প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। তবে আজকে ছিল শুক্রবার যে কারণে ঘুম থেকে উঠতে আমার একটু লেট হয়ে গিয়েছিল। তো ঘুম থেকে উঠেই দেখি সকাল থেকে বেশ গরম পরছে। তাই একবারই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে রুমে ঢুকলাম। এরপরে সকালের নাস্তা শেষ করলাম। নাস্তা শেষ করে জেনারেল চ্যাটে গিয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে একটু আলাপ আলোচনা করলাম। আজকে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে টিসিপি এর তেল দিয়েছিল। তাই সেখানে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখলাম অনেক ভিড় ।সেই সাথে আজকে গরমটাও অনেক বেশি। সব মিলিয়ে খুবই অন্যরকম একটা পরিস্থিত ফেচ করতে হলো। এরপর সেখান থেকে তেল তুলে নিয়ে বাসায় আসলাম। যদি আমি সকালে গোসল করে ছিলাম তারপরেও এই গরমের কারণে সারাটা শরীর ঘেমে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম আযানের আগে গোসল শেষ করি। পুনরায় আবার গোসলে গেলাম। গোসল করতে করতে আযান দিলো। এরপরে প্রচুর শেষ করে পোশাক পরিধান করে ওযু করে নামাজ পড়তে বের হলাম। নামাজের শেষ করে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেলাম। কেননা অনেকটা খিদে লেগেছিল। তো খাবার শেষ করে বিশ্রাম করার সময় ভাবলাম এই সময় একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।

আজকে আমি কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা আপনার টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আর আজকে সকালে যখন আমি জেনারেল চ্যাটে ছিলাম । ওই মুহূর্তে একটা আমাদের সুপ্রিয় এই প্লাটফর্মের ভেরিফাইড মেম্বার সুমন ভাই আমাকে রিকুয়েস্ট করেছিল মাছ ধরার পর্বগুলো শেয়ার করতে। তাই ভাইয়ের অনুরোধে আজকে এই পোস্ট শেয়ার করছি।

এবার তাহলে মূল কথায় ফিরে আসা যাক। আসলে এইতো গত কয়েকদিনে যেভাবে বৃষ্টি হয়েছিল এতে করে সবাই খুবই খারাপ একটা পরিস্থিতি পার করেছে। তাছাড়া বৃষ্টি হলে খুবই ঝামেলা মনে হয় আবার না হলেও ভালো লাগেনা। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তবে গত কয়েক দিনের যে বৃষ্টিটা হলো এটা অনেক বৃষ্টি হয়েছে এতে করে অনেকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে এই বৃষ্টির মধ্যেও আরেকটি আনন্দ খুঁজে পেলাম সেটাই হচ্ছে মাছ ধরার আনন্দ দেখে। এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে সকলে মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত। একদিকে যেমন মাছ ধরার জন্য অনেকে ব্যস্ত ঠিক অপরদিকে এটি দেখার জন্য আবার অনেকে ব্যস্ত। তো বৃষ্টি চলছে ঠিক এই মুহূর্তে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরে বের হলাম। তখন দেখতে পেলাম পুলের উপরে অনেক। এমনকি মাঝেমধ্যে অনেক চিৎকার আসছে। তাই আর দেরি না করে সেখানে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমি তো অনেক খুশি হলাম। প্রথমে অনেক মানুষ দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে আর একটা বিষয় আমার কাছে ভালো লেগেছিল সেখানে মাছ ধরা দেখে। আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অনেক মানুষের ভিড়। শুধু তাই নয়, এখানে দেখতে পারছেন জাল চলে এসেছে মাছ ধরার জন্য। যদি ওই সময় বৃষ্টি হয়েছিল হালকা। তাই অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবার অনেকে খালি মাথায়। তবে আপনারা কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন এখানে মাছ ধরার জন্য প্রথমে জালগুলো তারা ঠিক করে নিচ্ছে। আসলে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল যে সঠিক টাইমে সেখানে উপস্থিত হতে পেরে। তাই সেখানে আর দেরি না করে ফটোগ্রাফিটি সংগ্রহ করলাম।

গত বছরের মত এ বছরেও এত বৃষ্টি হল। তবে গতবারের তুলনায় এ বছরে এবার একটু বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আপনারা যদি খালের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে এখানে দেখতে পাবেন পানিতে একদম ভরপুর। শুধু তাই নয় এটি হচ্ছে গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে একটি খাল। এ খালে মাছ ধরতে হলে কারোর পারমিশন লাগে না। সবাই নির্দ্বিধায় এখানে মাছ ধরতে পারে। তাছাড়া প্রতিবছর কিন্তু এই খাল থেকে অনেক মানুষ অনেক মাছ ধরতে সক্ষম হয়। তবে বৃষ্টির পানি হলেই যখন খাল ভরপুর হয়ে যায়। তখন কিন্তু মাছ ধরার একটা ধুম পরে যায়। তবে মাছ ধরা বিষয়টা যদি ও দুইটি ভাবে আমি ভাগ করে থাকি। সেটার প্রথমটা হচ্ছে মাছধারা একটা পেশা অপরটি হচ্ছে মাছ ধরা একটা নেশা। তবে আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে নেশাটাই আলাদা। আসলে মাছ ধরার নেশা এমনি এমনি তৈরি হয় না। মাছ ধরার চেয়ে নেশা সেটা কিন্তু অনেক আনন্দিত একটা নেশা। সত্যিই মাছ ধরা কি আমি নেশা বলেই মনে করি। কেননা আমার নিজের মাছ ধরতে খুবই ভালো লাগে। তবে এখানে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন। আমাদের প্রতিবেশী একজন বড় ভাই। তিনি জাল খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছেন এখন শুধু খালে ফেলার সময়। আসলে এই লালগুলো কিন্তু অনেকেই ফেলতে পারেনা। আবার অনেকেই এগুলো খেলতে খুবই এক্সপার্ট। তবে যাই হোক আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পুল থেকে কিছুটা নিচে নামছে। এর কারণ হচ্ছে ফুল টা অনেক উঁচু যে কারণে নিচ থেকে এই জালটি মারা হলে ভালোভাবে পড়বে। তাই দেখতে পাচ্ছেন একে একে নিচে যাচ্ছে। আর আমি এটি দেখতে পেয়ে আমার ফোনে ফটোগ্রাফিটি ধারণ করি।

এবার আপনারা যদি উপরের ছবিটিতে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন সেই জালটি খুব সুন্দর করে খালে ফেলা হয়েছে। আসলে আমি দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম যে কত সুন্দর করে জাল ফেলতে পারে। কেননা এ জাল সুন্দর করে ফেলা যতটা ভালো হবে ততটাই মাছ পাওয়ার আশংকা থাকবে। কেননা জাল যদি পানির মধ্যে ভালোভাবে না পড়ে তাহলে মাছ সে জালে থাকে না। তাই জালটি ফেলার পূর্বেই আপনাকে খুবই সুন্দর করে জালটি মেরামত করে নিতে হবে। যখন ডাল ফেলেছিল ঠিক ওই মুহূর্তে আমি ফোনটা হাতে ধরে ক্যামেরা বের করে রেডি হয়েছিলাম। যে যেই মুহূর্তে জাল পানিতে পড়বে তার আগে আমি ছবিটি ধারণ করব যাই হোক সেটা তে আমি সফল হয়েছি। আপনারা লক্ষ্য করলে ভালো করে দেখতে পাবেন জাল পানির উপরে ফেলা হয়েছে। আরে জালগুলো পানিতে ফেলা মাত্রই খুব দ্রুতই পানির নিচে চলে যায়। এর কারণ হচ্ছে ডালের তারই পাশে অনেক লোহার খন্ড দেয়া রয়েছে।

সাধারণত এই জালগুলো দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। কেননা মাছ ধরতে হলে অবশ্যই তাকে পানিতে নামতে হয়। কিন্তু এই জালটির ক্ষেত্রে তার বিপরীত। এই জালটি দিয়ে মাছ ধরতে পানিতে নামতে হয় না। কেননা এই চালের সাথে ১০ থেকে ১২ হাত এরকম দড়ি লাগানো থাকে। আর এটা ডান হাতের কব্জির সাথে বাধা হয়ে থাকে। এরপরে চাল পানিতে পড়ে গেলে এই দড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে ট্রেনে উপরে নিয়ে আসতে হয়। আপনার ওপরের লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন খুবই ভক্তি এর সাথে জাল টেনে টেনে পানির উপরে নেয়া হচ্ছে।

আসলেই কি এই জালে মাছ উঠেছে? তবে সেটা দেখার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করুন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।