পাঙ্গাস মাছ দিয়ে কচুর মুখী রান্নার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো অন্যরকম সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। যতদিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে নিজের করা রেসিপিগুলো অনেক সুন্দর হচ্ছে। তাই সব সময় ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। কারণ সব সময় একই রকম রেসিপি খেতে খেতে যেমন নিজেরও ভালো লাগে না। তেমনি একই রকম রেসিপি দেখতেও ভালো লাগেনা। আমার তো এরকম রেসিপিগুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার এই রেসিপিটা আপনাদের সবারও খুবই পছন্দ হবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাঙ্গাস মাছ | বড় ফিজ ৫-৬টা |
কচুর মুখি | ১/২ কেজি |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টা |
লবণ | স্বাদমতো |
মরিচ গুঁড়ো | ৩ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১.৫ চা চামচ |
রসুন | ২ চা চামচ |
রাঁধুনি মসলা | ১চা চামচ |
তেল | পরিমাণ মত |
পানি | পরিমাণ মত |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি মাছের টুকরো গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর কচুর মুখী গুলো কেটে পরিষ্কার করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি মাছের টুকরোর মধ্যে হলুদের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। শের পরের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি উল্টেপাল্টে মাছগুলোকে ভেঁজে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম। এরপরে এরমধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। এরপর মধ্যে পেঁয়াজকুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি এর মধ্যে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, মসলা গুড়া, লবণ এবং রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। এভাবে সবগুলো মসলা দিয়ে কষিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর এর মধ্যে কচুর মুখী গুলো দিয়ে দিলাম। সবগুলো একসাথে দিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে একটু নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ এভাবে কষিয়ে নেব। এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। পানি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে মিশেয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
রান্নাটা কিছুটা হয়ে আসলে এর মধ্যে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম। মাছের টুকরোগুলো দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করলাম।
ধাপ - ১০ :
ঝোল শুকানো পর্যন্ত রান্না করে নিলাম। রান্না হয়ে গেলে এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এইভাবে পুরো রান্না করা রেসিপিটি শেষ করে নিলাম। আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
recipe steemexclusive bangladesh amarbanglablog food cooking
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার রেসিপিটি নিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য। আর এসব রেসিপি মধ্যে একটু জাল না হরে খেতে মজা লাগে না। আর ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুরমুখি যখন আমি নিজে বাড়িতে রান্না করি তখন সেটাকে আগে সেদ্ধ করে নি। আপনার রান্না করার পদ্ধতিটা আমার কাছে বেশ নতুন লাগলো। পাঙ্গাস মাছ যেহেতু আমার খুব বেশি একটা পছন্দ না। এই জন্য পাঙ্গাস মাছ দিয়ে কচুরমুখী কোনদিন খাওয়া হয়নি। অন্যান্য মাছ দিয়ে খেয়েছি, তবে দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালো রান্না হয়েছে আপনার আজকের রেসিপিটা।
আসলে পাংকাস মাছ দিয়ে কচুসড়া রান্না করলে খেতে খুব মজা হয়। আর এগুলো প্রথমে সিদ্ধ করা দরকার হয় না। খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার টাইটেলটা ভুল হয়েছে।
এখানে কচুর মুখে হবে।
আপনি খুব সুন্দর করে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে কচুর মুখির রেসিপি করেছেন। যদিও কখনো পাঙ্গাস মাছ দিয়ে খাইনি কিন্তু আপনার রেসিপিটির কালার দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে।
ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আর পাংকাস মাছ দিয়ে কচুর চড়া রান্না করলে খেতে খুব মজা লাগে। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু টাইটেলে একটু ভুল ছিল আশা করি দেখে নেবেন। তবে আপু যা রান্না দেখিয়েছেন না কচুর মুখী দেখলে তো আমি এবং আমাদের ফ্যামিলির সবাই একেবারে জিভে জল আটকে রাখতে পারেনা। তার মধ্যে আবার পাঙ্গাস মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। না জানি কত গুণ স্বাদ বেড়ে গেছে কারণ পাঙ্গাস মাছ দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে সেটা একটু বেশি টেস্টি হয়। আর রান্নার কালার যা হয়েছে না আপু এক কথায় দারুন।
আমার রেসিপি নিয়ে এত সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর রান্নাটি খেতে খুব মজা হলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এখানে একটু ভুল হয়েছে।
কচুর মুখে খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে বাসায় কচুর মুখী রান্না করি। এটা খেতে অনেক মজা দার হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আসলে সব সময় একই রান্না করার জিনিস খেতে ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে একটু চেঞ্জ করে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। আর আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি নিয়ে মন্তব্য করা আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে কচুর মুখি রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য। খুব সুন্দর করে ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছি বলে মন্তব্যের জন্য।
পাঙ্গাস মাছ রান্না আমার খুবই প্রিয়, তি যদি কচু অথবা আলুর সমন্বয়ে হয়ে থাকে। আপনি অসাধারণ ভাবে আজকের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে পাঙ্গাস মাছের চাকাগুলো চিকন চিকন ফালী করা দেখে। কারণ এভাবে কাটলে মাছ খুব ভালো সিদ্ধ হয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য। কিভাবে কাটলে সিদ্ধ ভালো হয় এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।