গল্প :- সম্মান // পর্ব:-০২।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ মঙ্গলবার। ,০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
রহিম স্যারের কথাগুলো সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মনোযোগ দিয়ে শুনতেছিল। এমন মুহূর্তে শিমু নামের একজন ছাত্রী স্যারকে জিজ্ঞেস করলো, স্যার, সম্মান পেতে হলে আমাদেরকে কি করতে হবে? উত্তরের রহিম স্যার বললো, সম্মান পেতে হলে অবশ্যই তোমাকে প্রথমে তোমার বড়দেরকে সম্মান করতে হবে এবং তোমার ছোটদের স্নেহ করতে হবে, পাশাপাশি তোমার সহপাঠীদের সাথে ও অন্যান্য মানুষের সাথে সবসময় সুন্দর আচরণ করতে হবে। একই সাথে তোমাদের সত্যবাদী, ধর্ম অনুরাগী, ন্যায়পরায়ণ, স্পষ্টভাষী এবং ভালো আচরণকারী মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তাহলে সকল মানুষের নিকট থেকে এবং মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট থেকেও সম্মান পাওয়া যাবে। রহিম স্যারের এরকম কথা শুনে রিয়াজ নামের একজন ছাত্র স্যারকে প্রশ্ন করলো, স্যার মহান আল্লাহ আমাদেরকে কিভাবে সম্মানিত করে? উত্তরে রহিম স্যার বললো, সকল সম্মানের মালিক হলো আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে সম্মানিত করেন। তবে আল্লাহর নিকট থেকে সম্মানিত হতে হলে প্রথমে তাকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
রহিম স্যার আরো বললেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট থেকে সম্মানিত হবে সেই ব্যক্তি পৃথিবীর বুকে সকল মানুষের নিকট এবং মহান সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্ট জীবদের থেকেও সম্মান পাবে। রহিম স্যার আরো অনেক মূল্যবান উপদেশ মূলক কথা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শেয়ার করলেন। রহিম স্যারের এরকম সুন্দর সুন্দর কথা শোনার পরে জসিম নামের একজন ছাত্র স্যারকে জিজ্ঞেস করলো, স্যার মহান আল্লাহর নিকট থেকে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছে এমন কোন মানুষের গল্পকে আপনি কি জানেন? যদি জানেন তাহলে আমাদেরকে একটু শোনান। ছাত্রের এরকম প্রশ্নের রহিম স্যার বলল হ্যাঁ, এরকম সুন্দর একটি গল্প আমি জানি যদি তোমরা চুপচাপ শুনতে চাও তাহলে আমি বলবো।
তারপর রহিম স্যার বলতে লাগলো অনেকদিন আগের একটি বাস্তব সম্মত গল্প। রহিম স্যার বললো, গল্পটি আমার দাদার নিকট থেকে শুনেছিলাম। সে অনেকদিন আগের কথা, আমাদের পাশের গ্রামে একজন অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ বসবাস করতেন। গ্রামটি ছিল অত্যন্ত বড় কিন্তু জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। আর গ্রামের অধিকাংশ জায়গা ছিল ফসলের মাঠ এবং গাছপালা আর বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। সে সময় মাঝেমধ্যেই গ্রামের মধ্যে বাঘ চলে আসতো এবং মানুষের উপর আক্রমণ চালাত। তাই গ্রামের সকল মানুষ এক জায়গায় সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতো।
কিন্তু ধার্মিক লোকটি গ্রামের লোকজন থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে মাঠের মধ্যে একটি জঙ্গলে থাকতো। ধার্মিক লোকটি জঙ্গলের যেখানে থাকতেন সেই জায়গাটি অত্যন্ত পরিষ্কার করে রাখতেন। একই সাথে তিনি শারীরিকভাবেও অত্যন্ত পরিষ্কার থাকতেন। ধার্মিক লোকটি সবসময় মহান আল্লাহর ধ্যানে থাকতেন। গল্প বলার এমন মুহূর্তে একজন ছাত্র রহিম স্যারকে জিজ্ঞেস করে উঠলো, স্যার ধার্মিক লোকটির স্ত্রী এবং তার সন্তানরা কোথায় থাকতেন? রহিম স্যার রাগান্বিত না হয়ে হাসিমুখে সুন্দরভাবে বললেন, আমি সবকিছুই তোমাদের বলবো তোমরা শুধু ধৈর্য ধরে মনোযোগ দিয়ে গল্পটি শুনে যাও।
গল্পটির প্রথম পর্বটি পড়ার লিঙ্ক
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সম্মান গল্পটার প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিল, তাই আজকে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব পড়তেও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। রহিম স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বেশ ভালোই শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। আর ছাত্র-ছাত্রীরা ওনাকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করছিল, যার কারণে ওরা অনেক কিছু জানতে পারছিল। আর অন্য একজন ছাত্রের কথায় তিনি একটা গল্পও বলছিলেন। এখন দেখা যাক এই গল্পের শেষে কি হয়। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনি খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করবেন।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রহিম স্যার আসলেই খুব ভালো মনের একজন মানুষ। উনার মতো এমন শিক্ষক প্রতিটি স্কুল কলেজে থাকলে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে পারতো। অবশ্যই বড়দের সম্মান দিলে এবং ছোটদের স্নেহ করলে,আল্লাহ তায়ালা তার বিনিময়ে আমাদেরকে সম্মান পাইয়ে দেন। সম্মান জিনিসটা খুবই দামী। তাই অন্যের কাছ থেকে সম্মান পেতে হলে নিজের মনমানসিকতা সেভাবে তৈরি করতে হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
খুবই উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকের এই পর্বটি পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ প্রথম পর্বের মধ্যে আপনি অনেকগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আজকের এই গল্পের মধ্যেও অনেকগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ রহিম স্যার তার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনেক কিছুই শিখিয়েছিলেন৷ যখন ওনাকে উনার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ন করল তখন তিনি উত্তর দেওয়াতে তারা সকলে অনেক কিছু জানতে পারলো৷ একজন ছাত্রের কথায় তিনি সুন্দর একটি গল্পও শুনিয়েছিলেন৷ যার ফলে তার মেধা বিকাশ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে গেল৷ পরবর্তী পর্বগুলো দেখার আশা রইল৷
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি। আপনার মন্তব্য পড়ে আমি খুবই খুশি হয়েছি।
রহিম স্যার এর মন মানসিকতা সত্যি অনেক বেশি ভালো। আর অনেক শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিল। ক্লাসের মধ্যে এরকম শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে স্টুডেন্টরা আর বড়দেরকে অসম্মান করতেই পারবে না। তারাও তাহলে এগুলো সম্পর্কে অনেক বেশি ধারণা নিতে পারবে। আর যখন একটা ছাত্র বলছিল এরকম বিষয়ে কোন গল্প জানা থাকলে বলার জন্য তখন স্যার খুব সুন্দর ভাবে একটা গল্প বলছিল। গল্পের অর্ধেকটা পড়ে ভালো লেগেছে এখন দেখা যাক এই গল্পের ওই ধার্মিক লোকটির কি হয়।
ধার্মিক লোকটাই এই গল্পের মূল আকর্ষণ, সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।