🙋মেডিসিন ছাড়াই খেজুর পাকানোর পদ্ধতি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(১৭/০৬/২০২৩) রোজ: শনিবার।

IMG20230616175332.jpg

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি @biplob89 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মেডিসিন ছাড়াই খেজুর পাকানোর পদ্ধতি । আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি । সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষ করি।তারপর বই নিয়ে পড়তে বসি। তারপর প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে রওনা দি। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা গাড়ি পেয়ে যায়। তারপরে আস্তে আস্তে গাংনীর দিকে রওনা দিই। গাংনীতে পৌঁছে প্রাইভেটে রুমে চলে যায় সেখানে প্রাইভেটের পড়াগুলো শেষ করি। তারপর ঠিক ১১ টার দিকে বাড়িতে আসি। এসে গোসল করে খাবার-দাবার শেষ করে একটু বিশ্রাম করি। তারপরে হঠাৎ করে পোস্ট করার কথা মনে পড়ে তখনই আমি পোস্ট করার জন্য প্রস্তুতি হয়। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আপনাদের মাঝে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

IMG20230616174333.jpg

অনেক দিন পরে গাছে উঠলাম। গাছে ওঠা ব্যাপারটা অত সহজ নয় , আবার ঠিক অতটা কঠিনও নয়।আমার মতে গাছে ওঠা বিষয়টা খুবিই আনন্দদায়ক একটা বিষয়। আমি ঠিক অতটা গাছে উঠতে পারি না। তারপরও মোটামুটি গাছে উঠতে পারি। অন্যান্য গাছ যেমন : আম, জাম ও নারিকেল এসব গাছগুলোই উঠা একটু কঠিন। কিন্তু খেজুর গাছে সাধারণত যারা রস পাতেন তারা গাছে ওঠার জন্য ধাপে ধাপে গাছটি কেটে রাখে যার জন্য গাছে ওঠা সহজ হয়। আর এই সহজ হওয়ার কারণে আমিও খেজুর গাছে উঠতে পেরেছি।

IMG_20230617_111359.jpg

খেজুর পাড়ার উদ্দেশ্যে মাঠের দিকে রওনা দিই। আমাদের বাড়ি থেকে মাঠের দূরত্ব খুব বেশি না। বাড়ি থেকে মাঠের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার বা তারও কম হতে পারে। তো আমি আর আমার একটা ভাইয়া দুজনে মিলে খেজুর কাঁটার উদ্দেশ্যে যাই‌। তারপর অনেকগুলা গাছ দেখি এবং সবচেয়ে ছোট গাছটিতেই আমি উঠি। তারপর গাছ থেকে খেজুর সংগ্রহ করি। এবং বাড়ির দিকে আসি।

IMG20230617104411.jpg

আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খেজুরগুলো অনেক সুন্দর ।খেজুরগুলো পাকানোর উপযোগী হয়ে গেছে। আসলে মেডিসিন ছাড়াও খেজুর পাকানো যায়। আর সেটা আমি নিজেই প্রমাণ করতে পেরেছি।

খেজুর পাকানোর উপকরণ নিম্নরূপ:-

১. খেজুর
২. গামলা
৩. লবণ
৪. পানি

IMG20230617105935.jpg

              ধাপ:১

প্রথমত খেজুর গুলো ডাঁটনি থেকে ছুড়িয়ে নিতে হবে। যাতে খেজুর গুলোতে কোনরকম বোটনা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এভাবে খেজুর গুলো পর্যায়ক্রমে ছুড়িয়ে একটা গামলা বা পাত্রে রাখতে হবে।

IMG20230617110028.jpg

              ধাপ: ২

দ্বিতীয়ত যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে খেজুরগুলো পানির মধ্যে দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যদি খেজুরে কোন ময়লা থাকে তাহলে ভালোভাবে ধোয়ার মাধ্যম সেই ময়লাগুলো চলে যাবে। খেজুর গুলো ভালোভাবে ধোয়ার পরে উক্ত পানি গুলো ফেলে দিতে হবে। গামলাই যাতে কোন পানি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ গামলায় খেজুর ধোয়ার ফলে খেজুরের গায়ে যে সেঁতসেঁতে ভেজা পানি থাকবে ওইটুকু পানিই খেজুর পাকানোর জন্য যথেষ্ট। তাই পরবর্তীতে আর পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই।

IMG20230617110301.jpg

                ধাপ: ৩

খেজুর পাকানোর জন্য তৃতীয় ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তৃতীয় ধাপটির উপর নির্ভর করে-ই খেজুরটি খাওয়ার উপযোগী হয়।
তৃতীয় ধাপে খেজুরে লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে। লাবণের পরিমাণ বেশি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ বেশি লবণ দেওয়ায় উক্ত খেজুরগুলোর স্বাদ কমে যেতে পারে।

IMG20230617110336.jpg

             শেষ ধাপ

মেডিসিন ছাড়াই খেজুর পাকানোর এটিই হচ্ছে সর্বশেষ ধাপ । এখানে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে লবণ মাখানো খেজুর গুলো ভালোভাবে মিশ্রণ করতে হবে। এমন ভাবে মিশাতে হবে যাতে লবণের দানাগুলো আর দেখা না যায়। এভাবে লবণ মাখানো খেজুরগুলো 22 থেকে 24 ঘন্টা একটি নিরাপদ জায়গায় রেখে দিতে হবে । এভাবেই বাসা বাড়িতে মেডিসিন ছাড়াই খেজুর পাকানো সম্ভব। যা আমি ইতিমধ্যে প্রমাণ করতে পেরেছি।

IMG20230616074641.jpg

এভাবেই ধাপগুলো অনুযায়ী কাজ করলে আপনারাও মেডিসিন ছাড়া খেজুর পাকাতে সক্ষম হবেন। ধাপ গুলো সম্পন্ন করার ঠিক ২২ থেকে ২৪ ঘন্টা পরেই আপনারা ফলাফল দেখতে পাবেন।

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ

Sort:  
 last year 

মেডিসিন ছাড়াই খেজুর পাকানোর পদ্ধতি দেখে আমার কাছে ভালই লেগেছে আসলে এ ধরনের খেজুরগুলো ছোটবেলায় খেয়েছিলাম এখন আর এগুলো দেখি না। আমার আম্মুর মুখে শুনেছি তারা ঐরকম লবণ পানি দিয়ে নাকি খেজুরগুলো পাকাতো। আপনার পুরো পোস্ট আমার কাছে পড়ে খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটা পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

ওয়াও ভাই আপনি দেখছি অনেক অভিজ্ঞতার সহিত মেডিসিন ছাড়াই খেজুর পাকানোর পদ্ধতি শেয়ার করেছেন দেখে তো আমার অনেক ভালো লাগলো। এই দেশি খেজুর খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার খেজুর পাকানোর পদ্ধতি টা অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার এত মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

বর্তমানে বাংলাদেশের যত ফল আছে প্রত্যেকটা ফলই মনে হয় মেডিসিন দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। কিন্তু খেজুর মেডিসিন ছাড়া যত সুন্দর পদ্ধতি অবলম্বন করে পাকানো যায় সেটা আমি জানি। ছোটকালে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেক পাকিয়ে খেয়েছি। খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। এত সুন্দর একটা পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনার এত সুন্দর মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

খেজুরগুলো দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। বাহ্ আপনি বেশ ভালো গাছে উঠতে পারেন তো।আমিও বেশ কিছু আগে শুনেছিলাম লবন দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে খেজুর পেকে যায়। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 last year 

জি আপু মোটামুটি গাছে উঠতে পারি । আর গাছে উঠার ব্যাপারটা অতটা কঠিন ও নয় । আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

খেজুর গাছে উঠে খেজুর পেরেছেন সেটা দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। ছোট্টবেলা এই খেজুর অনেক খেয়েছি এখন মিস করি। সত্যিই লবণ দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি কাঁচা খেজুর পাকিয়ে ফেলা যায় ।একদিনের মধ্যেই পেকে যায় এমনও হয়েছে। ষ পুরনো দিনের কথা মনে পরল আপনার খেজুর পাড়া এবং পাকানোর পদ্ধতির গল্প শুনে।

 last year 

জ্বী ভাইয়া আসলে এই খেজুর পাড়ার সময়টা আমি অনেক আনন্দ করেছি। কারণ অনেকদিন পরে গাছে উঠেছি তাই ব্যাপারটা একটু আনলিমিটেড। আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য ভাইয়া‌।

 last year 

বাহ আপনি দেখছি নিজেই খেজুর গাছ থেকে খেজুর পেড়েছেন। আপনি আবার খেজুর গাছ থেকে নামিয়ে অভিনব কায়দায় খেজুর গুলোকে পাকিয়েছেন দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো।

 last year 

জি ভাইয়া আমি নিজেই গাছ থেকে খেজুর সংগ্রহ করেছি এবং নিজেই পাকানোর পদ্ধতি গুলো সম্পন্ন করেছি।

 last year 

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে যে আপনি খুব সুন্দর একটি পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন। অনেক আগেই এমন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যকে হারিয়ে ফেলেছি। যখন গ্রামে ছিলাম তখন এমন সুন্দর পরিবেশের সাথে খুবই পরিচিত ছিলাম। কিন্তু যখন বড় হয়ে শহরে চলে আসি তখন থেকে সেই মনোরম সেই মুহূর্ত আর চোখে পড়ে না। অনেক সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করলেন খেজুর গাছে উঠলেন।গাছ থেকে খেজুর নামালেন এবং খেজুর কে প্রাকৃতিকভাবে পাকানোর পদ্ধতি শেয়ার করলেন।

 last year 

জি আপু সত্যিই গ্রামে থেকে অনেক কিছু উপভোগ করা যায়। যেমনটা আমি উপভোগ করতেছি জানিনা ভবিষ্যতে পারবো কিনা তবুও যেটুকু সময় পাচ্ছি ইনশাআল্লাহ উপভোগ করার সময় গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আর আপনার এত মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62410.74
ETH 2445.09
USDT 1.00
SBD 2.67