আমার বাংলা ব্লগে আমার পরিচিতি(১০% @shy-fox ভাইয়ের জন্য)
আমি অসিত ভট্টাচার্য্য, বন্ধু মহলে বুবুন নামেই বেশি পরিচিত। বয়স বলতে গেলে জীবনের ২৬ টা বসন্ত একাই পার করে এসেছি, এর ব্যাখ্যা হিসেবে একপ্রকার ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সঙ্গী সুলভ মূল্যের চাইতে বন্ধু সুলভ মূল্যের কদর একটু বেশি।
হয়তো সকলের প্রতি অতিরিক্ত ঔদার্যের জন্য এমন পরিণতি। সে যাই হোক ওসব আলোচনা এখন থাক। বর্তমানে এই অধমের দিনলিপি কিছুটা এইরকম...
পুব আকাশে অন্ধকারের বেড়াজাল কাটিয়ে সূয্যি মামা উঁকি দেওয়ার আগেই চোখ দুটিকে একপ্রকার জোর করেই খোলা হয় তারপর প্রাতরাশের কাজ কর্ম সেরে বেড়িয়ে পড়ি প্রাতঃ ভ্রমণে , এতে নাকি শরীর মন তরতাজা থাকে। কিন্তু আমারতো আবার বাড়ি ফিরেই নিদ্রা যেতে মন চায়।তাতে সায় দেওয়া একদম বারণ, সময় যেনো প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে তার রক্ত চক্ষু দেখায়, দাঁত খিটি মিটি করে যেনো বলে ওঠে , "খবর দার, ভুলেও আর বিছানায় না ।" ব্যস আমারও অত সাহস আছে সেই অমোঘ বাণী উপেক্ষা করার। কোনো মতে পাশ কাটিয়ে মুঠোফোনটাকে সঙ্গী করে রোজনামচার আপডেট নিতে নিতে যেনো কোনো এক চুম্বক শক্তির প্রভাবে আটকে যাই তাতে, এই বিষয়ের সঙ্গে অবশ্য এখন আপামোর জনগন কম বেশি পরিচিত।
যাই হোক এসবের মধ্যেই গুটি গুটি পায়ে এসে উপস্থিত হতে শুরু করে আমার রোজগারের মাধ্যম , ভাবছেন কি না কি, আরে না না, এই অধম যে গৃহ শিক্ষকও বটে। তাই ছোট বাচ্চারা চলে আসে পড়াশুনো করতে, শুরু হয় এক কঠিন যুদ্ধ। গোবরে ঠাসা মাথাগুলোতে কিছুতেই অঙ্ক ঢোকে না, আর আমিও হার না মানা এক উদ্যম প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত চাপ বাড়াতেই থাকি। অঙ্ক না বুঝে আজ নিস্তার নেই - এটাই বোধ হয় চলে ওদের মাথায়। অবশেষে ঘড়ি যখন সিগন্যাল দেয় যে "এবার ওদের ছাড় স্কুলের সময় হয়ে গেল যে" ব্যস আর কি অর্ধ বোঝা আর সম্পূর্ণ বোঝা নিয়ে আবার ফিরে যায় ওরা বাড়ির উদ্দেশ্যে। এরপর যে সময় খানা হাতে পাওয়া যায় তাতে সবার প্রথম যে কাজ টা শুরু হয় তা হলো এক চিৎকার। আমার মা প্রাণ পনে আমায় ডেকেই চলেছে, "ওরে আয় খেয়ে যা, ভাত গুলো যে ঠান্ডা হয়, খোলা ভাতে এবার মাছি পড়বে।"
আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝে উঠতে পারি না, আচ্ছা আপনারাই বলুন তো স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ খিদে পেলে তবেই তো কিছু খেয়ে থাকে নয়তো খিদে হীন পেটে তো মন্ড মিঠাই টাও তেতোই মনে হয়। কিন্তু আমাদের বাড়ির নিয়ম টা একটু আলাদা, একটু কেনো বলছি কে জানে? পুরোটাই আলাদা। যেমন ধরুন আপনার খিদে পেয়েছে কিন্তু আপনি কিছু খেতে পারছেন না, আবার আপনার খিদে নেই কিন্তু আপনাকে গো গ্রাসে গিলতে হচ্ছে, হ্যাঁ ঠিক এমন টাই হয় আমার সাথে মা যখন খেতে দেবে সোনা মুখ করে তখনই খেতে হবে, বেশি ট্যা ফো করেছ তো সেই দিন ভাগ্যে হরি মটর চেবানো ছাড়া গতি নাই ।এবার শুরু হয় জীবনের এক কঠিন যুদ্ধ । ভাবছেন সেটা কি, বলছি তিষ্ঠ তিষ্ঠ।
নিজেকে চাকুরীজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে নিদারুণ চেষ্টা , তারই জ্বলন্ত শিখাকে যেনো একটু একটু করে রোজই জ্বালিয়ে রাখা, যাতে একদিন সেই আলোর প্রকাশ আমার ও আমার পরিবারের পৃথিবী টাকে উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। এই বই সেই বই পড়ে পড়ে নিজেকে উইকিপিডিয়া বানানোর চেষ্টা। আমার ঘরটা এখন একটা ছোট খাটো লাইব্রেরী, যে যা বই কিনতে বলে পড়তে বলে সব কিনে পড়তে শুরু করে দিই। তবে এই লাইব্রেরী তে যে শুধু জ্ঞান ভান্ডার বাড়ানোর বই তা কিন্তু নয়, নিজের অবসর সময় কাটানোর জন্য বেশ কয়েকটা গল্পের বইয়েরও দেখা পাবেন, হ্যাঁ পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই কেনার একটা সখ ছোট থেকেই পুষেছি। নিজে একটু আধটু আয় করতে শিখেছি যখন থেকে তখন থেকেই গল্পের বই কেনা চালু করেছি। এতো বই দেখে মা মাঝে মধ্যে বলে একটা দোকান দিতে, ভালো বিক্রি হবে। এভাবেই চেষ্টা চলছে , জীবনের পথের খানা খন্দ পেরিয়ে এক মসৃণ পথ পাকড়াও করার, যেখানে হেঁটে বেড়াতে গেলে বার বার হোচট খেতে হবে না। যেখান থেকে সজোরে দৌঁড়ে আমার জীবনের উড়ান ভরবো একদিন।
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
বিষয়টা দাদা একেক জন একেক ভাবেও দেখতে পারে। তবে যাইহোক বসন্ত যে কয়টাই কাটুক না কেন, ভালো কাটলেই হলো। সঙ্গী হিসেবে কেউ থাকুক আর না থাকুক। বসন্ত কাটুক সুন্দরভাবে।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
সত্যিই নতুন একটা দিশা পেলাম , জীবনটাকে অন্য ভাবে দেখার। ধন্যবাদ
আপনাকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে স্বাগতম।
আপনাকে সঠিকভাবে পোস্ট করতে হলে অবশ্যই আমাদের লেভেল ওয়ান এর ক্লাস এ জয়েন হতে হবে। সর্বপ্রথম আপনাকে Discord এ জয়েন হয়ে এসে ক্লাসগুলো এটেন্ড করতে হবে এবং আমাদের কমিউনিটির নিয়ম মেনে পোস্ট করতে হবে।
কিভাবে খুব সহজে Discord Account খুলবেন।
আমাদের Discord Link https://discord.gg/5aYe6e6nMW
নিয়ম কানুন ও গুরুত্বপূর্ন তথ্য।
"আমার বাংলা ব্লগের" অত্যাবশ্যকীয় গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি পোস্টগুলির হাইপার লিঙ্কগুলির আর্কাইভ