ক্রিয়েটিভ রাইটিং || পরীক্ষা কখনো জীবন নির্ধারণ করতে পারে না
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে পরীক্ষা কখনো জীবন নির্ধারণ করতে পারে না শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকের যে পোস্ট আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷ এই পোষ্টের মধ্যে আমি সবকিছু খুব ভালোভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ এই পোস্ট এর টাইটেল দেখেই আপনারা বুঝে গিয়েছেন যে আমি আজকে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আসলে আজকের যে বিষয়টি হলো সেটি একেবারে দুঃখজনক একটি বিষয়৷ কিছুদিন আগে এরকম একটি ঘটনা আমাদের এলাকার এক ছোট ভাইয়ের সাথে ঘটেছিল যার ফলে আজকে আমি সেই পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আসলে প্রতিনিয়তই আমরা এরকম অনেক ঘটনা অনেক জায়গায় দেখে থাকি৷ অনেক কিছুই আমরা সেখান থেকে দেখে নিয়ে সেগুলো নিয়ে আফসোস এবং দুঃখ প্রকাশ করতে থাকি৷ তবে এগুলো যখন নিজের এলাকা, নিজের বাড়ির আশেপাশেই দেখা যায় বা শোনা যায় তখন তার থেকে দুঃখের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না।
কিছুদিন আগেই আমাদের স্কুলের দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা হয়েছিল এবং সেই টেস্ট পরীক্ষার যখন রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় তখন সেখানে অনেকেই পাশ করেছিল৷ আবার অনেকেই ফেল করেছিল৷ যার ফলে অনেক ভাবেই অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল৷ অনেকেই যারা ফেল করেছিল তাদের মনের মধ্যে একটি খারাপ মনোভাব চলে আসে৷ অনেকেই এমন খারাপ মনোভাব এর ফলে তারা এতটাই দুঃখ পায় যে তারা আর কোন কিছুই করতে পারছে না৷ একই সাথে ঠিক সেরকমই এই ছেলেটিও এখানে পাশ করতে পারেনি৷ তার নাম এখানে আসেনি৷ তখন তার মধ্যে একটা খারাপ চিন্তা চলে আসে৷ তার মনোভাব অনেকটাই খারাপের দিকে চলে যায় এবং সে ভাবতে থাকে যে সে এখন কি করবে৷ তার পিতা মাতার কাছ থেকেও সে অনেকটাই চাপের সম্মুখীন হতে থাকে৷ তার যে বড় ভাই ছিল সেও তাকে অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
এই চাপের সম্মুখীন হয়ে সে আর কিছুই করতে পারছিল না৷ সে অনেক সহজ সরল ছিল৷ যার ফলে সে তখন এতটাই ভেঙে পড়েছে যে সে আর কিছুই করতে পারে না৷ একই সাথে সে এত বেশি পরিমাণে ভেঙে পড়ার কারণে এবং তার পিতা-মাতা, তার ভাইয়ের এরকম চাপ প্রয়োগের কারণে যখন সে শেষ পর্যন্ত আর কিছুই করে উঠতে পারছিল না তখন তার থেকে দুঃখের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না৷ কারণ তার পিতা-মাতা প্রথমে তাকে যখন রেজাল্ট নিয়ে আসার পরে অনেক বকাবকি করতে থাকে তখন সে কি করবে কিছুই ভেবে না পেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়৷ সে তার নিজের জীবন শেষ করার জন্য চিন্তা করতে থাকে৷ সে এমন একটি জায়গায় গিয়ে বসে থাকে যে সেখানে মানুষের হাঁটাচলা তেমন নেই এবং মানুষজন সেখানে তেমন একটা যায়না৷ খুবই অল্প সময় মানুষ এখানে গিয়ে থাকে এবং সেখানে মানুষ যাওয়ার মত জায়গাও না।
যখন সবাই তাকে পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করছিল সে বাসা থেকে বের হয়ে কোথায় গিয়েছে, যখন তার বাবা মারা তাদের ছোট যে ভাইরা ছিল চাচতো ভাই তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে এবং তাদেরকে বলে যে সে এখন কোথায় আছে৷ যেন তাকে ডেকে নিয়ে নিয়ে আসে৷ তখন তারা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করতে থাকে৷ তারা এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করার পরে এক জায়গায় দেখে যে সে বসে আছে৷ সে এমনভাবে বসে রয়েছে যে সে অনেকটা দুঃখ পেয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে বসে রয়েছে৷ তবে পরবর্তীতে ছোট বাচ্চারা যখন সেখানে তাকে দেখে যে সে এভাবে বসে রয়েছে এবং সে তাকে যখন সামনের দিক থেকে দেখা হয় তখন তাকে দেখা যায় যে তার নাক মুখ থেকে রক্ত বের হয়ে গিয়েছে৷ একটা ওড়না গাছের উপর থেকে নিচের দিকে ঝুলে রয়েছে৷ যা থেকেই তারা বুঝতে পারে যে তাদের এই ভাই আর বেঁচে নেই৷ সে এভাবেই আত্মহত্যা করেছে৷ পরবর্তীতে তারা সবাইকে ডেকে আনে এবং এভাবেই সবকিছু বের হয়ে আসে৷ এরকম ঘটনা ঘটার পেছনে একটাই কারণ ছিল যে শুধু এইমাত্র সে দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা খারাপ করেছে। আসলে এরকম ঘটনা কোনমতেই মানা যায় না। এই ঘটনা যেভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের কষ্ট দিয়েছে, পুরো স্কুলের মানুষের পাশাপাশি পুরো এলাকায় যেন একটা শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ০৮.১২.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1865578362779127931?t=-5ov2Xf5auMfrn4yxSvO3g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি ভালোবাসা সব সময় আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
আমার মনে হয় রেজাল্ট নিয়ে কখনোই খুব একটা বকাবকি করা উচিত নয়। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করবার সূত্র জানি বর্তমানে শিশুদের চাপ দিলে তারা সবকিছু হারিয়ে ফেলে। আজকের যুগ অনেকটা আলাদা। তাই আগের যুগের মত চিন্তা ধারা এখন আর চলে না। এখানেই একটা প্রজন্মগত বিরোধ তৈরি হয়। আর সেটা শিশুদের মনের ওপর বিরাট চাপ ফেলে।
একেবারে ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
খুবই কষ্ট লাগলো ঘটনাটি পড়ে। আসলে একজন মানুষ কে পড়া কিংবা রেজাল্ট দিয়ে বিচার করা ঠিক নয়।এ রকম পরিস্থিতিতে পাশে থেকে সাপোর্ট করলে সামনে ভালো কিছু আশা করা যেতো। খুব ই দুঃখজনক একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন।
আসলে অনেক কষ্টদায়ক ছিল।
মানুষের জীবন অনেক বড়। সামান্য একটা পরীক্ষার খাতা যেটা কীনা লিখতে হয় তিন ঘন্টায় সেটা কখনোই মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না। ঐ সময় টা শুধু মানুষ তার একটা ছোট পরিশ্রমের উপর পরীক্ষা দিয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তব জীবন আরও অনেক বড় আরও অনেক বিস্তৃত। খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাই।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।