আমরাই সেরা প্রজন্ম (১৯৯১-২০০৭ ইং) // পর্ব-০৫।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ০৪ ইং ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, নয় মাস রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দেশে সময়ের তালে তালে এক এক প্রজন্ম এসেছে। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যদি একটু সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করি তাহলে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে যে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই প্রজন্মটা এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের সবথেকে সেরা প্রজন্ম। আমার দৃষ্টিতে এই প্রজন্মটা কেন সব থেকে সেরা প্রজন্ম সেই কথাগুলো আজ আমি আপনাদের নিকট উপস্থাপন করছি। আমি আশা করি, আমার লেখাগুলো পড়ে আপনাদের সামান্য পরিমাণ হলেও ভালো লাগবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমরাই সেরা প্রজন্ম। কারণ আমরা যে পরিমাণ সিনেমা প্রেমী ছিলাম ঠিক সেই পরিমাণই গানের প্রতি ভক্ত ছিলাম। শুধু তাই নয়, আমাদের প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাই আমাদের দেশের সব ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেছে এবং আমাদের খেলাধুলাকে আরো বেশি উন্নতির পথে নিয়ে গেছে। আমাদের সময় অন্যান্য খেলাধুলা করার পাশাপাশি আমরা যে পরিমাণ ফুটবল খেলা খেলেছি এবং ফুটবল খেলাকে সমর্থন করেছি সেটা হয়তো আমাদের দেশের আর অন্য কোন প্রজন্ম করেনি। ফুটবল খেলাকে ভালবাসে আমরা খেলার মাঠে কিংবা যেকোনো পরিত্যক্ত মাঠে, এমনকি বাড়ির উঠানে পাড়ার ছেলেদের নিয়ে দল বেঁধে ফুটবল খেলা করতাম। আমাদের তো প্রত্যেকদিন বিকেল বেলা ছিল ফুটবল খেলা করার এক আনন্দঘন মুহূর্ত। পাশাপাশি ছাত্র জীবনে সেই ছুটির দিনে সকাল কিংবা দুপুর দেখা দেখি নেই, সুযোগ পেলেই মেতে উঠতাম ফুটবল খেলায়।
সত্যি বলতে আমাদের প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাই ফুটবল খেলাকে বেশি সমর্থন করেছে এবং বেশি চর্চা করেছে। আমাদের প্রজন্মের সময় দেশের এমন কোন অঞ্চল ছিল না, যে সেখানে ফুটবল খেলা হয়নি। একটি গ্রামের বিপরীতে অন্য গ্রাম ফুটবল খেলা করতো, দেশের এক অঞ্চলের বিপক্ষে অন্য অঞ্চল ফুটবল খেলা করতো। আর সেই ফুটবল খেলা দেখার জন্য আমরা সাইকেলে চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটে কিংবা গরুর গাড়িতে চড়ে চলে যেতাম। সত্যিই আমরা ফুটবল খেলাকে যেভাবে উপভোগ করেছি সেটা হয়তো ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। একমাত্র আমাদের প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদেরই আমাদের দেশের সুনামধন্য মুন্না ও জয়ের মতো কৃতি ফুটবলারদের ফুটবল খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। কি অসাধারণ ছিল তাদের ফুটবল খেলা!
একমাত্র আমাদের প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বিদেশি ফুটবলারদের বাদ দিয়ে দেশীয় ফুটবলারদের নিয়ে বেশি মাতামাতি করেছে। দেশীয় কৃতি ফুটবলারদের জার্সি গায়ে জড়িয়েছে একমাত্র আমাদের প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাই। অবশ্য আমাদের সময়ও আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের সমর্থক ছিল আমাদের প্রজন্মের প্রায় সকল ছেলেমেয়েরাই। কিন্তু দেশের ফুটবলের প্রতি আমাদের আলাদা একটি টান ছিল। আমরাই প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলাম যে আমাদের বাংলাদেশের ফুটবল টিম একদিন বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চে উপনীত হবে। কিন্তু আমাদের সেই সুন্দর স্বপ্নটি বর্তমান সময়ে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
আমাদের প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আমাদের দেশের ফুটবল চ্যাম্পিয়ন লীগ খেলাটি দারুন ভাবে উপভোগ করতো। আমাদের সময় বাংলাদেশের ফুটবল চ্যাম্পিয়ন লিগ খেলাটি বিটিভিতে এবং বাংলাদেশ বেতার রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করতো। সেই খেলা দেখার জন্য কিংবা খেলার ধারাবিবরণী শোনার জন্য আমাদের ভিতরে এক অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করতো। আর যেদিন আবাহনী লিমিটেড এবং মোহামেডান ফুটবল টিমের মধ্যে খেলা হতো সেদিন যেন আমাদের পুরো বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতো। আমরা কেউ আবাহনী লিমিটেডের সমর্থন করতাম, আবার আমাদের মধ্যকার কেউ মোহামেডান ফুটবল টিমকে সমর্থন করতো। শুধু তাই নয়, আমাদের সময়কার বয়স্ক ব্যক্তিরাও এই ফুটবল ম্যাচের আনন্দ অনুভব করত। তারাও একে অন্যকে সমর্থন করতো। আবাহনী লিমিটেড এবং মোহামেডান ফুটবল টিমের মধ্যকার ম্যাচটি যেমন উত্তেজনাকর হতো, ঠিক তার চেয়েও বেশি উত্তেজনা যেন আমাদের মনের মধ্যে সৃষ্টি হতো। আর এ ধরনের ফুটবল ম্যাচ আমরা যখন বিটিভিতে দেখতাম তখন এক পাড়ার প্রায় সকল মানুষই এক জায়গায় বসে খেলা দেখতাম এবং আনন্দ উপভোগ করতাম। আবার লোডশেডিং এর কারণে মাঝেমধ্যে আমরা রেডিওতে খেলার ধারা বিবরণী শুনতাম যেটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল আমাদের জন্য। বাংলায় ফুটবল খেলার ধারা বিবরণী শোনার যে কি মজা ছিল সেটা একমাত্র আমাদের প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাই ভালো জানে।
চলবে।
#general-writing #thebestgeneration #memories #steemexclusive #krsuccess #amarbangla-blog #bangladesh
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.