"স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে ধর্মীয় বই কেনা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছি গ্রামের বাড়িতে আসার পরে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। এর আগে ঢাকাতে থাকতে আমি স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। ঢাকা স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে আমি বেশ কিছু ধর্মীয় বই কিনেছিলাম এখন সেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
অনেকদিন ধরেই কিছু ধর্মীয় বই কিনতে চাচ্ছিলাম। আসলে পছন্দের ধর্মীয় বইগুলো সব জায়গায়তে পাওয়া যায় না, বাংলাদেশের ভিতর সবথেকে ভালো ধর্মীয় বই গুলো পাওয়া যায় ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে। যদিও এর আগে আমি বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই কিনেছি ডাকেশ্বরী মন্দির থেকে সেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আমি এবারে ইসকন মন্দির থেকে যে বইগুলো কিনেছি এগুলো আমার নিজের জন্য নয়।
আপনার হয়তো অনেকেই জানেন যে আমাদের পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য গীতা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এর আগে আমি এটা নিয়ে একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তাই আমরা পাড়ার কয়েকজন ইয়াং ছেলেপেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মের প্রতি আরো উদ্বুদ্ধ করানোর প্রচেষ্টা করছি। আমরা জানি না আমরা সফল হতে পারব কিনা তবে আমরা আমাদের মত চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর এই কারণে আমরা মাঝেমধ্যে আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো করে থাকি।
আমরা প্রতিবছর আমাদের পাড়ার সরস্বতী মন্দিরের পূজাতে বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করে পুরস্কারের ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু এবারে পুরস্কারের আইটেমটা আমরা ধর্মীয় বই করার সিদ্ধান্ত নিই। যদিও এই সিদ্ধান্তটা প্রথমে আমার একার ছিল তারপরে আমি সবাইকে জানালে সবাই আমার এই সিদ্ধান্তের সাথে সহমত হয়। আর এই কারণেই আমি ঢাকা স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলাম।
ঢাকা স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে বেশ কয়েকটি ইসকনের প্রভুদের ধর্মীয় বইয়ের স্টল রয়েছে। আর এই সব স্টল থেকেই সকল ভক্তরা ধর্মীয় বই কিনে থাকেন। আমি স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে প্রথমে হরিনাম সংকীর্তন করে তারপর ধর্মীয় বইয়ের দোকানের দিকে যায়। প্রথমের দিকে অবশ্য দুটি দোকান দেখে আমার কাঙ্খিত বই না পাওয়াতে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেছিল। কারন আমার মেস থেকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে এই জায়গাটিতে এসেছি এই ধর্মীয় বই কেনার উদ্দেশ্যে।
তারপরে আরো একটি দোকানে গিয়ে আমার কাঙ্খিত ধর্মীয় বই গুলোর কথা দোকানদার প্রভুকে জানালাম। তারপর তিনি আমাকে আশ্বস্ত করলেন যে সমস্যা নাই আমরা আপনার সকল বই দিতে পারবো। এই কথাটা শোনার পর সত্যিই মনের ভিতর অনেক ভালো লাগা কাজ করছিল যে, তাহলে আমার কাঙ্খিত বইগুলো পাবো আমি। তারপর প্রভু আমাকে বললো যে, আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করেন আমরা আমাদের বড় লাইব্রেরী থেকে বইগুলো এনে দিচ্ছি।
বুক স্টলের সাথেই স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে নির্মানাধীন কাজ চলছিলো আমি কিছু সময় অপেক্ষা করে ইঞ্জিনিয়ারদের কাজগুলো দেখলাম। তারপর মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমি আমার কাঙ্খিত বইগুলো হাতে পেয়ে গেলাম। আমি স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে মোট ১২ টি বই কিনেছিলাম। সকল বইগুলো আমি ভালোভাবে দেখে তারপর প্রভুকে বইয়ের টাকা পরিশোধ করলাম।
আমার কেনা বই গুলোর ভেতর ছিলো শ্রীমদ্ভাগবতগীতা, ধর্মক্ষেত্র, ঈশ্বরের সন্ধানে, শ্রীকৃষ্ণের সন্ধানে। আমার কিনা প্রতিটি ধর্মীয় বই অনেক সুন্দর ছিল আপনারা যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী আছেন চাইলে বই গুলো কিনে পড়তে পারেন।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৩০ শে জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনি স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে দারুন কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন এবং ধর্মীয় বিভিন্ন বই কিনেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ৷ আসলে আমাদের ধর্মীয় বই কেনা এবং পড়া উচিত ৷ কারণ এই বইয়ে অনেক কথা এবং অনেক বিষয় উল্লেখ থাকে ৷ যা আমরা অনেক কিছুই জানি না ৷ যাই হোক , আপনার বই কেনার সুন্দর অনুভূতি জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
সবার আগে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই কাজটা করার জন্য, যে আপনি আপনার পাড়ায় সমস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বী ইয়াং ছেলেপেলেদের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণ করছেন বা ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করছেন তার জন্য। তাছাড়া আপনার এখানে যে বইগুলো দেখতে পাচ্ছি তার প্রত্যেকটাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনের জন্য। তবে এটা সত্যি কথা, যেই বইগুলো আসলে সব জায়গায় পাওয়া যায় না, ইসকন মন্দিরগুলোতেই কেবলমাত্র পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। যেহেতু আপনি সব মিলে বারোটা বই কিনেছেন তার মানে মোটামুটি অনেকটা বিষয় কভার করা যাবে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে এগুলো দিয়ে।
Twitter post
হ্যাঁ ভাই ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বই কেনার পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। যাইহোক স্বামীবাগ ইস্কন মন্দির থেকে অনেকগুলো ধর্মীয় বই কিনেছেন ভাই। বইগুলো অনেক কষ্টে খুঁজে পেয়েছেন ভাই। পুরষ্কার হিসেবে এই বইগুলো কিন্তু একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। আশা করি এই বইগুলো পড়লে, ইয়াং ছেলেদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মের প্রতি আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে। আমার মনে হচ্ছে এই ব্যাপারে আপনারা অবশ্যই সফল হবেন ভাই। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটা মানুষেরই তাদের নিজের ধর্ম সম্পর্কে অনেক বেশি জানার জন্য ধর্মীয় বইয়ের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।