♥নাটক রিভিউ:"আজ রবিবার "♥

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আসসালামু আলাকুম

সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে একটি নাটক নিয়ে আলোচনা করবো আশা রাখি এটা আপনাদের সবার ভালো লাগবে বন্ধুরা।নাটকটির নাম: "আজ রবিবার"।

1625584071139.jpg

ছবি সংগ্রহ

নাটকটি বংলাদেশি লেখক স্যার হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৯ সালে রচনা করেন। এটি ১৩ টি পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটক। নাটকটি প্রথমবার হিন্দিতে ডাবিং করা হয়েছিল ২০১৭ সালে এটা ভারতীয় চ্যানেল স্টার প্লাসে প্রচারিত হয়েছিল। বুঝতেই পারছেন এটি খুব সুন্দর একটি নাটক যা দর্শকের মনে খুব দ্রুত জায়গা করে নিয়েছিল। আমি আজ আপনাদের সাথে এই নাটকটি নিয়ে আলোচনা করবো।

শুরুতে, কঙ্কা (শিলা আহমেদ) মতি মিয়া (ফারুক আহমেদ) এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তিনি এগিয়ে এসে শ্রোতাদের বলেন যে আমি মতি এই বাসার দেখভাল করি টেলিফোনের বিল এবং বিদ্যুতের বিল প্রদান করি। ড্রাইভিং শিখতেছি আমি যখন পুরোটা শিখব তখন আমি মধ্য প্রাচ্যে যাব। আমার জন্য প্রার্থনা করো এভাবেই শেষ হয়েছিল মতির পরিচয়।

একে একে সবার পরিচিতি শেষ হলো। মতি মিয়া ফুলির কাছে গেল। ফুলি এই বাড়ির কাজের বুয়া। মতি মিয়া ফুলির কাছে গিয়ে বললেন, ফুলি, তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। ফুলি বললেন, "আপনি এক কথা কতোবার বলেন।মতি মিয়া উত্তরে বললো সত্য কথা দিনে 14 বার বলা যায়। সত্য কথার এটাই নিয়ম। মতি মিয়া বললো ," আমি অধিক কথা পছন্দ করি না। মতি মিয়া অধিক কথা পছন্দ করেন না। আমার পকেটে হাত দাও । "তারপরে সে পকেটে হাত দিয়ে একটি লিপস্টিক পেল।

তারপরে রবিবার নাটকটি শুরু হলো।কংকাদের বাসায় অনেকেই থাকেন যেমন তাঁর দাদা, বাবা, দুই চাচা, কংকার বোন তিতলি, আনিস থাকেন এবং ফুলি এবং মতি থাকেন।

দাদু:

দাদা খুব বিরক্তিকর মানুষ। একবার তিনি পৃথিবীর ওজন সম্পর্কে চিন্তা করেছিলেন। তিনি মনে মনে ভাবতে লাগলেন পৃথিবীর ওজন নিয়ে।কংকার কাছে গিয়ে জিগালেন উত্তরে কংকা বললো পৃথিবীর ওজন এর মাপ।তবুও তার দাদার মনে প্রশ্ন এতো বড় পৃথিবী মাপলো কিভাবে এতো বড় দাড়ি পাল্লা পেলো কোথায়।এভাবে বলতে বলতে সে কংকার বড় চাচ্চু আসগর সাহেব এর কাছে গেলো।

পিতা চরিত্র:

বাবার চরিত্রের নাম জামিল। তিনি একজন আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার। আজ থেকে ১৭ বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। তার পরে তিনি আর বিয়ে করেন মি তবে এখন সে কিছু করার কথা ভাবছে। তিতলি ও কংকা তাঁর কন্যা।জামিল তার অফিসে মিরা নামের একটি মেয়েকে পছন্দ করেন এবং মিরাও হয়তো তাকে পছন্দ করেন নয়তো এতো সঠিক ভাবে কেউ কি এভাবে এই বয়সে বিয়ের কথা ভাবতে পারেন।

বড় চাচা:

বড় চাচা আসগর সাহেব, তিনি পাগলদের চিকিৎসা দেন।তবে সবার ধারনা তিনি নিজেই কিছুটা পাগল আছেন।বয়স ৫১ পেরিয়েছে এখনো বিবাহ করেন নাই।তবে বলেন যে তার নিজের মতো ট্যালেন্টেড মেয় পাননি তাই বিবাহ করেন নাই।

ছোট চাচা:

তাঁর নাম হিমু। তিনি হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে রাস্তায় হাঁটেন এবং গরিবদের দুর্দশা দেখতে বের হন।তার অনেক স্বপ্ন গরিব দুখিদের জন্য কিছু করার কিন্তু অর্থ তার বড় বাধা।

কংকা ও তিতলি:

কংকা এবং তিতলি দুজনেই জামিল সাহেব এর মেয়ে তাদের মা নেই জন্মের পরেই তারা মাকে হারান।সবার আদোরের মেয়ে তারা তিতলি আনিছ কে খুবই পছন্দ করে আবার কংকাও করে তবে কাউলে প্রকাশ করেন না।

আনিছ:

আনিছ হলো একজন ছাত্র সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা করেন।হলে সিট না পাওয়াও সে কংকাদের বাসায় লজিং থাকেন।সিট পেলে সে এখান থেকে চলে যাবেন।

মীরা:

মীরা একটি অপরিচিত মেয়ে। জামিলের তার সাথে ভাব রয়েছে।জামিল মিরাকে মিরা জামিল কে দুজন দুজনকে ভালোবাসেন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা বিবাহ করিবেন।মিরার জীবন খুবই কষ্টকর। ছোট বেলায় মা বাবা মারা যান বড় হয়েছেন দূর সম্পর্কের এক আত্বিয় এর বাসায়।জীবন ছিলো তার বড়ই কষ্টের।

ফরহাদ:

ফরহাদ সাহেব মিরার মতো এক এতিম ছেলে সেও অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছেন।পেটে কষ্টে পারু দেন বিদেশ তবে সেখানে সুবিধা করতে পেরেছিলেন না প্রথম এ তবে আল্লাহ মুখ তুলে চেয়েছিলেন।তিনি সফল হন।তিনি বিয়েও করিছিনে তবে তার অভাব দেখে বউ বেশিদিন আর থাকেন নি।এখন তার অনেক টাকা পয়সা সে দেশে এসেছেন এবং কংকা দের বাসার পাশে উঠেছেন।

মতি এবং ফুলি:

এরা দুজনেই হলেন কাজের লোক ফুলি বাসার সব কিছু করার দায়িত্বে আছেন এবং মতি বাসার জাবতিয় বিল ইত্যাদি দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে।তবে তারা দুজনেই ঠিকঠাক কাজ করেন না কারন তাদের নিকেদের ভাব আদান প্রদান এই সময় চলে যায় তায় কাজ করাদ সময় পাননা।

একদিন কংকাদের বাড়িতে একটি বড় ঘটনা ঘটেছিল।কংকাকে অবাক করে দেওয়ার জন্য,কংকার ১৮ তম জন্মদিন পালন এ সিদ্ধান্ত নেন সবাই তবে কেউ রাজি ছিলেন না মিরা সবাইকে একে একে রাজি করালেন।কংলার জন্মদিন এ ছোট চাচা একটি কেক কিনে মতিকে দিয়েছিলেন যেন সে লুকিয়ে রাখে এবং সঠিক সময়ে তা বের করেন।মতি কেকটি ঘরে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় কংকা দেখেন এবং মতি তার হাত পিছনে করে লুকাচ্ছিল বলে রাখি কংকাদের বাসায় একটি কুয়া ছিলো।কুয়ার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো আর সেই সময় মতির হাত থেকে কেকটি পরে যায়।মতি খুবই চিন্তায় পরে যায় অনেক চেষ্টা করেওসে কেক পেলো না।ছোট চাচু বকবে বলে মতি রাতে পালালো আর এদিকে কংলার কেক কাটার সময় চলে এসেছে মতি কেক নিয়ে আসছেন না। অনেক খুজা খুজি করে মতি কে পাওয়া গেলো না।বিথা গেলো কংলার জন্মদিন এর আয়োজন। পরের দিনেও মতিকে পাওয়া গেলো না। সবার ধারনা মতি কুয়াতে পরেছে কারন মতিকে কংলা কুয়ার পাশে ঘুর ঘুর করতে দেখেছিল।ছোট চাচু একবার মতি কে কুয়ায় ফেলে দইতে চেয়েছিল এটা দেখেছিলো ফুলি তাই ফুলি ছোট চাচুর কথা বার বার বলছে।সেই সময়ে আবার কংকার দাদা তার কবরের জন্য ডিজাইন করে একটা কফিন বানিয়ে রেখেছিলো এবং তা বাসাতেই রাখা হয়। যেনো দাদা মারা গেলে তাকে এই কফিনে মাটি দেওয়া হয়।একদিন গেলো মতি আসলো না পুলিশ কে খবর দেওয়া হলো।পুলিশ ঘটনা দেখলেন এবং সাক্ষি নিলেন ফুলির কাছ থেকে ঘর খুজে কফিন পেলো ঘটনা খুবই ভয়াবহ বাসার সকল পুরুষ কে জেলে নিয়ে গেলো।এমনকি তাদের গেস্ট ফরহাদ সাহেব কেউ। সবাইকে রাতে জেলে রাখা হলো আর এদিকে মতি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে।এর পরে তা ফুলি দেখতে পায় এবং বিচার বসে তাকে বারি থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তবে মিরা বাধা দেয় এরপরে সব ঠিকঠাক শুরু হলো আবার।

এই নাটকের আরেকটি মজার ঘটনা আনিছ কে নিয়ে আনিছ পড়াশোনা নিয়ে খুব সিরিয়াস সব সময় পড়াশোনা নিয়ে থাকেন।একদিন তিতলি এবং কংকা দুজনে মজা করে একটি প্লাস্টিক এর সাপ তার বিছানায় রেখেদিয়েছিলো।আনিছ পড়াশোনা করে ঘুমাতে গেছে।তার পিঠের পাশে সাপটি রয়েছে আনিছ এর নজর যায় সেখানে আনিছ দেখে এক বারেই অজ্ঞান হয়ে পরে।অনেক তেল পানি দেওয়ার পরে তার জ্ঞান ফেরে এবং সবাই বলে তাকে যে সেটা প্লাস্টিক এর সাপ ছিলো।এরপরে একদিন তিতলি কংকা আবারো তাকে ভয় দেখাতে চাই এবার সত্যি সাপ দিয়ে ছোট চাচুকে বলে একটি সাপ আনতে। ছোট চাচু সাপ নিয়ে আসলো এবং আনিছ এর ঘরে রাখা হলো সাপট আনিছ এর পায়ের উপর চলাফেরা করছে আর আনিছ হাসছে আর বলছে অহ এটাও প্লাস্টিক এর সাপ ভয়ের কারন নেই।তাই বলে সে পরছে যখনি তার নজর গেলে সাপের উপর যে সাপটি চলা ফেয়া করতে পারে তখন সে সা সা সাপ বলতে বলতে বিছানা থেক নিছে পরে যায়।

রেটিং পয়েন্ট

৭/১০

(এটা একান্তই আমার নিজের মতামত)

বন্ধুরা, নাটকটিতে এমন অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে যা বলা যায় না। যদিও এটি কোনও শিক্ষামূলক নাটক নয় তবে এটি নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে এটি যে কাউকে হাসাবে বন্ধুরা, এই রচনাটি আমাদের বাংলাদেশি লেখক স্যার হুমায়ূন আহমেদ খুব সুন্দর করে চিত্রের মধ্যমে ফুটে তুলেছিলেন যা আজোর দর্শক প্রিয় হয়ে আছে।

Sort:  

You have been upvoted by @rex-sumon A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.


Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject

There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,

For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.

 3 years ago 

thank you

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 61586.28
ETH 2569.21
USDT 1.00
SBD 2.55