রহস্যময়ী গল্প - আয়নার ডাক (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)
আয়নার ডাক
আমি আয়নাটিকে হাতে নিয়েছি বেশ অনেকটা পর কারণ আমার দৃষ্টি যেন সেই আয়নাটির মধ্যে আটকে গিয়েছিলো বেশ কিছুটা সময়ের জন্য। এরপর আয়নাটিকে আমি হাতে নিয়ে আবারো এক ভাবনার জগতে চলে যায়। ভাবতে থাকি এই পুরো বাসায় কোনো আয়না নেই কিন্তু লুকানো ভাবে ওয়াশরুমের ফল্স ছাদের ভিতর সন্দুকের মতো এই বক্সটিতে এই আয়নাটি কি ভাবে আসলো, কে রাখলো ও এই আয়নাটিই বা কার। আর এই আয়নাটি যদি এই বাসার বাড়িওয়ালার হয়ে থাকে তাহলে এত সুন্দর আয়নাটিতো উনার নিজের বেডরুমে সাজিয়ে রাখার কথা। এখানেই বা কেন রেখে দিবে।
যাইহোক এক-পাঁচ ভাবতে ভাবতে হাতে একটি কাপড়ের টুকরো নিয়ে আয়নাটিকে পরিষ্কার করতে থাকি। পরিস্কার করা হলে এটি আমার রুমের বিছানার পাশে দেয়ালে ঝুলিয়ে দেই। আমি মনে মনে আয়নাটি পেয়ে খুবই খুশি হই আর ভাবতে থাকি এই আয়নাটির ব্যাপারে বাড়িওয়ালা আংকেলকে আর কিছুই বলবো না। বললে যদি আবার উনি নিয়ে যায় এত সুন্দর আয়নাটি।
রাতের সবকাজ শেষ করে আয়নাটির সামনে গিয়ে নিজেকে বসালাম কারণ এই বাসায় আসার পর নিজেকে নিজের মতো করে সাজাতে পারিনি। আর মনে হচ্ছে আমি কতদিন হয়ে গেলো নিজেকে দেখতে পায়না। তাই আজ নিজেকে সাজানোর জন্য আয়নাটির সামনে নিজের কিছু অলংকার আর কসমেটিক্স নিয়ে বসলাম। ধীরে ধীরে নিজেকে সাজাতে থাকলাম আর গুন গুন শুরে গান গাইতে লাগলাম। আর একটা সময় নিজের অজান্তেই নিজেকে এক অপুরূপ সৌন্দর্যে রূপান্তরিত করলাম। কিন্তু এই সময়টাযে কতটা সময় তা আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। কারণ রাত তখন প্রায় আড়াইটা বেজে গিয়েছিলো।
ঘড়ির কাটা টিক টিক করে ঘুরছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম কিভাবে আমি এতটা সময় এই আয়নার সামনে বসে পার করে দিয়েছি। আর তখনি সেখান থেকে উঠে যেতে নিলাম কিন্তু কেউ একজন আমাকে সেখান থেকে উঠতে দিলোনা। আমি উঠার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু আয়নার ওপাশে থাকা আমার সেই প্রতিচ্ছবিটা উঠতে চেষ্টাওকরছে না। আমি আমার হাত পা নাড়াচাড়া করছি কিন্তু সে ঠিক সেই ভাবে বসে আছে যে ভাবে আমি নিজেকে সাজানোর পর বসে নিজেকে দেখছিলাম।
আমি যেন কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আর এর মধ্যেই দেখতে পেলাম আয়নার মধ্যে থাকা আমার সেই প্রতিচ্ছবিটির ঠোঁট নাড়াচ্ছে। সে আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে। আর তখন আমার কানে ভেসে আসে কিছু কথা ধ্বনি। যা হুবহু আমার কণ্ঠ তবে তা আমার কথা নোই। সে বলতে লাগলো আজ অনেকটা বছর পরে আমাকে আমার পছন্দ মতো অপরূপ ভাবে সাজিয়েছিস। আর এতটা বছর পর নিজেকে এভাবে সাজানো দেখে মনে হচ্ছে আমি আবারো জেগে উঠেছি, আমি আবারোও আমার প্রাণ ফিরে পেয়েছি।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আপু আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো যদিও আমার পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে যতটা বুঝলাম। আসলে আয়নার ভিতরে প্রতিচ্ছবিটি সত্যি যেতে দেয়নি। আয়না তার মনের মতো সাজ পেয়েছে তাই হয়তো এমন হয়েছে। যাইহোক আপু গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই গল্পের প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম। তবে এই পর্ব পড়ার সময় আমি একেবারে গল্পের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম। শরীরের লোমগুলো একেবারে কাটা দিয়ে উঠেছে। এই আয়নাটা ভূত বা আত্মার আয়না বলেই বক্সের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। এমন ভয়ানক গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। এই গল্পের আরও পর্ব থাকলে খুব ভালো হতো। যাইহোক এমন রহস্যময়ী একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গল্পের শেষ কিভাবে করবো বুঝতেছিলাম না, তাই রহস্যময় ভাবে রেখে দিলাম।
হ্যাঁ আপু বুঝতে পেরেছি ব্যাপারটা। তবে এটা ঠিক যে, গল্পটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। গল্পটি পড়ে মনের মধ্যে অন্য রকম অনুভূতি কাজ করেছিলো। ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন সবসময়।