কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-২৫] ~ " কলাতলী পিকনিক স্পট "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের পঁচিশ তম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি ভ্রমণের পর্ব নিয়ে চলে আসলাম৷ গত পর্বে আমি শেয়ার করেছিলাম যে আমরা সবাই মিলে হিমছড়িতে অবস্থান করেছিলাম এবং সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে আবারও সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম নতুন একটি জায়গার উদ্দেশ্যে৷ আজকে আমরা আসলাম কলাতলি পিকনিক স্পটে৷ সেখানে আমরা কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করব এবং সেই মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। প্রথমে আমার যখন সেখান থেকে বের হয়ে যায়৷ রাস্তায় আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই যা আমি গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম৷ এরপর আমরা সবাই মিলে চলে আসলাম সামনের দিকে অন্য একটি জায়গায় ঘোরার জন্য৷ তখন আমরা সেখানে দেখলাম যে প্যারাসেলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেখানে সেটির নাম হচ্ছে দরিয়া নগর প্যারাসেলিং এবং এর পাশেই রয়েছে আমাদের সেই কলাতলি পিকনিক স্পট৷ এরপর আমরা সেখানে প্রবেশ করার জন্য টিকেট নিয়ে নিলাম এবং টিকেট নিয়ে আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম৷ এরপর আমরা সেখানে গিয়ে আবারো উপরের দিকে উঠে গেলাম এবং সেখানেও পাহাড়ের ব্যবস্থা ছিল৷ তবে সেটি খুবই ছোট ছিল৷ এরপর আমরা তিমির মুখের ভিতর দিয়ে ঢুকে পেছনদিকে বের হয়ে গেলাম।
সেখানে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পারলাম৷ যা আমি আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ এরপর আমরা উপরে উঠে গেলাম এবং উপরে উঠে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষজনের জন্য বসারও একটি সিড়ি দেওয়া হয়েছিল৷ তখন আমরা সেখানে বসে পড়লাম৷ সেখানে একটু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি খুবই সুন্দর এবং ভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে৷ এরকম ভিন্ন ধরনের গাছ সাধারণত কখনোই আমি দেখিনি৷ এই প্রথম এরকম ভিন্ন ধরনের একটি গাছ দেখতে পেলাম৷ সেখানে অনেক ভিন্ন ভিন্ন কিছু জিনিস ছিল যা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ এরপর আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম৷ তখন সেখানে দেখতে পেলাম যে সেখানে নামার ব্যবস্থা রয়েছে৷ তবে আমরা সেখান দিয়ে না নেমে আবারো আমরা যেখান দিয়ে উঠেছিলাম সেখান দিয়ে নেমে গিয়ে পাশ দিয়ে গেলাম৷ সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়ও চারপাশে অনেক সুন্দর স্থান ছিল৷ তবে সেখানে কোন মানুষ তেমন ছিল না৷ অল্প কিছু মানুষই সেখানে দেখা যাচ্ছিল৷ এরপর আমরা সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর আবারও উপরের দিকে উঠতে শুরু করে দিলাম।
এখানে অনেক জায়গায়ই অনেকের বসার জন্য জায়গা ছিল৷ সেখানে কিছু মানুষ বসে ছিল৷ এরপর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম তখন আমরা সেখানে দেখতে পেলাম যে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে৷ সেটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে৷ এটিতে এখন কেউই উঠে না৷ এর উপরে ওঠার ব্যবস্থাও এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ যাতে করে কেউ ভুলেও ওই জায়গা না উঠে৷ সেখানে উঠে যেন কোন দুর্ঘটনা না হয়৷ সেখান থেকে যদি একবার নিচে পড়ে যায় তাহলে আর কখনোই বেঁচে থাকা হবে না৷ তাই সেখানে বাধা দেওয়া রয়েছে যাতে করে সেখানে কেউই উঠতে না পারে৷ এরপর আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম তখন আমরা সেখানে একটি গুহা দেখতে পেলাম৷ গুহার ভিতর কিছুই তেমন বিশেষ কিছুই ছিল না৷ তাই আমরা পাশাপাশি ঘুরাঘুরি করে সেখান থেকে আবার ফিরে আসলাম৷ কারণ যেখানে তেমন কোন মানুষ ছিল না৷ একই সাথে সেখানে আশেপাশে যে বাড়িঘর গুলো ছিল তারা হয়তো এখানে লুকায়িত অবস্থায় থাকতে পারে৷ তাই আমরা আর ভেতরে প্রবেশ না করেই বাহিরে চলে আসলাম৷ ওখানকার যে স্থানীয় লোকরা রয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার পরে তারা বলে যে গুহার ভিতরে তেমন কিছুই নেই৷ এরপর আমরা সেখান থেকে আবারও বের হয়ে পড়লাম এবং চারপাশে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম নতুন কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ০৬.১০.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1842772434833023029?t=Dg1LRG3pkXIeofd-5nH7ZA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি ভালবাসা সবসময় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য।
আজকের পর্বে তো দেখছি সব কিছু গাছপালা আর সবুজ প্রকৃতি। তবে অনেক সুন্দর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখলাম। করে ওঠার জন্য রাস্তা এবং আবার নামার জন্য রাস্তা আবার সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সুন্দর জায়গা। সব মিলিয়ে দারুন লাগলো ভাইয়া আজকের পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ জায়গাটা দেখি তো বেশ চমৎকার মনে হচ্ছে। কলাতলী পিকনিক স্পট এই জায়গাটিতে আমি আজও কখনো যায়নি তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জায়গাটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম সেই সাথে উপলব্ধিও করতে পারলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে পোস্টটা আমাদের মাঝে গুছিয়ে লিখার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
ভ্রমণ করতে আমিও ভীষণ ভালোবাসি। আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দারুন কিছু সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সেই সাথে দারুন একটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে পারলাম। আবার সেই ব্রিজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
খুবই খুশি হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কক্সবাজারে কলাতলী পিকনিক স্পট ঘোরার অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করলেন। ঝুলন্ত ব্রীজ দেখে আমারই বেশ ভয় ভয় করল। তবে আবার ওখানে উঠতেও ইচ্ছে করছে। তবে অত্যধিক ঝুঁকি নিয়ে কোন কাজ না করাই ভালো। আপনার ঘোরার ব্যাখ্যা শুনে বেশ বুঝতে পারছি যে একটি ভালো সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর পোস্ট শেয়ার করলেন ভাই।
একেবারে ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
কক্সবাজার নেপলু ভাইদের সাথে গিয়ে বেশ ভালোই মজা করেছেন। আমি আগে কখনো এই জায়গাটিতে যাইনি তবে যাওয়ার অনেক ইচ্ছা রয়েছে। ইনশাল্লাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একবার ঘুরে আসার চেষ্টা করব ধন্যবাদ আপনাকে।