"নিষ্পাপ প্রেম"চতুর্থ পর্ব।।[১০% লাজুক শিয়ালের জন্য ]
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশাকরি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও "নিষ্পাপ প্রেম”এর চতুর্থ পর্ব গল্পটি নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
সেখানে সাফিন রিয়াকে দোলনায় দোল দেয় এবং বলতে থাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সমস্যা শেষ হবে না।আত্মাহত্যা কোন সমাধানের পথ হতে পারে না।শক্তি নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দিনের পর যেমন রাত আসে তেমনি অন্ধকারের পরে আলো আসবেই।শুধু রাখতে হবে ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস।
সাফিন রিয়ার জন্য সাথে খাবার নিয়ে এসেছিল।এরপর সাফিন রিয়াকে খাবার খেতে দেয়।এবারও রিয়া সাফিনকে বলে আমার কাছে এসো না আমি খারাপ মেয়ে।আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত।সাফিন বলে এতে তোমার কোন দোষ নেই।এটা ভাগ্যের নিয়তি।এরপর সাফিন রিয়ার কাছে এসে বলে,তুমি যাকে যত বেশি ভয় পাবে।তারা তোমাকে ততবেশি ভয় দেখাবে। তুমি রুখে দাড়াঁও,চোখে চোখ রেখে চলতে শিখ।তোমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এরপর তারা দুজন বাসায় চলে আসে।এর কয়েকদিন পর রিয়া ক্লাসের বেঞ্চে বসা ছিল।এমন সময় একটি মেয়ে এসে রিয়ার চুলের মধ্যে চুইংগাম লাগিয়ে দিলো।কিন্তু এবার রিয়া চুপ করে বসে থাকে না।মাথা থেকে চুইংগাম তুলে ঐ মেয়ের চুলে লাগিয়ে দেয়।এবার সে প্রতিবাদ করা শিখে গেছে। যে তাকে বিরক্ত করত তাকে সে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিতো।যখন সে একা পেরে উঠতো না সাফিন তখন তার পাশে ছায়ার মতো দাড়াঁতো।এভাবে রিয়ার ভালো দিনগুলো কাটতে শুরু করে।
একদিন রিয়ার তার ড্রয়ার খুলে কিছু টাকা বের করে। সে তার চিকিৎসার জন্য অনেক দিন ধরে টাকাগুলো জমিয়েছে।তখন এ অবস্থায় রিয়ার মা রিয়াকে দেখে ফেলে এবং তাকে বলে এতো টাকা তুই কোথায় থেকে পেলি।রিয়া তখন তার মাকে সব খুলে বলে যে,সে পাবলিক টয়লেটে এবং হোটেলে কাজ করে এতগুলো টাকা জমিয়েছে, তার কঠিন একটি রোগ হয়েছে এবং তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে।শীঘ্রই তার চিকিৎসা করতে হবে।
তখন রিয়ার মা তাকে বলে,তুই কার সঙ্গে কি করেছিস।তোর এই অসুখ হলো কি করে?বলেতে বলতে রিয়াকে মারতে থাকে।তখন রিয়া তার মাকে বলে মা আমি এমন কিছু করিনি।কিন্তু এই রোগ কিভাবে হলো আমি তা জানি না।
এই কথা শুনে রিয়ার মা মনে মনে ভাবে তার মেয়ে সত্যকথাই বলছে এবং তার মেয়েকে বিনা দোষেই মারছে।এরপর রিয়ার মা অনুতপ্তের জন্য নিজেকে নিজে আঘাত করতে থাকে।এবার রিয়ার মা রিয়াকে হাত ধরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে থাকে।
রিয়ার কাছে এ মুহূর্তটা যেন খুবই ভালো লাগছিল। কারন গভীর মমতা নিয়ে রিয়ার মা রিয়ার হাত ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।এরপর রিয়াও বুঝতে পারে তার মা তার সাথে শুধু রাগারাগিই করে না,তাকে প্রচন্ড ভালো ও বাসে।এরপর রিয়া আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকে।তার মুখে হাসি ফুটে উঠে।তার কিছুদিন পর রিয়া সাইকেল করে বাসায় ফিরছিলো।হঠাৎ পথিমধ্যে রিয়া দেখতে পায় কয়েকজন মেয়ে মিলে মুসকানকে মারছিল।
পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হবো।আজ এ পযর্ন্তই।
যাক তাহলে ভাইয়া আপনার সুন্দর সুন্দর রোমান্টিক কিছু লিখতে পারেন। ভালই লাগল রিয়ার শাফিনের কাহিনী পড়ে।আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার গল্প এর আগে ২য় পর্ব টা পড়ছি।কিন্তু ৩য় পর্ব পড়া হয় না।ভালো লাগে এই গল্প
টি পড়তে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে লিখছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। দ্বিতীয় পর্বটি পড়লেও খুব ভালো লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে নিষ্পাপ প্রেমের কাহিনী। চমৎকার উপস্থাপন আপনার। আগামী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।