হাসির গল্প "ফেসবুকে ঘটকালি" এর দ্বিতীয় পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত দুই দিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প ফেসবুক ঘটকালি এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় প্রতিবেশী এক ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হল।তার সাথে অনেক বিষয়ে কথা-বার্তা বলার পর এক পর্যায়ে ছোট ভাই আক্ষেপ করে আমাকে বলল,আমার বাবা-মা সব সময় আমাকে ফেসবুক থেকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। অথচ ফেসবুক আছে বলেই তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে। আজ ফেসবুক না থাকলে ডায়াবেটিস এর যন্ত্রণায় তাদের হাসপাতালে থাকতে হতো।
আমি ছোট ভাইয়ের কথা শুনে বললাম, আমি তো তোর কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারলাম না রে।ফেসবুকের সাথে ডায়াবেটিস এর আবার কি সম্পর্ক?আমাকে একটু বুঝিয়ে বল তো।ছোট ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বলল,সম্পর্ক তো একটা আছেই ভাই।আর এই বিষয়টা যেহেতু আপনি বুঝতে পারেন নি,তাই আমি আপনাকে বুঝিয়ে বলছি।
এরপর ছোট ভাই বলল,আপনি তো জানেন, আমার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু বিয়ের জন্য কোন পাত্রী পাচ্ছি না। তাই আমার বাবা-মা উঠে পরে লেগেছে আমাকে বিয়ে করানোর জন্য। তো তারা কদিন এই এলাকায়, সেই এলাকায়, অমুকের বাড়িতে, তমুকের বাড়িতে পাত্রী দেখেছিল।
আর আপনি তো জানেন, পাত্রী দেখতে গেলে মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার সব সময় দেওয়া হয়,যা কম-বেশি খেতে হয়ে থাকে। তাই এ জাতীয় খাবার খেয়ে তাদের ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে এসেছিল।ঠিক তখন থেকেই শুরু করলাম ফেসবুকে পাত্রী দেখা।
প্রথমে আমি পাত্রী দেখি,তারপর দেখে আমার বাব-মা। ফেসবুকে পাত্রী দেখার কারনে মিষ্টি খাওয়া-খাওয়ির কোন কারবার নেই।অতএব ডায়াবেটিস নিয়েও আর কোন টেনশন নেই।এরপর ছোট ভাই আরও বলল,এখন চিন্তা করে দেখেন ভাই, খুব উপকার হয়েছে কিনা।আমি ছোট ভাইয়ের কথা শুনে বললাম,তা তোমাদের উপকার হয়েছে বটে।তবে পাত্রী কি ঠিক করতে পেরেছো!নাকি আরও কোন মাধ্যম লাগবে।
আজ এই পযর্ন্তই।অন্য দিন এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।আর গল্পটি পড়ে ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ফেসবুক মানুষের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখছে এটা জেনেও ভালো লাগলো।ফেইসবুকে পাত্রী দেখার নতুন পদ্ধতি বের হয়েছে, দিনে দিনে মানুষের মাথায় যে কত রকমের বুদ্ধি আসবে আল্লাহই জানে। যাই হোক বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,গল্পটি পড়ে এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।