ছোটগল্প || মাল্টিভার্স ( ২য় পর্ব )

ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে জানার অনেক আগ্রহ ছিলো তাই তো এইসব বিষয়ে পড়তে এবং আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই দুদিন আগে আমি একটি নতুন গল্প শুরু করেছি, যা সম্পূর্ণ সাইন্স ফ্রিকশন একটি গল্প এবং এরই মাঝে ট্রেইলার এবং রোমান্টিক অনেক কিছু পার্ট থাকবে। আশা করছি আপনারা যারা প্রথম পর্বটি এখনো পড়েননি। প্রথম পর্বটি পড়ে দ্বিতীয় পর্ব পড়ার চেষ্টা করুন। চলুন গল্প শুরু করি।

ছোটগল্প || মাল্টিভার্স (পর্ব ১)

জন এবং রবার্ট মেশিন চালু করার সাথে সাথেই মেশিনের মধ্যে সমস্যা দেখা দিলো। ওয়ামহোলটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো যা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এভাবে বড় হতে থাকলে একসময় তাদের সম্পূর্ণ ল্যাবটি সেই ওয়ামহোল ভিতরে ঢুকে যেত। জন বুদ্ধি খাটিয়ে ইলেকট্রিক সার্কিট বন্ধ করে দেয় এবং সাথে সাথে ওয়ামহোল বন্ধ হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারছিল না তাদের গবেষণায় কোথায় ভুল হয়েছে!

জন এবং রবার্ট আবার গবেষণা শুরু করল এবং তাদের সার্কিটে কোথায় কোথায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখতে থাকলো। এমন সময় জন একটি বিষয়ে চিন্তা করল। যদি আমি এই ইউনিভার্সে একটি ওয়ার্ম হোল তৈরি করা চিন্তা করছি তাহলে অন্য কোন ইউনিভার্সে অন্য কোন জন এই একই কাজটি করছে, তাহলে যদি সেই জনের সাথে আমি কোন ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি তাহলে আমাদের ভুল কোথায় হচ্ছে সেই বিষয়টা খুব সহজেই জানতে পারবো!!

এই দিকের রবার্ট তাদের গবেষণায় কোথায় ভুল হয়েছে সেই বিষয়টি ফাইন্ড আউট করতে থাকলো। যদিও প্রকৃতপক্ষে কোন একটি ভুলের কারণে এটা হয়নি আরো বেশ কয়েকটি ভুল ছিল তার মেশিনের মধ্যে। একটি ভুল তারা আবিষ্কার করতে পেরেছে। যাই হোক সেটা ছিল পাওয়ার সার্কিট পাওয়ার সার্কেটে ওভারলোড হওয়ার কারণেই এটা হয়েছে অর্থাৎ আমাদের ওয়ার্মহোল তৈরি করতে যে শক্তি প্রয়োজন, যে বিদ্যুতের প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ সাপ্লাই হয়েছে যার কারণে মেশিনটি সঠিকভাবে কাজ করে নি। এই মেশিন পরিচালনা করার জন্য আরও অনেক বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন।

সেদিনের মতো তারা গবেষণা বন্ধ করে যে যার বাসায় চলে গেল। এইদিকে জেনিফার তার হাজবেন্ডের জন এর জন্য অপেক্ষা করছিল। আজ জেনিফারের জন্মদিন ছিল। তাই জন বাসায় যাওয়ার সময় একটি ফুলের দোকান থেকে একটি ফুলের তোড়া নিয়ে গেল এবং তার বাচ্চাদের জন্য কিছু চকলেট নিয়ে গেল। রীতিমতো ডিনার করে তারা ঘুমাতে চলে গেল। বাস্তব দিক থেকে যদি আপনি দেখেন তাহলে অনেক সুখের সংসার বলে মনে হবে। জেনিফার জন কে অনেক ভালোবাসতো, তারা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো। তবে তাদের সংসারে অনেক অবাব ছিলো। জনের ইনকামের টাকা সংসারের সম্পূর্ণটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে এছাড়া কিছু অভাব-অনটন লেগেই রয়েছে। তাই জেনিফার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে পাশের একটি স্টলে পার্ট টাইম জব করবে এবং সেই টাকা থেকে কিছু টাকা তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য জমানো হবে। এভাবে করেই কথা বার্তা বলতে বলতে জেনিফার ঘুমিয়ে গেল কিন্ত জন চিন্তা করছিল অন্য কিছু!!

জন চিন্তা করছিল তার ছোটবেলার কিছু কথা। তার বাবা একজন বিজ্ঞানী ছিল। তার বাবা বিজ্ঞান এর পিছনের সারাটা জীবন নষ্ট করে দিয়েছে কিন্তু তারপরও সরকার বা অন্য কোথাও থেকে সে টাকা ইনকাম করতে পারেনি। বিজ্ঞানের বদৌলতে অনেক কিছুই সে সরকারকে আবিষ্কার করে দিয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় সরকার সেগুলো কে অস্বীকার করেছে যদিও সে টেকনোলজি গুলো সরকার এবং বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবহার করছে কিন্তু সেই কৃতিত্ব তার বাবা কখনোই পায় নি। এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পরল। যদি প্রকৃত ভাবে দেখা যায় তাহলে জন অনেকটাই লাগজেরিয়াস অর্থাৎ ধনীদের জীবন-যাপন করতে পছন্দ করতো, কিন্তু বাস্তেবে সে ছিলো মধ্যবিত্ত। তাই সে অনেক কিছুই চিন্তা করছিল।

পরদিন সকালে যথারীতি জনের একটি লেকচার ছিল সাইন্সের বিষয়। যদিও সে ভার্সিটিতে পার্ট টাইম হিসেবে জব করে যার কারণে মাইনে অনেক কম পায়। তার ক্লাসের একটি ছাত্র, যে সব সময় জন কে ফলো করতো এবং জনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চাইতো। কিন্তু জন কোনো ভাবেই সেই স্টুডেন্টকে তার তাদের সাথে সংযুক্ত করতে চাইনি। সেই ছাত্রের নাম হচ্ছে মাইকেল। সেদিন লেকচার শেষ করার পরে মাইকেল জনের সাথে কথা বলতে চায়, কিন্তু জন কোনোভাবেই তাকে কথা বলার সুযোগ দেয় নি। পরবর্তীতে মাইকেল বলে উঠলো আপনি যে থিওরি নিয়ে কাজ করছেন সেই থিওরি সম্পর্কে আমার কাছে কিছু নতুন তথ্য রয়েছে।

জন মাইকেলের দিকে এগিয়ে গেল এবং তাকে প্রশ্ন করলো কি এমন তথ্য আছে? মাইকেল বলল, এটা এখানে বলা যাবে না তারপরে জন সিদ্ধান্ত নিল, তাকে ল্যাবে নিয়ে যাবে। ভার্সিটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মাইকেল এবং জন দুজনে মিলে তাদের ল্যাবে প্রবেশ করলো। যথারীতি ল্যাবে রবার্ট কাজ করছিল। এরই মাঝে জন, মাইকেলকে প্রশ্ন করলো। কি এমন থিওরি আছে তোমার কাছে সেটা আমাদেরকে বল? এরপরে মাইকেল তার থিওরি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বোঝাতে থাকলো।

চলবে................

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রত্যেকটি ছবি Canva Pro দিয়ে তৈরি করা হয়েছে.

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটগল্প || মাল্টিভার্স ( ২য় পর্ব )

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......