আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের "সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো আছি
আজকে আপনাদের জন্য একটা আমাদের গ্রামীন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম "খুদ ভাত বা ভৌয়া ভাত" ।
চলুন রান্নাটা শুরু করে দেই
প্রথমে খুদ চাল ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে
পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ ফালি করে নিলাম
তারপর এক এক করে সব উপকরণ নিতে হবে, ঘি নিলাম
পাতিলে তেল গরম করলাম
তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচি নিলাম
গরম তেলে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচি দিয়ে এক মিনিট পরে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ ফালি দিয়ে বাদামি কালার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম
সবকিছু বাদামি কালার হয়ে গেছে
এবার চাল গুলা ঢেলে দিলাম।
সাথে এক চামচ হলুদের গুড়া, দুইটা মেগি মসলা পরিমাণ, মতো লবণ, এক চিমটি চিনি সব একসাথে দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিয়ে, চুলার আচ বাড়িয়ে দিয়ে রান্নার জন্য ডেকে দিলাম
মাঝে একবার নেড়ে দিলাম, এবার ভাপ যাতে বাইরে না যায়, একটা পলিথিন ভালোভাবে ধুয়ে উপরে দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিলাম
হয়ে গেল আমার গরম গরম খুদভাত
সবাই খাওয়ার জন্য একটা বাটি করে নিলাম
বাইরে বৃষ্টি পরতেছে, বৃষ্টির দিনে খুদভাত খেতে মজাই আলাদা
গরম গরম খুদ ভাতের সাথে মুরগির মাংস, আর আমের চাটনি, আ হা খেতে যেন অমৃত।
এই খুদ ভাত কে কোন অঞ্চলে কি ভাত বলে চেনেন কমেন্ট করে জানাবেন।
সবাইকে অগ্রিম ধন্যবাদ একটা পোস্ট লিখতে আমার দুই তিন দিন সময় লাগে। যেহেতু সময় পায়না একটু একটু করে লিখি তাই রেগুলার পোস্ট করতে পারি না। যৌথ ফ্যামিলিতে আছি, গ্রামের বাড়িতে।
খুধ বাত বা ভৌয়া ভাত কথা শুনেই মনটা কেমন জানি করে উঠলো। বুঝ হওয়ার পরে তেমন একটা খাওয়া হয়নি। তবে এই খাবারটা এক সময় খুবই প্রচলন ছিল। ছোটবেলায় এই খাবারটা মায়ের হাতের খুব খেয়েছি। তবে আজকে আপনার রেসিপিটা দেখে ভৌয়া ভাত খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো। তবে ইচ্ছে করলে তো আর হবে না চাউলের খুধ সংগ্রহ করতে হবে তারপর রেসিপি করতে হবে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার ছিল এই ভৌয়া ভাত। আমাদের সাথে ভৌয়া ভাতের রেসিপি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় এই খুধ ভাত অনেক খাওয়া হতো। ক্ষুদের যাও খাওয়া হত, এখন তেমন একটা খাওয়া হয় না। এখন আমরা অনেক আধুনিক হয়ে গেছি তবে গ্রামে মাঝে মধ্যে এখনো আসলে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মতামত জানার জন্য
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন এরকম ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বৃষ্টির দিনে নরম নরম খুদের ভাত খেতে খুবই মজা লাগে গ্রামে থাকতে মাঝেমধ্যেই মায়ের হাতে প্রস্তুত করা এই খাবার খেতাম এখন অবশ্য তেমন একটা খাওয়া হয় না যা হোক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন প্রস্তুত প্রণালী শুভকামনা থাকলে আপনার জন্য
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন গ্রামে আসলে খাওয়া হয়। শহরে আমরা বস্তা চালের ভাত খাই, ওখানে খুদ কোথায় পাব।ধন্যবাদ ভাইয়া
আগে প্রায় মাঝেমধ্যে খুদ ভাত খাওয়া হত। এখন আর সেটা খাওয়া একদমই হয় না। খুদ ভাত কোন ভর্তা দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার খুদ ভাত দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু একদম ঠিক বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে, ডিম ভাজি দিয়ে গরম গরম খেতে অনেক মজা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে কমেন্ট করার জন্য
ভৌয়া ভাতের রেসিপি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। তখন আমি কেবল ক্লাশ টু তে পড়ি। আমার দাদি অনেক ভালো ভৌয়া ভাত রান্না করতো। এগুলো সত্যি অসাধারণ মজার খাবার। তবে এখন আর খুব একটা খাওয়া হয় না।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমিও অনেকদিন পরে খেলাম গ্রামের বাড়িতে আছি বিধায়। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতির প্রকাশ করার জন্য
বাহ খুদভাত বা ভৌয়া ভাতের সুন্দর একটা রেসিপি দেখলাম। আপনি অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন এবং সাথে ভাল উপস্থাপনাও করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল
গ্রামের মানুষরা মনে হয় এই খাবারটা অনেক বেশি পরিমাণে খায় শহরেতো আমরা খুদই দেখি না। আর এটাকে আপনি কেন খুদভাদ বলছেন তাই তো বুঝলাম না এটা তো আমার কাছে খিচুড়ি মনে হচ্ছে আর আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। ছোট ছোট চালের খিচুড়ি মনে হয় খুবই টেস্টি হয়েছে আর আপনি খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন অনেক লোভনীয় হয়েছে দেখতে।
না আপু এটা কে আমাদের অঞ্চলে খুদ ভাত বলে।জি আপু ঠিক বলেছেন। শহরে আমরা বস্তার চাল খাই, খুদ কই পাবো
অনেকদিন হলো এই খুদ ভাত খাওয়া হয় না যখন বাসায় থাকতাম তখন আম্মু মাঝে মাঝে রান্না করত বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে। অনেকদিন বাদে আপনার এই রেসিপিটি দেখে সত্যিই খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আমি অনেকদিন পরে খেলাম গ্রামে আছি তাই। গ্রামে থাকলে পুরানো অনেক খাবার খাওয়া যায় এবং স্মৃতি মনে পড়ে যায়
আপনার গরম গরম ভাতের সাথে মুরগির মাংসের পরিবেশন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা খেতে অনেক বেশি মজার হয়েছিল। আর আপনার রান্নার পদ্ধতিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তবে আসলে এটা কখনোই এরকম ভাবে খাওয়া হয়নি তবে খেয়ে দেখব ইনশাআল্লাহ।
জ্বী ভাইয়া ভৌয়া ভাত খেতে অনেক মজা একবার হলেও ট্রাই করে দেখবেন,,ধন্যবাদ
আপনার রেসিপিটি চমৎকার হয়েছে।। প্রতিটি ধাপ অসাধারনভাবে আপনি তুলে ধরেছেন তবে আপনি মার্কডাউন এর ব্যবহার করলে আপনার পোস্টটি আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠত। আপনার পোষ্টের লেখার পরিমাণ অনেক কম, লেখার পরিমাণ আপনাকে বাড়াতে হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ঠিক আছে সামনের বার চেষ্টা করব পোস্টার যাতে বড় হয়, মার্কডাউন ব্যবহার করব