টাইটেল: লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন - By @azizulmiah
আমার বাংলা ব্লগ লেভেল-০১ এর অর্জনঃ
আমি যা যা শিখতে পেরেছিঃ লেভেল-০১ (ওয়ান) ক্লাসের লেকচার শিট থেকে আমি যা যা শিখেছি বা জেনেছি, সেই বিষয়গুলি প্রফেসরদের অবগতির জন্য নিচে আলোচনা করা হলো-
১. স্পামিং(Spamming): কোন অপ্রসাংগিক বা অবাঞ্ছিত লেখাকে বার বার একটি কনটেন্ট এর মধ্যে ব্যবহার করলে তাকে স্পামিং(Spamming) বলা হয়। বিভিন্নভাবে স্পামিং হতে পারে। যেমন-
প্রথমতঃ কোন একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি কিছু ছবি তুললাম এবং ওই ছবিগুলোকে বার বার ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিভিন্ন ক্যাপশন দিয়ে পোষ্ট করতে থাকলাম । আবার একই বিষয়ের উপর বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখার চেষ্টা করলাম, এটাই হচ্ছে এক ধরনের স্পামিং(Spamming) ।
দ্বিতীয়তঃ আমি আমার পোষ্টে বিরক্তিকরভাবে বারবার একই ব্যাক্তিকে মেনশন করে যাচ্ছি, কিন্ত ওই ব্যক্তি বিষয়টিকে একেবারেই স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন না। এটি হচ্ছে স্পামিংযের সবচেয়ে খারাপ দিক এবং এক ধরনের স্পামিং।
তৃতীয়তঃ আমরা যারা স্টিমেটে কাজ করে থাকি, সেখানে আমাদের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে এঙ্গেজমেন্ট বজায় রাখা বা সম্পর্ক বাড়ানো আর এই কাজটা সুন্দরভাবে করা যায় কমেন্টসের মাধ্যমে। কিন্ত আমরা যদি কারো কমেন্টস পুরোপুরি না পড়ে বা না বুঝে একই বাক্য বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখে কমেন্টস করি, তাহলে সেটা হবে কমেন্টসের মাধ্যমে স্পামিং। যেমন-
@আপনার লেখাটি খুব সুন্দর হয়েছে
@আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন
@আপনার লেখা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে
@আপনি অনেক সুন্দর লিখতে পারেন
চতুর্থতঃ কন্টেন্টের সাথে প্রসাংগিক নয় এমন ট্যাগ যদি বার বার ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা ও এক ধরনের স্পামিং বলে গণ্য হয়।
২.ফটো কপিরাইটঃ কপিরাইট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন- লেখা, গান, ভিডিও, ফটো ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফটো কপিরাইট। একটা ব্লগ লিখতে হলে আমাদের অবশ্যই কিছু ফটো ব্যাবহার করতে হয়। এই ফটোগুলো আমরা বেশিরভাগ সময়ই কোন না কোন সাইট থেকে কপি করে নিয়ে আসি, কিন্ত কোন সোর্স ব্যবহার করি না, এই যে কারো তৈরিকৃত ফটো কোন সাইট থেকে কপি করে আমরা যখন কোন সোর্স ছাড়াই আমাদের পোষ্টে ব্যবহার করি , তখন এগুলোকে ফটো কপিরাইট বলে।
৩.কপিরাইট ফ্রি ফটো সংগ্রহের ওয়েবসাইটঃ ১. Pexels 2. Vids ply 3. Videezy।
৪. ট্যাগঃ যে বিষয় নিয়ে আমরা ব্লগ বা কনটেন্ট লিখে থাকি, ট্যাগ হচ্ছে সেই বিষয়ের কীওয়ার্ডস। আমরা যখন আমাদের দেয়া নির্দিষ্ট ট্যাগ দিয়ে আমাদের ব্লগ সার্চ করবো তখন আমাদের ব্লগ বা কনটেন্ট আমাদের সামনে চলে আসবে। ধরুন আমি যদি Oppo Mobile নিয়ে একটি ব্লগ লিখেছি, সেখানে আমার ব্যবহিত ট্যাগ হতে পারে-mobile oppo Bangladesh ইত্যাদি।
৫. আমার বাংলা ব্লগে যে সকল বিষয় নিয়ে লেখা নিষিদ্ধঃ আমার বাংলা ব্লগে ধর্ম এবং রাজনীতি বিষয় নিয়ে লেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।ধর্ম সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে লেখা যাবে না।
৬. প্লাগিয়ারিজমঃ আমারা যখন অন্যর লেখাকে পুরোপুরি অথবা আংশিক কপি অথবা কিছুটা পরিবর্তন করে নিজের লেখা বলে চালিয়ে দেই, তখন তাকে প্লাগিয়ারিজম(Palgiarism)বলে।
৭. রি-রাইট(Re-write): যদি আমি একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার থেকে জ্ঞান আহরন করে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে লিখে থাকি তাহলে তখন তাকে rewrite আর্টিকেল বলা হয়।
৮. ব্লগ লেখার সময় Re-write আর্টিকেলের যে সকল বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবেঃ Re-write করা আর্টিকেল গুলোতে আমাকে আবশ্যই কয়েকটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
১. অবশ্যই রেফারেন্স সোর্স উল্লেখ করতে হবে।
২. রেফারেন্স সোর্সগুলিকে অবশ্যই ইনভার্টেড কমা দ্বারা আবদ্ধ করে দিতে হবে।
৩. কমপক্ষে ৭৫%-৮০% লেখা মৌলিক হতে হবে।
৪. যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে ইমেজ সংগ্রহ করে থাকি তাহলে সেটি অবশ্যই copyright free হতে হবে।
৫. Copyright free ইমেজগুলির সোর্স অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৯. মাইক্রো পোষ্টঃ একটি মাত্র ছবি বা ১০০ ওয়ার্ডের কম লেখা সকল পোষ্টই মাইক্রো পোষ্ট বলে গণ্য হবে।
১০. ২৪ ঘন্টায় যে কয়টি পোষ্ট করা যাবেঃ আমার বাংলা ব্লগে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩টি পোষ্ট করা যাবে।
যথাযথভাবে প্রশ্নের আনসারের মাধ্যমে লেভেল ওয়ান কমপ্লিট করতে পেরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি খুব শীঘ্রই বাকি লেভেল গুলো এভাবেই কমপ্লিট করে আসবেন ধন্যবাদ।
আমার অগ্রযাত্রার সাথি হিসেবে আমি আমার বাংলা ব্লগের সবার সহযোগীতা আশা করছি, সবার সাথে মিলে মিশে কাজ করার একান্ত ইচ্ছা নিয়েই আমার বাংলা ব্লগে যাত্রা শুরু করেছি।
আপনার সবার সাথে মিলে মিশে কাজ করার একান্ত ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকবে।
ফটোকপিরাইট বাদে বাদবাকি বিষয়গুলো মোটামুটি ভালোই বুঝেছেন। ফটো কপিরাইট বিষয়টা নিয়ে আপনাকে আরো একটু পড়তে হবে। আজ রাতে ক্লাসে উপস্থিত থেকে মৌখিক পরীক্ষা দেবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
মোটামুটি খুব সুন্দর পরীক্ষা দিয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অবশ্য আরো সুন্দরভাবে আপনার এই শীট পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে,কারণ লেখাপড়ার শেষ নেই। যত পড়বেন তত মনে থাকবে এবং এর সম্পর্কে বেশি অবগত হতে পারবেন।