আমার আজকের পোস্ট || গল্পের শিরোনামঃ গল্পে আমার তুমি(দ্বিতীয় খন্ড):
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি প্রতিটি খন্ডেই আপনারা আমার সাথে থাকবেন। বন্ধুরা এমন ঘটনা আমাদের অনেকের জীবনেই ঘটেছে, যেটা জাবেরের জীবনে ঘটেছে। পুরো গল্পটা পড়লেই আপনারা বুঝতে পারবেন আসলে জাবের এবং জাকিয়ার জীবনে শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছে।
বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের পোস্টটি- |
---|
চিত্রটি ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় খন্ড
....জাবের জিজ্ঞেস করে তোমার নাম কি জাকিয়া? তখন মেয়েটি বলে জি আমার নাম জাকিয়া সুলতানা মিথিলা। নাম বলার সাথে সাথেই জাবের মেয়েটিকে চিনে ফেলে। জাকিয়ার মা জাবেরের কাজ থেকে ঋন নিয়েছে। জাকিয়াকে জাবের মাত্র একদিন দেখেছে। জাকিয়া দেখতে অনেক সুন্দরী। জাবের ভাবছে জাকিয়া কেন তাকে এভাবে মেসেজ করছে। তাছাড়া জাকিয়ার মাকে তো জাবের বোন বলে ডাকে, এটা জাকিয়া ও জানে। এছাড়া এই বছরেই জাকিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে যেটা জাকিয়ার মা জাবেরকে বলেছে।
তাহলে জাকিয়া কেন জাবের কে মেসেজ দিচ্ছে অথবা তুমি করে সম্বোধন করছে। নানান প্রশ্ন জাবেরের মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে জাকিয়া কি জাবেরের সাথে মজা করছে? এরই মধ্যে দুজন দুজনের সাথে কথা বলেই যাচ্ছে, জাকিয়ার সাথে কথা বলতে জাবেরের ভালোই লাগতেছে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ একদিন জাকিয়া জাবেরকে বলে যে সে জাবের কে ভালোবাসে। জাকিয়ার কথা শুনে জাবের অবাক হয়। জাকিয়া এসব কি বলছে।
জাবের ভাবে এটা কি করে সম্ভব, জাকিয়া তো বিবাহিত, ওর তো স্বামী আছে। তাছাড়া জাবের নিজে ও বিবাহিত, তার চার বছরের একটি ছেলে ও আছে। যাই হোক জাবের চিন্তা করে জাকিয়াকে বিবাহের কথা বলা যাবে না, আবার চিন্তা করে যে জাকিয়ার মা তো জানে যে জাবের বিবাহিত তাহলে তো জাকিয়ার জানার কথা। যাক জানলে সেটা পরে বোঝা যাবে।
জাকিয়া এবং জাবেরের মধ্যে নিয়মিত কথা হচ্ছে এবং এই কথাগুলো দুজনের মধ্যে প্রেমের ইংগিতই দিচ্ছে বটে। জাবের কিন্তু প্রথমে এই সম্পর্কে মোটেই জড়াতে চায় নি। কিন্তু জাকিয়া নাছোড়বান্দা সে জাবেরকে জীবন সঙ্গি হিসেবে পেতে চায়। এবং এক পর্যায় জাকিয়া বলে যে, তুমি যে বিবাহিত এটা আমি জানি এবং তোমার যে একটা ছেলে আছে সেটাও আমি জানি।
জাকির এমন কথা শুনে জাবের বলে এতকিছু জানার পরে ও তুমি কেন আমার সাথে সম্পর্কে জড়াতে চাইছো, জাকিয়া উত্তর দেয় আমি এতো কিছু জানিনা আমি শুধু তোমাকে চাই এর বেশি কিছু ভাবতে চাই না। জাবের জাকিয়াকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে বলে, এমন পাগলামি না করতে, তুমি যেটা করছো এটা ঠিক না, তোমার হাসবেন্ড আছে আমার ও স্ত্রী এবং সন্তান আছে এটা করা আমাদের পক্ষে একদম ঠিক হবে না। কিন্তু জাকিয়ার একটা কথা জাবের কে তার ভালো লাগে তোমাকে ছাড়া এই মুহূর্তে আমি অন্য কিছু ভাবতে চাই না।
এই ছিলো আমার আজকের গল্পে আমার তুমি শিরোনাম গল্পের দ্বিতীয় খন্ডের বিস্তারিত। আশা করছি সবার কাছেই ভালো লাগবে। আপনাদের মুল্যবান সময় দিয়ে আমার লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আশা করি পরবর্তী খণ্ডগুলোতে আমার সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ভালো লাগার কারণ হলো এই এই ঘটনাগুলো সমাজে এখন প্রতিনিয়তই হচ্ছে। আপনার লেখাটা পড়ে একটা বিষয় বুঝতে পারলাম। কোন মানুষ তার স্বামী বা তার স্ত্রী ছেড়ে যদি অন্য কোন স্বামী পর পুরুষ বা কোন পর মহিলার সাথে যদি বেশি সময় কাটায় তাহলে তার উপরে তার ভালোবাসার একটা জায়গা তৈরি হয়ে যায়। ঠিক যেমন জাকির এবং জাকিয়া এর মধ্যে ঘটেছে। আর এগুলো হলো সমাজের সবথেকে নিকৃষ্ট একটি কাজ। নিজের সন্তান স্বামী সবকিছু ফেলে অন্য পুরুষের সাথে বা কোন মহিলার সাথে এগুলো করা জঘন্যতম কাজ।