গল্প :- সম্মান // পর্ব:-০৩।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ মঙ্গলবার। ,০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
ধার্মিক লোকটি যেখানে বসে মহান সৃষ্টিকর্তার ধ্যানে মগ্ন থাকতেন সেই জায়গায় ছিল সুন্দর একটি ফলের বাগান। একই সাথে আশপাশের জায়গাগুলোতে তিনি ফসল উৎপাদন করতেন। ধার্মিক লোকের চাষ করা ফসল গুলোর অধিক ফলন হতো। এমনকি ফল বাগানের বিভিন্ন জাতের ফলের গাছে অনেক ফল আসতো। ধার্মিক লোকটি ফল বাগানের দেখাশোনা করতেন। ওই সময় সেই গ্রামে কালু ও সুজন নামের দুইজন নামকরা চোর ছিল। কালু ও সুজন অনেকদিন থেকেই ধার্মিক লোকের স্থানে চুরি করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু তারা সাহস করে সেখানে চুরি করতে যেতে পারে না।
একদিন কালু ঘাস কাটার নাম করে ধার্মিক লোকের স্থানে চলে গেল। সেখানে গিয়ে কালু দেখলো যে, ধার্মিক লোকটি সেখানে নেই। আশপাশের জায়গায় কালু ধার্মিক লোকটিকে খুঁজে বেড়ালো। এমনকি হুজুর হুজুর বলে বেশ কয়েকবার চিৎকার করে ডাকাডাকি করলো, কিন্তু ধার্মিক লোকটির কোন খোঁজ পেল না। হঠাৎ করে ধার্মিক লোকের নিখোঁজ দেখে কালু ভাবলো হয়তো তিনি কোথাও বেড়াতে গেছেন। আসলে ধার্মিক লোকটি মাঝেমধ্যেই দূরে কোথাও একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বেড়াতে চলে যায়। তারপর পুনরায় তার স্থানে ফিরে আসে।
কালু মাঠ থেকে সোজা সুজনের কাছে চলে গেল। সুজনকে সব কথা খুলে বললো। কালুর সব কথা শুনে সুজন বললো, এটাই আমাদের উপযুক্ত সুযোগ হুজুরের ওখানে চুরি করার। সুজনের কথায় কালু বেশ বড় রকমের সাই দিলো। কালু বললো, আমি দেখে এসেছি ধার্মিক লোকের ফল বাগানে হরেক রকমের ফল ধরে আছে। বিশেষ করে কলাবাগানে অনেক বড় বড় কলার কাঁধি ঝুলে রয়েছে। ওখান থেকে কিছু কলা চুরি করতে পারলে আমরা বেশ কিছুদিন বসে খেতে পারবো। তারপর ধার্মিক লোকের ফল বাগান থেকে কালু ও সুজন মিলে সারারাত কলা চুরি করার বিরাট পরিকল্পনা করে ফেললো। এমনকি তারা কলা গুলো চুরি করে কোথায় বেচবে সেই জায়গাও নির্ধারণ করে ফেললো।
রহিম স্যারের গল্পে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মশগুল হয়ে গেছে। সকল ছাত্র-ছাত্রীরা স্যারের গল্পটি খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনতেছিল। তারপর রহিম স্যার তার গল্প বলে যেতে লাগলো। কালু ও সুজন তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক রাত 9 টার পর ধার্মিক লোকের বাগানে কলা চুরি করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। সাথে কলা চুরি করার জন্য অনেকগুলো বস্তা এবং কিছু ধারালো অস্ত্র নিলো। একই সাথে তারা চারজন সঙ্গীকে ভাড়া করে আনলো। তারপর কালু ও সুজন তাদের ভাড়া করে আনা চারজনকে মাঠের প্রধানপথে অপেক্ষা করতে বললো। তারপর কালু ও সুজন বাগানের ভিতরে প্রবেশ করলো। রাতের আঁধারে ধার্মিক লোকের নিস্তব্ধ বাগানে চুরি করতে গিয়ে দু'জনের বুকেই ভয় বাসা বাঁধতে লাগলো।
আসলে নিঝুম কালো আঁধারের রাত, মাঠ ছাড়া জনবসতি অনেকটা দূরে, অন্ধকার রাতে মাঠের ভিতরে কয়েকটা ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না। এমন অবস্থায় কালু ও সুজন অনেকটা ভয়ে ভয়ে পা ফেলছিল। এমন অবস্থায় একটা অচিন পাখি বেশ ভয়ঙ্কর কন্ঠে ডেকে উঠলো। পাখির এরকম ডাক শুনে দু'জন ভয়ে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলো। হঠাৎ করে কালু সুজনকে বলে উঠলো, জীবনে অনেক চুরি করেছি কিন্তু এরকম ভয় মনের মাঝে আসে না। আজ বড্ড ভয় লাগছে আমার। সুজন কালুকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো, আসলে এটা আমাদের মনের দুর্বলতা ছাড়া আর কিছুই না। আসলে সুজন এরকম কথা বললেও তার মনের মধ্যেও ভয়ের কোন কমতি ছিল না।
গল্পটির দ্বিতীয় পর্বটি পড়ার লিঙ্ক
সম্মান গল্পটার তিন নম্বর পর্ব আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে পড়তে। কালু আর সুজন দেখছি চুরি করার জন্য লোকটার বাগানে চলে গিয়েছিল। আর তারা ওনার বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সাথে তো দেখছি ভয়ংকর ঘটনা ঘটতেছে আর তারা অনেক বেশি ভয় পাচ্ছে। এসব কিছুর কাহিনী আসলে কি এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি স্যার এই গল্পটা খুবই সুন্দরভাবে বলবে। আর গল্পের মোড এই পর্যায়ে আসার পর দেখছি, ছাত্র-ছাত্রীরা আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে গল্পটা শুনছিল।
ধার্মিক লোকের ফল বাগানে চুরি করার জন্য দেখছি চোর দুটো উঠে পড়ে লেগেছে একেবারে। আর যখন এরকম একটা সুযোগ পেয়েছে, তাই হাত ছাড়াই করেনি তারা । তাইতো আরো চারজন সঙ্গীকে ঠিক করে রাতে সেখানে চুরি করার জন্য চলে গিয়েছিল। কিন্তু তারা তো দেখছি অনেক বেশি ভয় পাচ্ছে। এরকম শব্দ শুনে ভয় পেল কেন এটাই বুঝতেছিনা। এখন দেখা যাক চোর দুটোর সাথে কি হয়। আর স্টুডেন্ট গুলো এই গল্পটা স্যারের কাছ থেকে অনেক বেশি মনোযোগ দিয়ে শুনতেছে দেখছি। এই গল্পের শেষ পর্যন্ত কি হয় এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।