ফোটোগ্রাফি 📸 || ৭ টি রেনডম ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
বরাবরের মতো এবারও আমি কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। সুন্দর একটি অ্যালবাম উপস্থাপন করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। এই অ্যালবামে বেশিরভাগ দৃশ্যও থাকবে গ্রামের এবং কিছু খাল-বিলের ছবি থাকবে। যেগুলো সত্যিই অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য। এইসব জায়গায় যদি আপনি বিকেলে বসে থাকেন মনে হবে আপনি কোন এসি রুমে বসে আছেন। এসব জায়গা অনেক ঠান্ডা হয়। গ্রাম বাংলার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আমার ছোট থেকেই অনেক ভালো লাগে। চলুন কথা না বাড়িয়ে সেসব মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আসি।
ছোটবেলার এমন কোনো দৃশ্য কি আপনাদের মনে পরে। আমার তো অনেক মনে আছে এই কচুশাকের উপরে পানি নিয়ে কত খেলা করেছি। সেদিন বৃষ্টি হওয়ার পরে দেখলাম এরকম একটি কচু গাছে পানি জমে আছে। তাই আমি তাড়াতাড়ি আমার ফোনটি বের করে একটি ছবি ক্লিক করে নিয়েছিলাম।
গ্রাম বাংলার খুব পরিচিত একটি জিনিস। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই জিনিস কে চর্কি বলা হয়।।কিছুদিন আগে এই গ্রামে গিয়েছিলাম তাই এই চর্কি দেখতে পেরেছিলাম। যদিও অনেকদিন পর এই চর্টি দেখলাম তবে এই চর্কিতে অতীতে অনেকবার উঠেছিলাম। ঠিক ছোটবেলায় গ্রামে যখন মেলা হতো তখন এ ধরনের চর্কা মেলায় আসতো।
ঠিক গ্রামের বুক চিরে একটি রেললাইন চলে গিয়েছে। যতদূর দৃষ্টি যায় সোজা সোজা লম্বা একটি রেল লাইন দেখতে পাওয়া যায়। দৃশ্যটি আমার অনেক ভালো লেগেছিল তাই ক্লিক করে নিয়েছিলাম।
সেদিন নদীর ধারে যাওয়ার সময় অনেকগুলো কলাগাছে দেখতে পাই এবং পিছনের দৃশ্যটি ও সত্যিই অসাধারণ ছিল। তাই এই দৃশ্যটি আমি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
পরিচর্যার অভাবে এ বাংলাদেশে এরকম অনেক ছোট ছোট খাল বিল গুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। ছোটবেলায় এই খালে ছোট্ট একটি ঝর্ণা ছিলো যার শব্দ অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যেত। কিন্তু আজকে এই খালটি প্রায় মৃত অবস্থায় রয়েছে।
ছোটবেলার কোন স্মৃতি কি মনে পরে?? এইসব জিনিসের জন্য এক সময়ে অনেক কান্না করতাম। সেদিন গ্রামে যাওয়ার সময় মেলায় এই জিনিসগুলো দেখতে পাই যা সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং অতীতের অনেক কথা মনে পরে গিয়েছিল।
দু'সাইডে রয়েছে ধান গাছ এবং মাঝখানে চলে গিয়েছে একটি ছোট্ট সড়ক। এসব দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এসব রাস্তায় যখন আপনি মোটরসাইকেল চালাবেন তখন আলাদা একটা ফিলিংস কাজ করবে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ভাইয়া। আমি গ্রামের ছেলে তাই গ্রামের আবহাওয়া সম্পর্কে আমার যথেষ্ট ধারণা রয়েছে। এখন হয়তো আমরা অনেকেই শহরে বসবাস করি। কিন্তু গ্রামের এইসব খোলামেলা জায়গায় বিকেল বেলায় বসে থাকলে মনে হয় সত্যিই এসি রুমে বসে রয়েছি। গ্রামের প্রকৃতির এই শীতল বাতাস এসির চেয়েও অনেক দামী। যাইহোক ভাইয়া আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ক্যাপচার করেছেন। গ্রামের মাঝখান দিয়ে রেললাইনের ফটোগ্রাফিটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।❣️❣️
আমি তো মাঝে মাঝে এমন জায়গায় গিয়ে বসে থাকি, যখন মন খারাব থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুপাতায় বৃষ্টির পানি পড়ে থাকে আর এই মনোরম দৃশ্য দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বৃষ্টি হওয়ার পরে যখন কচুর পাতা এরকম পানি থাকতো তখন হাত দিয়ে নেড়ে নেড়ে পানি গুলো ফেলে দিতাম। আবার পাতায় দিয়ে দিতাম।সত্যিই সেই মুহূর্তটা অনেক ভালো লাগতো ।আর আজকে আপনার ছবিগুলো দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। সবগুলো ছবি অসাধারণ ছিল।
ছোট বেলায় যাদু দেখাতাম এভাবে, হাহহাহা।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রকৃতির মাঝে থাকা সবুজ পাতার উপরে ফোটা ফোটা পানি যেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
কচু পাতার দৃশ্যটি আমার ও অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই।
কি বলবো ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে নতুন করে আর কিভাবে প্রশংসা করবো খুজে পাচ্ছিনা বরাবরই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।
বিশেষ করে কচু পাতার উপরে পানি এবং গ্রাম্য সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলা একদম নজর কেড়ে নিয়েছে
ধন্যবাদ আপনাকে, সব সময় ভালো কিছু উপস্থাপন করার চেস্টা করি।
ভাই আমাদের এদিকে একটা আঞ্চলিক কথা আছে, মামা একটি কাঁথা দিয়েছে তা কখনোই বৃষ্টিতে ভিজে না। আর সেটি হচ্ছে কচুর পাতা। কচুর পাতায় পানি থাকলেও কচুর পাতার গায়ে কখনো তা লেগে থাকে না। আপনার ফটোগ্রাফিতে কচুশাকের উপরে পানি ভরে আছে দৃশ্যটি দেখে আমার সেই কথাটি মনে পড়ে গেল। অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফিটি। আপনার ফটোগ্রাফির প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফিই অতুলনীয় হয়েছে ভাই। এত সুন্দর সব ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকে ও বলে এটি,
আপনার করা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি ঠিক বলেছেন কচুর পাতার উপর পানি নিয়ে খেলা অনেক খেলেছি। আমার মনে পড়েছে আপনার ফটোগ্রাফি টি দেখে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে রেললাইনে ফটোগ্রাফিটিও অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরা এবং সে সম্পর্কে বর্ণনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কচুপাতার উপরের পানি নিয়ে কত খেলে করেছিলাম, এখনও দিন গুলো মনে আছে।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া।। আসলে অসাধারণ ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।। বিশেষ করে কচু পাতার উপর পানি জমে থাকার দৃশ্যটি আমার মন কেড়ে নিয়েছে ।।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।।
ভাই অনেকদিন পর আপনার ফটোগ্রাফি দেখলাম। ছোটবেলায় কচুর পাতায় এমন পানি জমে থাকতে দেখেছি। ছবিটা দেখে পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আর ছোট ছোট শুকিয়ে যাওয়া খাল-বিল এক সময় যে কত ছিল তার হিসেব নেই। এমন ছোট খালে বর্ষার পানিতে গোসল করে যে কত আনন্দ তা বলে বোঝানোর মত নয়। ধন্যবাদ ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য
কচুপাতার পানি নিয়ে আমি ও অনেক খেলা ধুলা করেছিলাম, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আশা করি ভাইয়া, ভাল আছেন। আপনি খুব সুন্দর করে রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যিই আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোকপি গুলো দুর্দান্ত মনে হচ্ছে। এত অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভাল থাকবেন ভাইয়া।
গ্রামবাংলার দৃশ্য গুলোই এমন, তবে বাস্তবে আরো সুন্দর।
ভাইয়া আবার ফেলাম আপনার ফটোগ্রাফি। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে আপনি ভাইয়া। চর্কি কে মনে হয় আমরা নাগরদোলা বলি। আর ভাইয়া কোন নদীর ধারে এ কলাগাছের ফটোগ্রাফি করেছেন?
যাইহোক ভাইয়া আপনার পরবর্তী ফটোগ্রাফির অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যা, নাগরদোলা বলা হয়, তবে আমাদের এলাকায় চর্কি বলে, তাই সেটি ব্যবহার করেছি আমি।