। যে বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না কিছুটা হলেও ধারণা পেলাম এই পোস্ট পড়া ও দেখার মধ্য দিয়ে।
আপনি আজও এটি দেখেননি তাই দেখে অবশ্যই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
এটা কিন্তু ইউনিক একটি পোস্ট ছিল। এ জাতীয় মেশিন কেমন বেশি একটা পোস্টে দেখা যায় না। যারা আজও দেখেনি তারা কিন্তু নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এই পোস্টের মধ্য দিয়ে। কিভাবে একটি মেশিন চিড়ি তৈরি করে কেমন মেশিন সেটা সে বিষয়ে ধারণা পাবে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই ধন্যবাদ।
বেশ গরম পরেছে খুব খারাপ অবস্থা। চিড়া মিল অনেক দিন আগে দেখেছিলাম গ্রামে। যদিও শহরে কম দেখা যায়। আপনার অনূভুতি দারুন ছিলো ভাই। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে আবারও আর একবার চিড়া মিল দেখা হয়ে গেলো।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন গরম অনেকটা বেশি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ধান ভাঙ্গা মিল আর চিড়া মিল দেখতে কিছুটা এক ই মনে হচ্ছে।ধান ভাঙ্গা মিলে যেমন ভাবে ধান ভেঙ্গে চাল বের করা হয়, ঠিক অনুরুপ ভাবে এই চিড়া মিলের কার্যক্রম গুলো দেখতে পারছি।তবে, হালকা কিছু পরিবর্তন রয়েছে। যাইহোক, আজকে আপনার মাধ্যমে চিড়া মিল দেখার সুযোগ হলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ।
লোডশেডিং বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। তবে সকালের তুলনায় বিকেলের দিকে গরম টা অনেক কম ছিল। শীতল হাওয়া বেশ ভালো লেগেছিল। ভাইয়া আপনি চিড়ার মিলে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হলে ভালোই হয়।
ধন্যবাদ আপু।