একজন সুখী ব্যক্তির আত্মহত্যা। ( শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের চারপাশের প্রায় অনেক ধরনের ঘটনা রয়েছে যেগুলো থেকে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। তাই আমি চিন্তা করলাম এরকম বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলে বেশ ভালো হয়। এরকম একটি ঘটনা নিয়ে আজকেও আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করব বিষয়টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহিত করবেন।
এই গল্পের প্রথম পর্বে দেখেছিলেন রাজনের পরিবার খুব সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছিল। এমনকি তার তিন মেয়ে সন্তান ছিল। কেউ কখনো তাদের পরিবারের ঝামেলা শুনেনি।
কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার সংসারে অনেক ধরনের ঝামেলা চলতেছে কেউ জানে না। সেই বিদেশ থাকাতে তার ইনকাম হিসেবে সে বাড়িতে টাকা দিত। কিন্তু তার স্ত্রী সে যে টাকা দেয় তাতে সে সন্তুষ্ট না। সব সময় তাকে ফোনে বিরক্ত করে এবং কঠোর ভাষা ব্যবহার করে। কারণ তার স্ত্রী মনে করে সে বিদেশে অনেক ভালো আছে এবং ভালো টাকা ইনকাম করতেছে। আসলে যে বিদেশে কাজ করে সেই বুঝে টাকাগুলো কত কষ্টের এবং কি টাকা ইনকাম করতে পারে। আসলে সেখানে যে কতটা পরিশ্রম এটা কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব না।
এরপর লোকটি কথাগুলো কারো সাথে শেয়ার করলেন না সব সময় গম্ভীর হয়ে থাকতেন। আসলে ভেতরে ভেতরে রাখতে লোক তার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছিল। এভাবে তাদের সংসারে কিছুদিন যাবত খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। কিন্তু বাহিরের কেউ এই বিষয়গুলো জানতো না। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে খবর আসে এবং ফেসবুকে আমরা দেখতে পাই। রাজন সৌদি আরব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমিও ফেসবুকে দেখে প্রথম বিশ্বাস করতে পারছি না এত ভালো লোক কেন যে নিজের জীবনটা শেষ করে দিল। এরপর এলাকায় চারপাশে হইচই পড়ে গেল।
এখনো তার লাশটি দেশে আসে নাই। কি কারনে সে আত্মহত্যা করল তার এখনো কোন নির্দিষ্ট খবর বাইর হয় নাই। এখন সন্দেহের তীর তার স্ত্রীর দিকে যাচ্ছে। সৌদি আরব পুলিশ এই নিয়ে খুব কঠোর ভাবে তদন্ত করতে লাগলো। তাকে হত্যা করেছে নাকি সে নিজে আত্মহত্যা করেছেন সেই ব্যাপারে খুব তদন্ত করতে লাগলো। এবং তার মোবাইল থেকে কল গুলো চেক করতেছে। ঘটনাটি এখনো সত্য কিছুই বের হতে পারছে না।
তবে কেউ কেউ বলতেছে অতিরিক্ত ফ্যামিলির প্রেসারের কারণে সে এই পথ বেছে নিয়েছেন। কারণ সে এত ভদ্রলোক ও নামাজী লোক ছিল কি কারনে সে আত্মহত্যা করবে। আর বিদেশ তো অনেক আইন-কানুন কঠিন তারা সবকিছু তদন্ত করে থাকে। তবে বাস্তব ঘটনাটি আরও জানতে পারলে আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করব। আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করে এবং কি কারনে আত্মহত্যা করল নাকি কেউ তাকে হত্যা করলো তার সুষ্ঠু বিচার যেন হয়ে থাকে। গল্পটি এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
মানুষের এই জিনিসটা আমার মাথাই আসে না কেন যে মানসিক চাপে আত্মহত্যা করে নিজের জীবনটা বিসর্জন দেয়। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে তারওতো একটা সমাধান হতে পারে। আর তার ফ্যামিলির লোকজনই বা কেমন বিদেশে লোকটা এমনিতেই অনেক কষ্টে আছে তারপরে আবার তাকে প্রেশার দিয়ে আরো বেশি মানসিক কষ্ট দেয়। লোকটি কি আসলেই আত্মহত্যা করেছে না নাকি তাকে কেউ হত্যা করেছে এটা আসলে একটি ভাবনার বিষয়।
পরিবারের লোক প্রবাসী লোকগুলোকে বেশি প্রেশার না দেওয়ার ভালো। আত্মহত্যা কোন সমাধান নাই। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শুরুতে মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করছি। আসলে মানুষ যখন পারিবারিক চাপে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে যায় তখন সে কোন কূলকিনারা খুঁজে পায় না।আর তখন সে আত্মহত্যা করার মত একটি কঠিনতম সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবাসে যারা থাকেন তারা এমনিতেই অনেক কষ্টের জীবন যাপন করেন,এজন্য উচিত পরিবারের সবাই তাকে মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়া। আপু আপনার ঘটনাটি পড়ে খুবই কষ্ট লাগলো। কেন কিভাবে মারা গেল যদি জানতে পারে না অবশ্যই জানাবেন।ধন্যবাদ আপু।
আমি যদি আরো বিস্তারিত কিছু জানি ইনশাআল্লাহ সামনে আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এখন সৌদি আরবের পুলিশ অনেক ভাবে তদন্ত করে যাচ্ছে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মধ্যবিত্ত কিছু ফ্যামিলি আছে তারা কাউকে কিছুই বলতে পারে না, শুধু মুখ বুজে সহ্য করে যায়। আসলে পুরো ঘটনাটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। আমি মনে করি যত কষ্টই হোক এইভাবে আত্মহত্যা করে নিজেকে শেষ করে দেওয়া উচিত নয়, সে দুনিয়া শেষ করে দিল তার আখেরাত ও শেষ করে দিল।
আল্লাহই ভাল জানে তবে আপনার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এজন্য ফ্যামিলির মানুষগুলো যারা প্রবাসের উপর নির্ভরশীল তারা একটু খেয়াল করে কথাবার্তা বলার দরকার। না হলে একটু ভুলের কারণে একটা মানুষের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আত্মহত্যা করা মহাপাপ এটা জেনেও সবাই এই কাজটি করে। কিন্তু প্রথম পর্বে দেখেছিলাম লোকটির পরিবার ভীষণ সুখী এমনকি কোন ধরনের ঝামেলা ছিল না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার স্ত্রী টাকার জন্য এত বেশি চাপ দিত এটা বুঝতে পারিনি। আসলে যারা বিদেশে পরিশ্রম করে তারাই বুঝতে পারে টাকার মূল্য কি। কিন্তু বাড়িতে থাকা লোকেরা যদি সেটার মর্ম না বুঝে তাহলে কখনো একটা পরিবার সুখী হবে না। এরকম বয়সে লোকটা আত্মহত্যা করল সত্যিই খুবই খারাপ লাগতেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কেন সে আত্মহত্যা করেছে তার সঠিক তথ্য জানতে পারেননি।
সৌদি আরবের পুলিশ অনেক তথ্য করে যাচ্ছে। আমরা সবাই জানি অনেক সুখী ফ্যামিলি তাদের। এখন ছেলের নিকটতম লোকেরা বলতে লাগলো তার ওয়াইফ অতিরিক্ত চাপ দিতে থাকে। এজন্য হয়তো সেই এ পথ বেছে নিয়েছেন। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজে রাজনদের মতো আরও এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা পরিবারের কথা চিন্তা করে দিনের পর দিন বিদেশে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু একসময় ঠিকই পরিবার থেকে সে অবহেলা এবং অনাদর পেয়ে পেয়ে নিজেকে নিজে শেষ করে দেয়। পরিবারের সুখের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয় কিন্তু পরিবারের লোকজন তার সেই ত্যাগের কথা একবার ও মনে রাখে না, যেটা রাজনের বেলায় ঘটেছে। কিন্তু যাই কিছুই ঘটুক রাজন কিন্তু ঠিক করেনি। কারণ রাজন জানতো আত্মহত্যা মহাপাপ।
আল্লাহ যেন সব মানুষকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করে। সামান্য ভুলের কারণে মানুষ কি করে সে নিজে জানে না। আপনি অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে। এবং আল্লাহ যেন রাজনকে ক্ষমা করে।
আপু আপনার এই গল্প পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে। আমিও কিছু দিন আগে ফেসবুকে এমন এক সত্য ঘটনা পড়েছি। আমিও বুঝিনা মানসিক চাপে থাকলে কেন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই পথ ছাড়া কি মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের আর কোনো পথ থাকেন না নাকি বুঝিনা। যাদের জন্য আপনারা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান কিছু দিন পর দেখা যায় তারা খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করে মাঝখান থেকে শুধু আপনাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু স্ত্রী আছে যাদের স্বামী বিদেশে গিয়ে কত কষ্ট করে টাকা পাঠায় সেদিকে বিবেচনা না করে আরও বেশি টাকা দেওয়ার জন চাপ দিতে থাকে। যাই হোক আপনি যদি তার মৃত্যুর রহস্য জানতে পারেন তাহলে আবার পোস্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমারও তো একই প্রশ্ন যাদের জন্য এত কষ্ট করে। তারা কেন বোঝেনা এ প্রবাসীর কষ্টটা। সামনে আমি আরো ক্লিয়ার হয়ে জেনে আর একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।