সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি "চিকেন কাবাব"।। [১০% লাজুক শিয়ালের জন্য। ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু


হায় বন্ধুরা


কেমন আছেন?


আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আসলে আমাদের প্রতি নিয়ত একই রকমের খাবার খেতে খেতে মুখের স্বাদটা নষ্ট হয়ে যায়।তাই মাঝে মধ্যে খাবারের একটু ভিন্নতা দরকার।আজ আমি আপনাদের মাঝে"চিকেন কাবাব"রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।পোলাও বা গরম ভাতের সাথে,এমনকি ভাজা খাবার হিসেবে কোন কিছু ছাড়াই "চিকেন কাবাব" রেসিপিটি খাওয়া যায়।"চিকেন কাবাব"রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।


received_814489686210988.jpegreceived_623144302673960.jpeg



উপকরণের তালিকা

ক্রমিক নং উপকরণের নাম পরিমাণ
মুরগির গোস্ত ১ পিছ
পেঁয়াজ কুঁচি ৪ টির
কাঁচা মরিচ ৬ টি
শুকনো মরিচ ১০-১২টি
লং ১০-১২ টি
এলাচি ১০-১২ টি
দারুচিনি ১০-১২ টি
জয়ত্রী সামান্য পরিমাণ
জয়ফল ৩ টি
১০ তেজপাতা ৮-১০ টি
১১ দারুচিনি ১০-১২ টুকরো
১১ আদা বাটা ১/২ চামচ
১২ রসুন বাটা ১/২ চামচ
১৩ হলুদ ফাঁকি ১/২ চামচ
১৪ মরিচ ফাঁকি ১/২ চামচ
১৫ লবন স্বাদমতো
১৬ ধনিয়া সামান্য পরিমাণ
১৭ জিরা সামান্য পরিমাণ
১৮ ছোট হজ সামান্য পরিমাণ
১৯ গোলমরিচ সামান্য পরিমাণ
২০ ব্যাসন ১/২ কাপ
২১ সয়াবিন তেল ভাজার পরিমাণ

উপকরণের ছবি


received_543132887570137.jpegreceived_614492723577604.jpeg
PXL_20220910_033905419.jpgPXL_20220910_032512065.jpg
received_623617419346016.jpegreceived_1076093126443718.jpeg
received_1411423575988381.jpegPXL_20220814_133607247.jpgPXL_20220814_133553031.jpg


রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ



প্রথম ধাপ


received_543132887570137.jpegreceived_1268719113875861.jpeg


প্রথমে একপিছ শিনার মুরগির গোস্ত নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিবো।

দ্বিতীয় ধাপ


received_1191503898080709.jpegreceived_780608703225697.jpeg


এরপর চুলাতে একটি করাই বসিয়ে ছোট ছোট টুকরো করা মুরগির গোস্ত করাইয়ে দিয়ে দিবো।

তৃতীয় ধাপ


received_395935909176703.jpegreceived_5537019506356735.jpeg



এরপর আদা ও রসুন বাটা এবং লবন দিয়ে দিবো।

চতুর্থ ধাপ


received_611097877145316.jpegreceived_606294094413912.jpeg


হলুদ ও মরিচ ফাঁকি দিয়ে মুরগির গোস্তের টুকরোগুলোর সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।

পঞ্চম ধাপ


received_610413777260140.jpeg


এরপর একটু পানি দিয়ে দিবো।

ষষ্ঠ ধাপ


received_811954269819930.jpegreceived_454293026724938.jpeg


এরপর ভালো করে কসিয়ে নিবো এবং কসানো হয়ে গেলে তা একটি বাটিতে নামিয়ে নিবো।

সপ্তম ধাপ


received_1034397943865522.jpeg



কসানো মুরগির গোস্ত ব্লেন্ডারে দিয়ে দিবো।

অষ্টম ধাপ


received_887155712277739.jpeg



এরপর ব্লেন্ড করে নিবো।

নবম ধাপ


received_931711771083219.jpeg


এরপর ব্লেন্ডার করা হয়ে গেলে একটি বাটিতে নামিয়ে নিবো।

দশম ধাপ


received_623617419346016.jpegreceived_1566923603773321.jpeg


এরপর একটি বড় স্টিলের প্লেটে জয়ত্রী,দারুচিনি,লং,এলাচি, ধনিয়া,ছোট হজ,তেজপাতা,জয়ফল,শুকনো মরিচ,গোল মরিচ,জিরা ইত্যাদি নিবো।এরপর সবগুলো মসলা ব্লেন্ডার দিয়ে ফাঁকি করে আরেকটি নতুন মসলা বানিয়ে নিবো।আপনারা বাসায় এভাবে মসলাটি তৈরি করে বিভিন্ন রকমের গোস্তের রেসিপির সাথে দিতে পারেন। এতে রেসিপিটি স্বাদটা অনেকগুন বেড়ে যাবে।

একাদশ ধাপ


received_1983152752072302.jpegreceived_629549815554712.jpeg


এরপর আরেকটি প্লেটে আগে থেকে কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ,ব্যাসন এবং বিভিন্ন মসলা দিয়ে যে নতুন মসলার ফাঁকি বানানো হয়েছে তা থেকে দেড় চামচ মসলা দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিবো।

দ্বাদশ ধাপ



received_769541611044581.jpeg



এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসাবো।

ত্রেয়দশ ধাপ


received_1263363164424404.jpegreceived_1142321256363573.jpeg



এরপর ফ্রাইপ্যানের সয়াবিন তেল দিয়ে দিবো।

চর্তুদশ ধাপ


received_615049866963280.jpegreceived_8720243918001644.jpeg


এরপর একে একে ফ্রাইপ্যানের মধ্যে বানানো কাবাব দিয়ে দিবো।

পঞ্চদশ ধাপ


received_5332039696893855.jpeg



এরপর এপিট ও ওপিঠ ভালো করে ভেজে নিবো।

শেষ ধাপ


received_1216891829101501.jpeg


এরপর ভাজা হয়ে গেলে প্লেটে নামিয়ে নিবো।এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি "চিকেন কাবাব"।

পরিবেশন


received_814489686210988.jpegreceived_623144302673960.jpeg
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে "চিকেন কাবাব"রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা "চিকেন কাবাব"রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।আপনাদের উৎসাহমূলক একটি মন্তব্য আমাকে আরও নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে উৎসাহ যোগাবে।


ফটোগ্রাফির বিবরণ


Photographer @anisshamim
Device Google Pixel 4a

আমার পরিচিতি


PXL_20210326_120329396.MP.jpg


আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।

আল্লাহ হাফেজ

Sort:  
Loading...
 2 years ago 

দাদা আজ কিন্তু সেরা পোস্ট হয়েছে চিকেন কাবাবের এই মজাদার রেসিপি দেখে জিভে জল এলো। এতগুলো ছবি ও এত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। আর আপনার এই চিকেন কাবাব তৈরি করার ধরনটা কিন্তু বেশ অন্যরকম এবং সুন্দর।

 2 years ago 
দাদা "চিকেন কাবাব "রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ও চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
 2 years ago 

চিকেন কাবাব খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আমি বাসায় কখনো চিকেন কাবাব তৈরি করে খাইনি। আমি অবশ্যই এটি বাসায় তৈরি করে খাব ‌‌। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য । আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 
হা আপু বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুবই সুস্বাদু ও মজাদার লাগবে।তাছাড়া আমি যেভাবে বিভিন্ন রকমের মসলার মিশ্রনে ব্লেন্ডার করে নতুন একটি মসলা বানিয়ে নিয়েছি। সেই মসলাটি বানিয়ে নিয়ে রেসিপি তৈরি করে খাবেন, তবেই স্বাদটি বেশি লাগবে।
 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি চিকেন কাবাব গরম ভাতের সাথে এবং পোলাও সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। তবে বিকেলের নাস্তা হিসেবে খাওয়া যায়। চিকেন কাবাব প্রিয় একটি খাবার। আপনার তৈরি চিকেন কাবাব গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 
হা আপু ঠিকই বলেছেন "চিকেন কাবাব"বিকেলের নাস্তা হিসেবে ও খাওয়া যায়। আসলে ভাজা জাতীয় খাবার বেশিভাগ ক্ষেত্রে বিকেলেই খাওয়া হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
 2 years ago 

মাঝে মাঝে একই ধরনের খাবার খেতে খেতে সত্যি মুখের স্বাদ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। তবে মাঝে মাঝে যদি ভিন্ন কিছু তৈরি করা হয় তাহলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে চিকেন কাবাব রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে।

 2 years ago 

হা আপু বাসায় এভাবে যদি"চিকেন কাবাব"রেসিপিটি তৈরি করে খাওয়া যায় তবে খুবই সুস্বাদু হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার উপকরণে তিনটি জিনিস আমি বুঝলাম না। এগুলো কি ভুলে লিখেছেন নাকি নতুন কোন উপকরণ। যেমন হলুদ ফাকি, মরিচ ফাকি এবং ছোট হজ। আপনার এই বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এই মসলা আমি বাসায় তৈরি করে মাংসের মধ্যে দেই। এতে মাংসের স্বাদ অনেক বেড়ে যায় । আপনার আজকের চিকেন কাবাব এর স্বাদ এই মসলা দেওয়ার কারণে আরো বেড়ে গিয়েছে বোঝা যাচ্ছে। পুরো প্রস্তুত প্রণালী দেখেই বুঝতে পারছি যে চিকেন কাবাব খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। গরম গরম খেতে ইচ্ছা করছে দেখেই।

 2 years ago 
আপু চতুর্থ ধাপে মুরগির গোস্তের সাথে হলুদ ফাঁকি ও মরিচ ফাঁকি মিশানো হয়েছে।এটাকে অনেকে হলুদগুঁড়া ও মরিচ গুঁড়াও বলে।আর ছোট হজ হচ্ছে মসলা। আমি যে এগার প্রকারের একটি মসলা দিয়ে একটি নতুন মসলা বানিয়েছিলাম। তার মধ্যে ছোট হজ আছে। আমার মনে হয় এভাবে বুঝতে পারবেন, আশাকরি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
 2 years ago 

আমিও পরে আপনার পোস্ট করে ভেবেছিলাম যে এটি হয়তো গুঁড়াই হবে । কিন্তু শিওর হওয়ার জন্য আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।আপনাকে বুঝাতে পেরেছি, যার দরুন খুব ভালো লাগছে ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।

 2 years ago 

ভাইয়া অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে চিকেন কাবাব তৈরি করেছেন। ভাইয়া কষানো মুরগির মাংসগুলো ব্লেন্ডার করাটা সত্যিই দারুণ ছিল। তেল দিয়ে ভাজা এরকম চিকেন কাবাব খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এ ধরনের চিকেন কাবাব সবাই খেতে পারে না। বিশেষ করে যাদের আলসার কিংবা গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের উচিত এ ধরনের খাবার গুলো এড়িয়ে চলা। অতি লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 
হা ভাইয়া এটা ঠিক বলেছেন,যাদের গ্যাসটিক, আলসার তাদের না খাওয়াই ভালো।আসলে যাদের গ্যাসটিক,আলসার আছে তাদের তৈলাক্ত ও মসলা জাতীয় খাবার না খাইয়াই উত্তম। কিন্তু এই জাতীয় রেসিপিগুলো তেল এবং বিভিন্ন উপকরণের মসলা ছাড়া সুস্বাদু লাগে না।আসলে মূল কথা হচ্ছে, মুখের স্বাদের চিন্তা করলে রোগের চিন্তা করলে চলবে না।আবার রোগের চিন্তা করলে মুখের স্বাদের কথা ও ভাবা যাবে না।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
 2 years ago 

ভাইজান রেসিপি উপকরণের তালিকা দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। সাথে আরো উপকরণগুলো দেখলাম পর্যায়ক্রমে খুব ভালোভাবেই কার্যসম্পাদনের জন্য ব্যবহার করেছেন। তবে বেলেন্ডার মেশিনে এভাবে কখনো মাংস দিয়ে মাংস ছাতু করতে দেখে নাই। আর যাই হোক আশা করি খুবই সুস্বাদু ও টেস্টি হয়েছে আপনার রেসিপিটা।

 2 years ago 
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য আমাকে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59631.75
ETH 2622.60
USDT 1.00
SBD 2.41