গল্প :- সম্মান // পর্ব:-১১
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বৃহস্পতিবার।২৮ ই মার্চ, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
মাঝির কথা শুনে উপস্থিত সকলে বললো, চলুন আমরা ধার্মিক লোকের শয়ন কক্ষে গিয়ে দেখি মাঝির কথা সঠিক হয় কি-না। কালুসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ ধার্মিক লোকের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করল এবং তারা দেখলো যে, কক্ষের ডান দিকে সুন্দর একটি ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে। ধর্মীয় গ্রন্থটি দেখে সকলে মাঝির মুখের দিকে তাকালো। তখন মাঝি সবাইকে বললো আপনারা বইটি পবিত্র শরীরে স্পর্শ করবেন এবং আমার কথামতো সবকিছু মিলিয়ে দেখবেন। তারপরে মাঝির কথামতো কালু পাক পবিত্র হয়ে ধর্মীয় গ্রন্থটি হাতে নিয়ে দেখলো যে, ধর্মীয় গ্রন্থের ঠিক মাঝখানে ১০০ টাকা নতুন একটি নোট রয়েছে। তখন মাঝির কথা প্রায় সকল মানুষই বিশ্বাস করে নিলো। তারপর পরই দেখলো যে, ধর্মীয় গ্রন্থটির নিচের অংশে সুন্দর একটি স্বর্ণের টুকরো রয়েছে।
মাঝির কথা যখন শতভাগ মিলে গেল তখন সকলেই অবাক হয়ে উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিল। এবং সকলেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। কিন্তু ধার্মিক লোক যে মৃত্যুবরণ করেছে এটা জানতে পেরে মাঝি সম্পূর্ণরূপে হতবাক হয়ে গেল। এরপর ধার্মিক লোকের দিয়ে যাওয়া নির্দেশ অনুসারে মাঝিকে ১০০ টাকার নোট যাতায়াত ভাড়া হিসেবে প্রদান করলো কালু। এরপর কালু উপস্থিত সকলের নিকট থেকে জানতে চাইলো, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে এই ধর্মীয় গ্রন্থটি নিয়মিত পড়তে পারবে এবং সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করতে পারবে? কিন্তু উপস্থিত মানুষের নিকট থেকে কোন সাড়া না পেয়ে কালু শেষ পর্যন্ত মাঝির হাতে ধর্মীয় গ্রন্থটি এবং স্বর্ণের টুকরোটি তুলে দিলো। একই সাথে কালু বললো, আমাদের শ্রদ্ধেয় ধার্মিক লোকটি যেহেতু আপনাকে এতো সুন্দর গোপন কথা বলে গিয়েছে, তাই আপনি এই ধর্মীয় গ্রন্থটি যথার্থ মানুষের নিকট পৌঁছে দিবেন।
মাঝি ধর্মীয় গ্রন্থটি ও স্বর্ণের টুকরোটি হাতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হল এবং সকলকে আশ্বস্ত করলো, তার পরিচিত একটি অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি আছেন, তার কাছেই তিনি এই বইটি পৌঁছে দিবেন। তারপর ধর্মীয় গ্রন্থটি সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত সকলের নিকট থেকে মাঝি বিদায় নিয়ে চলে গেল। মাঝির পরিচিত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিটি থাকেন মাঝির লোকালয় থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে অন্য একটি লোকালয়ে। মাঝি অত্যন্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির লোকালয়ে চলে গেল। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির আস্তানাটি ছিল একটি গহীন জঙ্গলের ভিতর। কিন্তু মাঝি মাঝেমধ্যে সেই ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির কাছে যাতায়াত করে। তাই ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির আস্তানাটি তার খুবই পরিচিত। যদিও যেকোনো মানুষ বিনা অনুমতিতে সেই আস্তানায় প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু মাঝির জন্য যেকোনো সময় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির আস্তানায় যাওয়ার অনুমতি ছিল পূর্বে থেকেই।
মাঝি যখন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির আস্তানার প্রবেশপথে পা দিল ঠিক তখনই ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মাঝির নিকটে এগিয়ে এসে বললো, এসে গেছে মাঝি, তোমার অপেক্ষায় তো আমি প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে আছি। মাঝি তখন অবাক হয়ে মৃদু কন্ঠে বললো, হুজুর আমার অপেক্ষায় মানে, আমি যে আপনার এখানে আসবো-- আপনি কি আগে থেকেই জানতেন? ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মিটমিট করে হেসে বললো, মাঝি তোমার হাতে যে ধর্ম গ্রন্থটি আছে এবং এক টুকরো স্বর্ণ আছে সেটা তো আমার বন্ধু আমার আগে থেকেই বলে গেছে। আর আমার বন্ধুর এই পবিত্র আমানতটি আমার হাতে নেওয়ার জন্যই আমি তোমার অপেক্ষায় এই প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছি। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির মুখে এরকম কথা শুনে মাঝির দুটি চোখ যেন কপালে উঠে গেল, মাঝির মাথায় চক্কর দিয়ে মাঝি যেন নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
মাঝির বিবর্ণ চেহারা এবং নীরবতা দেখে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি পুনরায় মিটমিট করে হেসে বলে উঠলো, মাঝি তুমি হয়তো ভাবছো-- আমার বন্ধু তোমার নৌকায় চড়ে নদী পার হয়েছে। আবার আমার বন্ধুর আস্তানায় গিয়ে তুমি জানতে পেরেছো সে ইন্তেকাল করেছে। আর এসব বিষয়গুলো নিশ্চয়ই এখন তোমার মনের মধ্যে ঘূর্ণিপাক খাচ্ছে। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির কথা শুনে মাঝি সম্পূর্ণরূপে অবাক হয়ে গেল। তখন মাঝি বললো, হুজুর আপনি আমার মনের কথাগুলো কিভাবে জানলেন? আর এটা কিভাবে সম্ভব?
গল্পটির দশম পর্বটি পড়ার লিঙ্ক
গল্পটি চলমান থাকবে। গল্পটির দ্বাদশতম পর্বটি আগামী সপ্তাহে শেয়ার করা হবে।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে থাকেন। আপনার গল্প পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। গল্প পড়ার মধ্যে রয়েছে অন্যরকম আনন্দ। আর গল্প পড়লে অনেক কিছু জানা যায়। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই গল্প পড়ে।
এই গল্পের মোড় দেখছি একেবারে অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে। ধার্মিক লোকটা যেহেতু মারা গিয়েছে তাহলে কিভাবেই বা মাঝির নৌকায় চড়ে গিয়েছিল, আর ওনার কথা মত সবকিছু কিভাবেই বা মিলে গেল। আবার মাঝি যে লোকটার কাছে গিয়েছে ওটা হচ্ছে ধার্মিক লোকের বন্ধু। আর তিনি তো দেখছি আগে থেকেই সবকিছু জানতেন। এরকম আশ্চর্যজনক সব ঘটনা ঘটলে মাঝির কাছে তো এরকমটা লাগবেই। তবে এই গল্পটার শেষ পর্যন্ত কি হবে এটাই দেখার অপেক্ষায় আছি শুধু।
দেখতে দেখতে সম্মান গল্পটার ১১ টি পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই গল্পের বেশিরভাগ পর্ব আমার পড়া হয়েছে। মাঝির কথাটা শুনেও অদ্ভুত লেগেছে। আর ওই ধার্মিক লোকের বন্ধুর কথা শুনেও কিছুটা অদ্ভুত লেগেছে আমার কাছে। ধার্মিক লোকটা যদি মারাই যায়, তাহলে ওই লোকটার নৌকায় কিভাবে চড়েছে। আর সবকিছু ধার্মিক লোকের বন্ধুই বা কিভাবে জানল। মাঝি মনে মনে কি চিন্তা-ভাবনা করছিল এটাও দেখছি লোকটা জেনে গেছে। এটার শেষ পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।