বিকেলে হাতিরঝিলে একটু হাঁটাহাঁটি

বর্তমান সময়টা অনেকে স্পর্শকাতর হিসেবেই চলছে। বলতে গেলে সব বাসায় জ্বর, সর্দি-কাশি বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ লেগেই রয়েছে। কেউ সুস্থ হচ্ছে আবার দুদিন পরে আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এমত অবস্থায় সবাইকে একটু সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার অবস্থা আরো ভয়াবহ। চারিদিকে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এত যেখানে ৪৮ শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে. তাই বলা চলে করোনার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হিসেবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।। সবাই সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন।

বর্তমান একটু ব্যস্ত সময় পার করছি, সামনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনেকগুলো পড়াশোনা বাকি আছে, বিভিন্ন ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট বাকি আছে। আপনারা তো জানেন পরীক্ষার আগে কত প্যারা থাকে। তারপরও ছোটখাটো একটি রুটিন তৈরি করে নিয়েছি কিন্তু যতই যা বলুক না কেন রুটিন অনুযায়ী কোন দিন এই ১০০% কাজ করতে পারিনা। তবে কাজ গুলো ঠিকভাবে হচ্ছে এটা বুঝতে পারছি। বর্তমানে ঢাকায় একাই রয়েছি। সব সময় রুমে বসে থাকতে ভালো লাগে না। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্লাস অনলাইনে হচ্ছে যার কারণে রুম থেকে বেশি একটা বের হচ্ছে না। তবে গতকাল বিকেলে হাঁটতে বের হয়েছিলাম, একা একা আর কতক্ষণ ভালো লাগে বলুন! হাতিরঝিলের বিভিন্ন প্রান্তে হেটে বেরিয়েছি। একটু হাঁটার চেষ্টা করেছি কারণ দিন দিন একটু মোটা হয়ে যাচ্ছি, হাহাহা।

হাতিরঝিলের বিকেলের পরিবেশটা সত্যি অনেক চমৎকার, বিশেষ করে পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্যটা অনেক চমৎকার লাগে। সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছে যেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আশাকরি আপনাদের সেই ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে। মাগরিবের আজানের প্রায় ৪০ মিনিট আগে বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম এবং পুলিশ প্লাজার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কানের মধ্যে ইয়ারফোন ছিল এবং সফট গান শুনতে শুনতে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। যেহেতু একাই ঢাকায় থাকি তেমন কোন বন্ধু বান্ধব নেই তাই সব জায়গায় একাই যেতে হয়, তবে আমি মনে করি এটা অনেক ভালো।

বিশেষ করে হাতিরঝিলে শুক্রবার করে বিভিন্ন ধরনের মেলা বসে। মেলা বলতে, সেদিন সরকারি ছুটির দিন থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতিরঝিল দেখতে আসে। তবে গতকাল শুক্রবার ছিল না তাই খুব একটা লোকের ভিড় ছিল না। কিন্তু সন্ধ্যার পর তারপরও জমজমাট হয়ে ওঠে হাতিরঝিলে এলাকাগুলো।

_Location

হাঁটতে হাঁটতে অনেক কিছু চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। আসলে আমার ভবিষ্যৎ কি হবে? কিভাবে কাজ করলে আরো ভালো কিছু করা যায়, মোটকথা এই সবকিছু চিন্তা ভাবনা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। এছাড়াও বয়স দিন দিন বেড়ে চলেছে, এই দিকে পড়াশোনা টেনশন। মোট কথা বলতে একটি হজবরল সময় পার করছি। কখন যে কি করবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তাই একটু স্বস্তির নিশ্বাস এর জন্য হাতির ঝিলে গিয়েছিলাম। যদিও আমার বাসা থেকে হাতিরঝিল খুব বেশি দূরে নয়।

পুলিশ প্লাজার সামনে গিয়ে একটি বেঞ্চে বসে রইলাম এবং একটি বাদামওয়ালার কাছ থেকে কিছু বাদাম কিনে নিলাম। বাদাম খাওয়া শেষে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি এবং পরবর্তীতে মাগরিবের আযানের আগেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। মাগরিবের পরে বাহিরে থাকাটা খুব একটা ভালো দেখায় না, যদি কোন কাজ থাকে সেটা আলাদা বিষয়।

_Location

এছাড়াও বাইরে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই সন্ধ্যার সময় সময় টা একটু সাবধানে থাকা উচিত। তাই তাড়াহুড়ো করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এই ছিল মোটামুটি হাতিরঝিলে কাটানো কিছু সময় যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি আপনারাও ইনজয় করেছেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সতর্ক থাকবেন। ধন্যবাদ সকলকে।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: বিকেলে হাতিরঝিলে একটু হাঁটাহাঁটি

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......