ছোটগল্প || মাল্টিভার্স (পর্ব ১)

আমরা তো অনেকেই সাইন্স ফিকশন মুভি কিংবা ওয়েবসিরিজ গুলো অনেক পছন্দ করি তেমনই একটি ছোটগল্প আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। গল্পটি বেশ কয়েকটি পর্বে বিভক্ত হবে তবে আমি মনে করি আপনারা অনেক ইঞ্জয় করবেন। গল্পের মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক কিছু কথা বলা হবে। যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানের এর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আমি গল্পের মধ্যে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করি এই গল্পটি আপনাদের পছন্দ হবে তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে গল্পের মূল অংশে যাওয়া যাক।

গল্পের শুরুতেই গল্পের কিছু মূল চরিত্র সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। এই গল্পের মূল চরিত্রে রয়েছে জন। সে একজন ভার্সিটির প্রফেসর সাথে একজন গবেষক। মূল চরিত্রের স্ত্রীর নাম জেনিফার এবং তাদের দুই সন্তান যথাক্রমে লরা এবং জ্যাক। এর পাশাপাশি কিছু সাইড ক্যারেক্টার থাকবে। জনের এক বন্ধু, যে সব সময় গবেষণার ক্ষেত্রে জনকে সাহায্য করেন, তার নাম হচ্ছে রবার্ট। এছাড়াও আরো কিছু ক্যারেক্টার রয়েছে যেগুলো আমরা গল্পের সময় আস্তে আস্তে জানতে পারব, তবে চলুন গল্প শুরু করা যাক।

গল্পের শুরুতেই জনকে একটি সেমিনার হলে দেখতে পাওয়া যায়। সে মাল্টিভার্স এবং ওয়ার্মহোল সম্পর্কে বেশকিছু কথাবাত্রা এবং তার নিজস্ব গবেষণা তার ছাত্রদের সামনে উপস্থাপন করছেন। কিভাবে ওয়ামহোল তৈরি করা যায়, কিভাবে টাইম ট্রাভেল করা যায় এবং কিভাবে আমাদের এক ইউনিভার্স থেকে অন্য ইউনিভার্সে যাওয়া যায়। তবে এখনো আমাদের প্রযুক্তি এত উন্নত হয়নি যার কারণে এগুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানিনা, এসব বিষয়ে তিনি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।

গল্পের শুরুতেই বলে রাখি জন, জন একটি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে বিলং করে অর্থাৎ তার সংসারের সব সময় অভাব-অনটন লেগেই আছে। যদিও তিনি একটি ও ভার্সিটির প্রফেসর তারপরও তিনি ভার্সিটির ক্লাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি টাকা ইনকাম করে না। মূলত তার বাকি সব সময় গুলোতে তিনি গবেষণার কাজে লাগায়।

জন প্রতিদিন তার ভার্সিটির শেষ করে গবেষণায় মন দেয় এবং তাদের গবেষণাগার তাদের বাসার পাশেই ছিলো। রবার্ট তাকে সবসময় সাহায্য করার জন্য সেখানে থাকত এবং সেখানেই তারা গবেষণা করতো। একদিন গবেষণা করতে করতে একটি ওযামহোল আবিষ্কার করেন। তারা দেখল পৃথিবীতে সব জায়গায় ওয়ামহোল সৃষ্টি হয় এবং সেটা অনেক ক্ষুদ্র সময়ের জন্য এবং অনেক ক্ষুদ্র আকৃতিতে। তিনি চিন্তা করল এই ওয়ামহোলকে যদি কোনো কারণে স্ট্যাবল করা যায় এবং একটু বড় সাইজ করা যায় তাহলে তাদের গবেষণায় নতুন একটি সম্ভাবনা আসতে পারে।

জন তার গবেষণা থেকে টাইম ট্রাভেল কি বাদ দিয়ে ওয়ার্মহোল কে নিয়ে গবেষণা শুরু করল এবং ওয়ার্মহোল এর মাধ্যমেই বিভিন্ন ইউনিভার্স এ যেতে চাই। মাল্টির্ভাস এমন একটি জায়গা যেখানে আমাদের সকলের অস্তিত্ব অন্য কোন জায়গায় রয়েছেন। সেই বিষয়টি আমরা মাল্টিভার্স বলি। অর্থাৎ আজকে আমি এই সিয়াম যদি এখানে বসে থাকি তাহলে অন্য কোন জায়গায় অন্য কোন ইনির্বাসে আমি এইভাবে থাকবো। তবে এটা এই ইউনিভার্সে নয়, সেটা অন্য কোন ইউনিভার্সে।

এই বিষয়টি জন অনেক গবেষণা করেছে এবং সে বিশ্বাস করে কোনো কারণ ছাড়া কোন কিছু সম্ভব নয়। কারণ শূন্য থেকে যদি সবকিছু সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সব কিছু নেগেটিভ এবং পজিটিভ জায়গা থাকবে। যেহেতু আমাদের আশেপাশের সব কিছুর ম্যাটার দ্বারা তৈরি তাই এমন সময় অন্য অনেক ইউনিভার্সের সৃষ্টি হতে পারে। যেটা এন্টিম্যাটার দিয়ে তৈরি। এই কারণে থেকেই মূলত জন মাল্টির্ভাস নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

জন এবং রবার্ট সবকিছু বাদ দিয়ে মাল্টিভার্স নিয়ে গবেষণা শুরু করল এবং দেখতে দেখতে এক বছর পেরিয়ে গেলো। এক বছর পরে তারা একটি যন্ত্র আবিষ্কার করল যে যন্ত্রের সাহায্যে একটি ওয়ার্ম হোল তৈরি করা যাবে এবং তা কিছু সময়ের জন্য স্থায়ি করা যাবে। তবে এটা পরীক্ষার দিনে সেটা প্রমাণিত হবে। সেটা কতটুকু এস ট্রাবল আর কতটুকু সঠিক ভাবে কাজ করে।।

রবার্ট এবং জন মিলে একটি ডেট ঠিক করল সেই তারিখে তারা এই গবেষণাটি করবেন এবং সেই গবেষণাটি রাতের বেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ দিনের বেলা অনেক সমস্যা হয়ে থাকে এবং মনোযোগ সহকারে কাজ করা যায় না। যথা তারিখ চলে আসার পরে তারা গবেষণা শুরু করল। এমন সময়ে হুট করে তাদের মেশিনে একটি সমস্যা দেখা দিলো।

চলবে..............

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রত্যেকটি ছবি Canva Pro দিয়ে তৈরি করা হয়েছে.

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটগল্প || মাল্টিভার্স (পর্ব ১)

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......