রাত্রে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণ।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ মঙ্গলবার । ১১ ই জুলাই, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
টঙ্গীতে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ ভ্রমণ শেষে আমাদের দুটি বাস পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হলো। আমরা যখন টঙ্গী থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম তখন মাগরিবের আজান হয়ে গিয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছিলাম যে পদ্মা সেতুতে ওঠার সময় রাত অনেকটা হয়ে যাবে। তারপরও আমাদের অদম্য ইচ্ছা ছিল পদ্মা সেতু দেখবো। তাছাড়া, আমাদের সকলের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণ করবো। অবশ্য সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিন্তু স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমন করা হয়ে গেল রাত্রে বেলায়। টঙ্গী গোপালগঞ্জ ভ্রমণ শেষে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। পদ্মা সেতুর ওপর আমরা যখন উঠলাম তখন ঠিক রাত ০৯ টা বেজে গেল।
পদ্মা সেতুতে ওঠার আগেই আমরা নির্দিষ্ট স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকটে আমাদের দুইটি বাসের জন্য ৫ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে দিলাম। তারপর আমাদের পিকনিকের বাস দেখে ওখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের কিছু উপদেশ দিল। পাশাপাশি আমরা আগে থেকেই জানি যে পদ্মা সেতু ভ্রমণের নিয়ম গুলো। তাই আমরা যেহেতু বাস থেকে পদ্মা সেতুতে নামতে পারবো না। তাই বাসের ড্রাইভারকে বলে দিয়েছিলাম বাস তুলনামূলক আস্তে চালাতে।
পদ্মা সেতুতে বাস ওঠার সাথে সাথে বাসের জালানা দিয়ে এই ভিডিওটি করেছিলাম
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উপর যখন আমাদের বাস আস্তে আস্তে চলতে লাগলো তখন আমরা সকলেই বাসের জালানা দিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে লাগলাম। আসলে রাতের বেলায় হলেও পদ্মা সেতু দেখার অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল। বাসের ভিতর থেকে সকল ছাত্র এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাসের জালানা দিয়ে নয়ন ভরে পদ্মা সেতু দেখায় ব্যস্ত ছিল। আমিও তাদের সাথে পদ্মা সেতু দেখার পাশাপাশি কয়েকটা ভিডিও করে রেখেছিলাম। রাতের বেলায় ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বিশাল আকৃতির পদ্মা সেতু দেখে সত্যিই মনটা আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের বাস আস্তে আস্তে যতক্ষণ পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলতে লাগলো মনে হচ্ছিল যেন আমরা ইউরোপ বা আমেরিকার মতো দেশের কোন একটা সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করছি। আসলে বিশাল আকৃতির পদ্মা সেতু নিজের চোখে না দেখলে ভাষায় বোঝানো অসম্ভব।
আমাদের দুটি বাস আস্তে আস্তে পদ্মা সেতুর একেবারেই শেষ প্রান্তে গিয়ে পুনরায় পদ্মা সেতুর উপর উঠে পড়ল। তারপর আবার পদ্মা সেতুতে ওঠার কারণে দ্বিতীয়বারের মতো টোল পরিশোধ করতে হলো। আসলে টোলের টাকার পরিমাণটা বেশি হলেও পদ্মা সেতু ভ্রমণের মধ্যে আমরা যে পরিমাণ আনন্দ পেয়েছি সেটা হয়তো অন্য কোথাও পায়নি। বিশেষ করে টঙ্গী গোপালগঞ্জ ভ্রমণের চেয়েও স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণের মুহূর্তটুকু আমরা বেশি উপভোগ করেছি। পদ্মা সেতুর উপর থেকে যখন পদ্মা নদীর উপর তাকালাম তখন শতশত আলো দেখতে পেলাম পদ্মা নদীর মাঝখানে। তখন বুঝতে পারলাম পদ্মা নদীর মাঝখানে অনেকগুলো লঞ্চ, স্টিমার এবং টলার যাতায়াত করেছে। রাতের বেলায় নদীর মাঝখানে জোনাকির মতো জ্বলে থাকা লঞ্চ, স্টিমারের আলো গুলো দেখতে খুবই ভালো লেগেছিল। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমার সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছিল পদ্মা সেতুর উপরে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্কমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।
পদ্মা সেতু ভ্রমণের শেষ মুহূর্তের একটি ভিডিওগ্রাফি
স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণের সময় সবচাইতে আকর্ষণীয় একটি বিষয় হলো পদ্মা সেতুর একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ল্যাম্পপোস্টের মাধ্যমে আলোর সুব্যবস্থাটি। যার কারনে রাত্রেবেলা হলেও আমরা অত্যন্ত সুন্দরভাবে পদ্মা সেতু ভ্রমন করতে পেরেছি এবং পদ্মা সেতু স্বচক্ষে দেখতে পেরেছি। আর রাতের বেলায় পদ্মা সেতুর উপর যানজটের তেমন একটা চাপই ছিল না। একেবারেই ফাকা ছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতুটি। তাই আমরা সকলেই অত্যন্ত আনন্দের সাথে এবং ইচ্ছামতো স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে পেয়েছি এবং পদ্মা সেতু ভ্রমণের মুহূর্তটুকু খুবই উপভোগ করেছি। তারপর পদ্মা সেতুর ভ্রমণ শেষ করে আমরা বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম। সেদিন আমরা ভোর চারটার সময় বাড়িতে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু মজার বিষয় হলো- এত বড় একটা লম্বা জার্নি আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে শেষ করেছিলাম। কারণ আমাদের শিক্ষক কিংবা ছাত্র-ছাত্রী কেউ অসুস্থ হয়েছিল না। আমরা সকলেই আল্লাহর রহমতে অত্যন্ত সুস্থ এবং স্বাভাবিক ছিলাম এবং সুন্দরভাবে প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছেছিলাম।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ ভ্রমনের শেষ পর্বটি পড়ার লিঙ্ক
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/bidyut01/status/1678793348256247808?t=JNuJA4H1XIGB2XiQ05Duyg&s=19
আশা করি ভাই ভালো আছেন ? আপনার পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। রাত্রি বেলায় পদ্মা সেতুর পার হওয়ার চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। পদ্মা সেতুর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।