"নিষ্পাপ প্রেম"--প্রথম পর্ব।।[১০% লাজুক শিয়ালের জন্য ]।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।



আজ--বুধবার।২৩ই, ভাদ্র।১৪২৯, বঙ্গাব্দ । শরৎকাল ।।


হায় বন্ধুরা


কেমন আছেন?


মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশাকরি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। "নিষ্পাপ প্রেম” প্রথম পর্ব।আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের ভালোবাসার সর্বশেষ যে পরিনতি সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আশাকরি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।

love-g1d74a3090_1920.jpg

Source

ছোট একটি শহরের বস্তিতে একটি মেয়ে ও তার মা থাকে।মেয়েটির নাম রিয়া।রিয়ার বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছে। তাই তার মা সংসার চালানোর জন্য একটি ম্যাসেজ পারলার দিয়েছে।তাই সকলেই তাদের ছোট চোখে দেখে। প্রতিদিনের মতো রিয়া একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে ডাকতে থাকে।

তখন তার মা ফোনে একজন ক্লাইন্ট এর সাথে কথা বলছিল।কথা শেষ করে রিয়ার মা ধমকের সাথে বলতে থাকে এত মা মা করছো কেনো।রিয়া তখন কিছু আর বলে না।তখন রিয়া স্কুলের জন্য রেড়ি হচ্ছিলো।স্কুলে যাওয়ার আগে সে তার মাকে বললো মা আমার স্কুলের ইউনিফর্মটা অনেক পুরুনো হয়ে গেছে।আমাকে একটা নতুন ইউনিফর্ম কিনে দিবে।

রিয়ার মা রেগে যায়।বলতে থাকে একবছর হলোনা তোমাকে আমি ইউনিফর্ম কিনে দিয়েছি।আমার পক্ষে সম্ভব না যে তোমাকে প্রতি বছর নতুন নতুন জামা কিনে দিবো।এটা বলে রিয়ার মা রিয়ার দিকে একটি বোতল ছুঁড়ে মারে।বোতলটি গিয়ে সাফিনের গায়ে পরে।

সাফিন হলো রিয়াদের প্রতিবেশী এবং রিয়ার ক্লাশ মেট।সাফিন বোতলটি তুলতে যায়।তখন সাফিনের মা সাফিনকে বলে ভূলেও এই নোংরা বোতলে হাত দিবে না তুমি।রিয়া এটা দেখে লজ্জা পায়।রিয়া ঐ বোতলটি তুলে রেখে স্কুলের দিকে রওনা হয়।

এদিকে সাফিন ও রিয়ার পিছু পিছু যেতে থাকে।সাফিন বুঝতে পেরেছিল রিয়া বাসা থেকে কিছু খেয়ে বের হয়নি।তাই সাফিন তাকে একটি দুধের বোতল অফার করে।রিয়া সেটা নিতে রাজি হয়নি কিন্তু সাফিন দুধের বোতলটি রিয়ার সাইকেলের ঝুড়িতে রেখে দেয়।তারপর তারা স্কুলের দিকে যেতে থাকে।

রিয়া যখন স্কুলে ঢুকছিল তখন রিয়ার খুব লজ্জা লাগছিলো।কারন আজকে রিয়াদের স্কুলের নতুন বছরের প্রথম দিন ছিল।তাই সবাই নতুন স্কুল ড্রেস পরে এসেছে আর রিয়ারতো রয়েছে সেই পুরুনো ড্রেস।তাই রিয়া ছিলো সবার থেকে আলাদা।

রিয়াদের স্কুলে আরেকটি মেয়ে ছিল,যার নাম ছিলো মুসকান।সে সাফিনকে খুব পছন্দ করত।কিন্তু সাফিন এই বিষয়ে কিছুই জানতো না।মুসকাস দুর থেকে সাফিনকে ফলো করতো।আর সাফিন রিয়ার সাথে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলো।কিন্তু এই কারনে মুসকান রিয়াকে দেখতে পারতো না।মুসকান রিয়াকে প্রচন্ড হিংসা করতো।

ঐদিন রিয়া স্কুল শেষে যায় ডাক্তারের কাছে। কারন রিয়ার শরীরটা অনেক ধরে খারাপ যাচ্ছে। তাই সে চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে আসে এবং ডাক্তার তাকে জানায় সে ভিজেনাল নামক একটি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত।এটা মেয়েদের একটি গোপন রোগ।এটা হাজারের মধ্যেও একজনের হতে পারে। যা শারিরীক সম্পর্কের কারনে হয়ে থাকে।

ডাক্তার রিয়াকে বলে দেখ রিয়া এ রোগটা খুব বিরল যা খুব কম মানুষের হয়ে থাকে। তাই পরবর্তীতে যখন আসবে তখন তোমার পরিবারের কাউকে নিয়ে আসবে। কারন এই রোগের চিকিৎসা করাও ব্যয়বহুল।রিয়া চিন্তায় পড়ে গেল এবং ভাবলো আমিতো এমন কিছু করিনি তাই এই রোগ কেমন করে হলো।তাছাড়া এই রোগের চিকিৎসা করার এত টাকা ও মা কিভাবে যোগাবে।তাই সে ডাক্তারের চেম্বার কাঁদতে থাকে।রিয়া বের হয়ে দৌড়াঁতে দৌড়াঁতে লিফটের মধ্যে উঠে এবং সেই লিফটের মধ্যে থাকে সাফিন। আজ এ পযর্ন্ত।
Sort:  
 2 years ago 

ওয়াও!দারুণ লিখেছেন ভাইয়া।রিয়া আর সাফিনের গল্প কিন্তু চমৎকার হয়েছে।নেক্সট পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ।

 2 years ago 

গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অতি শিঘ্রই নিষ্পাপ প্রেমের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের হাজির হবো।

 2 years ago 

গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বুঝাই যাচ্ছে আনন্দ দুঃখ সব কিছুই এই গল্পে উপস্থিতি অনেক বেশি। এত সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল এবং আমি আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম।

 2 years ago 

আনন্দ -দুঃখের সংমিশ্রণে গল্পটি লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আপনার এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অতি শিগ্রই দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 2 years ago 

আপনি অনেক চমৎকার গল্প লিখেছেন। পরবর্তী পবে জন্য অপেক্ষা রইল ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক শুভকামনারইল।

 2 years ago 

গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে বেশ দারুণ লেগেছে, মনে হচ্ছে পরবর্তী পর্ব গুলো ভালো হবে। সত্যিকার অর্থেই আমাদের সমাজে অনেক পরিবার আছে যারা পড়াশোনার খরচ এমনকি স্কুলের পোশাকটাও সময়মতো কিনে দেয়ার সামর্থ্য থাকে না। সে কারণে কোমলমতি হৃদয় গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে যায়,যা আপনার গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। অতি শিগ্রই দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।ইনশাআল্লাহ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59401.87
ETH 2615.39
USDT 1.00
SBD 2.40