গল্প :- সম্মান // পর্ব:-০১।

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ সোমবার। ২৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

siblings-gc11837ab2_1280.jpg

Source



রহিম বেশ বয়স্ক একজন মানুষ। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। জীবনের সোনালী মুহূর্তটুকু ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার কাজেই ব্যয় করেছেন। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাংলা বিষয়ের শিক্ষক তিনি। তিনি যেমন মিষ্টি হেসে ছাত্রদের পড়াতে পারেন, বোঝাতে পারেন, ঠিক তেমনি পারেন ছাত্রদের শাসন করতে। বিদ্যালয়ের প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীরা রহিম স্যারের শাসনে থাকতো। কিন্তু এখনকার ছাত্ররা রহিম স্যারের শাসন ও উপদেশ মেনে চলতে চায় না। কারণ রহিম স্যারের বয়স ৬০ বছর পার হয়ে গেছে, যদিও সার্টিফিকেট বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। চাকরিজীবনের একেবারেই শেষ প্রান্তে এসেছেন তিনি। আর এমন বয়সে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা নিঃসন্দেহে রহিম স্যারের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে।

আসলে বর্তমান সময়ে শ্রেণীকক্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে রেখে তাদের পাঠদান করানো খুব সহজ একটা কাজ না। কিন্তু রহিম স্যার তার চাকুরী জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও যেন তার দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্রও অবহেলা করেন না। বরং রহিম স্যার তার বয়সের কথা ভুলে গিয়ে ঠিক যেন যুবক বয়সে যেভাবে শিক্ষকতা করেছেন ঠিক সেভাবেই ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা রহিম স্যারকে এখন সেভাবে আর সম্মান দিতে চায় না, রহিম স্যারকে আর সেভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা ভয় পায় না। এক সময় রহিম স্যারকে দেখে ছাত্র ছাত্রীরা যমের মতো ভয়ে ভয় পেত। আর এখন সেই রহিম স্যারের সামনে দিয়ে এখনকার ছাত্ররা বাইক ছুটিয়ে চলে যাচ্ছে অথচ স্যারকে সম্মান করছে না। কারণ রহিম স্যার বয়সের ভারে তার সেই শাসন করার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছে।

রহিম স্যারের শাসন করার ক্ষমতা কমে গেছে বলে তার সম্মানও মে কমে গেছে-- এমনটাও না। আসলে যারা ভাল ছাত্র-ছাত্রী, যারা বিনয়ী ছাত্র ছাত্রী তারা সব সময় তাদের শিক্ষককে যথার্থভাবে সম্মান করে। আর কিছু বেয়াদব ছাত্রছাত্রী আছে যারা স্যারের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে স্যারকে সম্মান করে। যাহোক, বর্তমান সময়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের বাজে আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে সেদিন রহিম স্যার শ্রেণীকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছিলেন। শ্রেণীকক্ষে তিনি সকল ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে, পৃথিবীর বুকে মা, বাবা এবং শিক্ষককে অর্থাৎ তোমাদের সকল অভিভাবককে যথার্থভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে।

আসলে বর্তমান সময়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভুলে গেছে যে কিভাবে তাদের অভিভাবকদের সম্মান করতে হয়। তারপর রহিম স্যার তার ছাত্র-ছাত্রীদের আরো বললেন, পৃথিবীর বুকে তোমরা যদি তোমাদের অভিভাবকদের যথার্থভাবে সম্মান না করো, তাহলে পরবর্তীতে তোমরা যখন অভিভাবক হবে তোমরাও তোমাদের সন্তানদের নিকট থেকে যেন সম্মানের আশা করো না। রহিম স্যারের কথাগুলো শ্রেণীকক্ষের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মনোযোগ দিয়ে শুনছিল।।



গল্পটি চলমান থাকবে। গল্পটির০২ তম পর্ব আগামী সপ্তাহে শেয়ার করা হবে।


১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Sort:  
 8 months ago 

আসলে স্যারের প্রতি একজন আদর্শ ছাদের কিংবা আদর্শবান মানুষের অবশ্যই সন্মান চিরজিবনের জন্য থাকে।যারা শিক্ষক কে সন্মান করতে পারে না তারা কখনোই ভালো মানুষ হতে পারে না।রহিম স্যার ঠিক কথাই বলেছেন যে পৃথিবীর বুকে মা, বাবা এবং শিক্ষককে অর্থাৎ তোমাদের সকল অভিভাবককে যথার্থভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে।

 8 months ago 

আজকে আপনি সম্মান গল্পের প্রথম পর্ব তুলে ধরেছেন। রহিম স্যারের বয়স হওয়ার পর থেকে কোন ছাত্র-ছাত্রী ওনাকে সম্মান করত না। তবে যারা ভালো ছিল তারা সম্মান করত। রহিম স্যারের বয়স হলেও তিনি শিক্ষার্থীদের সবকিছু ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতেন সবসময়। হয়তো বয়সের কারণে শাসন আগের মত করতে পারে না। তবে তিনি যথাযতভাবে চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীদের কে সম্মান এবং শ্রদ্ধার কথা বলছিল। আর দেখছি শ্রেণিকক্ষে থাকা সব শিক্ষার্থী স্যারের কথা বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। যাইহোক এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

 8 months ago 

আসলে প্রত্যেকটা মানুষকে আমাদের সম্মান করা উচিত। তা আমাদের গার্জিয়ান হোক, অথবা বড় যে কোন মানুষই হোক না কেন। রহিম স্যারের এই বয়সে উনাকে সবাই অসম্মান করতেছে জেনে খারাপ লেগেছে। তবে যারা সম্মান করার তারা অবশ্যই করতেছে। স্যার একেবারে ঠিক কাজ করেছে শিক্ষার্থীদেরকে সম্মানের ব্যাপারে কথাগুলো ক্লাসের মধ্যে বলে। এখন শেষ পর্যন্ত কি হয় এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্বটা

 7 months ago 

রহিম স্যার একেবারে যথার্থ বলেছেন, কারণ সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়। এখনকার বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা একেবারে বেয়াদব। তারা টিচারদের একেবারেই সম্মান দিতে জানে না। টিচাররা শাসন করার সময় লাঠি পর্যন্ত ধরে ফেলে। অবশ্য এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনে উন্নতি ও করতে পারে না। তবে এর মধ্যে অবশ্যই কিছু ভালো ছাত্র ছাত্রী রয়েছে, যারা টিচারদের সম্মান দেয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60497.39
ETH 2637.52
USDT 1.00
SBD 2.56