আজকের পোস্ট || বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ এবং আমার অনুভূতিঃ
---আসসালামু আলাইকুম---
আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা |
---|
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন।৷ আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের ব্লগটি- |
---|
ইমেজটি ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শট নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক এবার আসি মুল কথায়, আমি আর্জেন্টিনার খেলা প্রজেক্টে দেখতে গিয়েছিলাম কিন্তু যেতে একটু দেরি হয়ে যাওয়াতে পিছনে পড়ে গিয়েছিলাম এবং এতো পরিমাণ চিৎকার চেচামেচি ছিলো যে আমি আর প্রজেক্টে খেলা দেখার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি এবং বাসায় এসে ট্রফি এপস এ খেলা দেখার চেষ্টা করি কিন্তু কোন ভাবেই ঢুকতে পারছিলাম না, কারণ অনেক ইউজার দেখাচ্ছিলো এবং নেটওয়ার্ক এর সমস্যা হচ্ছিলো খুব বেশি, যাই হোক যখন আমি ঢুকতে পারলাম তখন দেখি আর্জেন্টিনার ১ গোল হয়ে গেছে এরপর প্রথমার্ধে ডি মারিয়া আর একটি গোল করেন।
প্রথমার্ধ আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের লীড নিয়ে শেষ করে। তো আমি ভেবেছিলাম হয়তো ফ্রান্স আর গোল শোধ করতে পারবে না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ঠিকই খেলেছিল এরপরই তাদের খেলার ছন্দ পতন ঘটতে থাকে তারপর ও আমি ভাবছিলাম আর্জেন্টিনা হয়তো রক্ষণাত্মক খেলে ম্যাচটা শেষ করবে। কিন্তু কে জানতো তখন ও আসল ঘটনা বাকি রয়েছে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শট নেওয়া হয়েছে।
সম্ভবত খেলার ৭৯ এবং ৮০ মিনিটে পরপর দুটি গোল খাওয়ার পরে আর্জেন্টিনা খেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।প্রথম গোল খাওয়ার পরে আমি ভাবছিলাম যে আর্জেন্টিনার এখন হয়তো পুরোপুরি রক্ষণাত্মক খেলবে যাতে করে বাকি গোলটি শোধ করতে না পারে কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই ফ্রান্স বাকি গোলটি শোধ করে দেয় তখন কিন্তু আমার দম বন্ধ হয়ে যায়। ভাবলাম এবার ও বুঝি আর হলো না। ২-২ গোলে সমতা নিয়ে ৯০ মিনিটের খেলা শেষ করে দুই দল।
এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে মেসি একটা গোল শোধ করে। গোলটা আবার আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই ভাবলাম এবার আর কে থামায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা, কিন্তু এখানে ও যে আল্লাহ তায়া’লা অন্য কিছু লিখে রেখেছেন সেটা কে জানে। কিছুক্ষণ পরেই পেলান্টি থেকে গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। আবার আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেল মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের যদি পাইতাম তাহলে কি যে করতাম।
এরপর অতিরিক্ত নির্দিষ্ট খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় থাকে। এবার ফিফার নিয়মানুযায়ী খেলা গড়ায় প্লান্টিকে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শট নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম কি হয় না হয়, প্লান্টি টসে জিতলো ফ্রান্স, টসে জিতে প্লান্টি শুট করলেন এমবাপ্পে এবং গোল হয়ে গেল। এরপর প্লান্টি শুট করলেন লিওনেল মেসি। এটা ও গোল হয়ে গেল। এর পরের ঘটনা তো সবারই জানা। আমরা মোটামুটি ফ্রান্সের ৩য় শুটেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে আর্জেন্টিনা হয়তো বিশ্বকাপটা পেয়েই যাচ্ছে।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা জিতেছে এবং আর্জেন্টিনার সকল সমর্থকদের মনের আশা পূরণ করেছেন। আর্জেন্টিনার জয়ে কোটি কোটি সমর্থকদের মাঝে আমি ও একজন যারা এতদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম আর্জেন্টিনার ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ✌। ফ্রান্স ও অনেক ভালো খেলেছে বলতেই হবে, তবে ভাগ্য হয়তো তাদের সাথে ছিলো না হয়তো।
এই জয়ে আমি যে কতটা খুশি হয়েছি সেটা আসলে বলা বোঝানো যাবে না। এই বিশ্বকাপ জয়ের অবদান আর্জেন্টিনার প্রতিটি প্লেয়ারের। তবে আলাদা ভাবে অবশ্যই মেসিকে কৃতিত্ব দিতেই হচ্ছে।
বন্ধুরা, আমি কেবল মাত্র ফাইনাল ম্যাচে শুধু আমার অনুভূতিটাই তুলে ধরেছি, যেহেতু শুধুমাত্র আমার অনুভূতিটাই তুলে ধরার জন্যই আমার বাংলা ব্লগে আসা তাই আমি বিস্তারিত বর্ননা করি নাই। সুতরাং কেউ অন্য ভাবে বিষয়টি নিবে না। আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। আশা করি সব সময়ই সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ বন্ধুরা।
এবারের বিশ্বকাপ খুবই অন্যরকম ছিলো। বিশেষ করে সেমিফাইনালে ম্যাচগুলো খুবই দুর্দান্ত ছিলো টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খুবই রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি। ফাইনাল খেলা তো খুবই সুন্দর হয়েছে । এবার বিশ্ব খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং নাটকীয়তা ভরপুর একটি ফাইনাল ম্যাচ দেখেছে। উভয় দল নিজেদের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে শেষটা করেছে বিশ্বকাপ ট্রফি অর্জন করার জন্য পরিশেষে আর্জেন্টিনার জয় করতে পেরেছে। সত্যি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এত চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল দুটো ম্যাচই ছিলো খুবই উত্তেজনায় ভরা। দারুণ রোমাঞ্চকর ম্যাচ ছিলো দুটোই ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
একেবারে খাঁটি আর্জেন্টাইন সাপোর্টার ঠিক আমার মত। খুব সুন্দর করে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বিবরণ খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। আমাদের সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জি ভাইয়া খাটি আর্জেন্টাইন সাপোর্টার। ভালোবাসি আর্জেন্টাইনার খেলা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
এইবার বিশ্বকাপ খেলার ফাইনাল ম্যাচ জেই দেখেছে সেই অনেকদিন মনে রাখবে। কারণ এর আগে হয়তোবা এরকম ফাইনাল ম্যাচ কখনো হয়নি। আর্জেন্টিনা যখন দুটি গোলে এগিয়ে গেলেন। তখন সবাই ভেবে নিয়েছে ম্যাচটি আর্জেন্টিনা খুব সহজে জিতে যাবে। আমিও একজন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। তখন ফ্রান্স দুটি গোল পরপর শোধ করে ফেলে তখন অনেক খারাপ লাগলো আমার। আমরা পরিবারের সবাই একসাথে টিভিতে খেলা দেখতে ছিলাম। নির্দিষ্ট টাইম এর মধ্যে গোল না হওয়ার কারণে আবারও ১৫ মিনিট করে ৩০ মিনিট টাইম দিলেন। তারপরও আর্জেন্টিনা একটি দিলে ফ্রান্স আবার শোধ করে ফেলে। এরপর টাইফিকার আর্জেন্টিনার জয় দেখে এত ভালো লাগলো যা বলে বোঝাতে পারবো না। আপনি অনেক সুন্দর করে ফাইনাল দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু খেলাটা এমন ছিলো প্রথমার্ধের পরে ক্ষণে ক্ষণে খেলার রঙ বদলে যাচ্ছিলো। কি হবে হবে এটা ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম। সবার মতো আপনি ও মনে হয় খেলাটা দেখেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এবারের বিশ্বকাপ।
এবারের বিশ্বকাপ কিন্তু বিশ্বকাপের মতেই হয়েছে। আমার কাছে এমনিতে খেলা দেখতে ভালো লাগে কিন্তু কোন দল সাপোর্ট করিনা তা ভালো লাগেনা। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয়ী হওয়ার কারণে একটু খুশি হয়েছি। আসলে মেসির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এটা জেনেই খুশি হলাম আর কি। আর্জেন্টিনার সকল সমর্থকদের আশা পূরণ হয়েছে। আপনি আজকে বিশ্বকাপ নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দেখে খুবই ভালো লাগলো।
সত্যিই প্রত্যেকটি আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা অনেক খুশি হয়েছিল যখন আর্জেন্টিনা জয়ী হয়। একদম খাঁটি আর্জেন্টিনা সাপোর্টার আপনি। সত্যি বলতেই হয়। ৩৬ বছর অপেক্ষা করেছিল আর্জেন্টিনা সাপোর্টাররা বিশ্বকাপ নেওয়ার জন্য। ৩৬ বছর পর পেয়েই গেল তারা। খুবই ভালো একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি সব মিলিয়ে অসাধারণ। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আসলে আমরা সবাই বর্তমানে বিশ্বকাপ নিয়েই বিভোর হয়ে আছি। আমরা না ভুলতে পারছি ফাইনাল খেলা টিকে আর না ভুলতে পারছি নান্দনিক প্লেয়ার মেসিকে।
জি আপু, আপনি ঠিকই বলেছেন।