মেঘলা আকাশ, বৃষ্টিময় বিকেল
বাসার মায়া ছেড়ে এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরে ব্যাক করতে পারিনি। বাসায় বেশকিছু কাজ রয়েছে এছাড়াও সাথী পাঠাগারের নতুন একটি রুম নিয়েছি এবং সেই রুমকে নতুনভাবে ডেকোরেশন কাজে একটু ব্যস্ত রয়েছি। তাই এখন পর্যন্ত ঢাকায় ব্যাক করতে পারিনি। আমাদের ফ্ল্যাটের নিচের যে অংশটুকু রয়েছে সেখানেই মূলত আমরা হল রুম করেছি। সেই হলরুমেই আমাদের লাইব্রেরী স্থাপন করছি সেই স্থাপনের জন্য একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কে আজ ডেকেছিলাম। তিনি সুন্দরভাবে একটি প্ল্যান দিয়েছে এবং সেই প্লান অনুযায়ী আগামীকাল থেকে আমাদের বাসায় তারা কাজ করবেন।
সাথী পাঠাগারের শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রায় ১৩-১৪ বছর হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত এই পাঠাগারটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই পাঠাগারের বই সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি। ইচ্ছা আছে এই পাঠাগারকে আরো বড় করে তুলব। এত বছর ধরে শুধুমাত্র আমাদের পার্সোনালি ইনভেস্ট করেই এই লাইব্রেরীটিকে চলমান রেখেছি। তবে পরবর্তীতে আমরা চাচ্ছি এই পাঠাগারের আরো কিছু ইনভেস্টর হোক। যদি এই বিষয়ে পরবর্তীতে অন্য একদিন আলোচনা করে নেব। কিন্তু আমরা চাই নীলফামারী শহরের মধ্যে আমাদের লাইব্রেরীটা যেন অন্যতম হয়ে ওঠে।
এই লাইব্রেরীর কাজকর্ম প্রায় সকাল থেকে দুপুর অবধি করেছি। তখন ও প্রচন্ড রোদ ছিল এবং প্রচন্ড গরম ছিল। আল্লাহতালার কাছে দোয়া করছিলাম এখন যদি একটি ঝড়-বৃষ্টি আসে তাহলে ঠিক মন্দ হয় না।
লাইব্রেরী কাজ শেষ হয়ে অনেকটা গরম লাগছিল তাই আমার রুমে ঢুকে আমার কমিউনিটির কিছু কাজ করতে থাকলাম। এই মধ্যে দেখলাম প্রচুর বাতাস বইছে। সপ্তাহে কিছুদিন একটু ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। তার মধ্যে আজকের দিনটাও একটু ব্যস্ততম ছিল। কারণ আজকে দুইটির রিপোর্ট আমাকে তৈরি করতে হয়। যাই হোক সেই রিপোর্ট তৈরি করে দেখি বাহিরে প্রচন্ড মেঘ জমেছে। কালো মেঘ গুলো সমস্ত আকাশে একেবারে ছেঁড়ে যাচ্ছে। সেই দৃশ্যগুলোও ক্যামেরামন্দি করার চেষ্টা করেছি। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রচন্ড বাতাস বইতে থাকে এবং সেই সাথে জোরে জোরে বৃষ্টি পড়তে থাকে।
বৃষ্টির পানিতে একটু গোসল করার পরেই ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করি যদিও। আজকে লাঞ্চ করতে করতে অনেকটাই লেট হয়ে গেছে। আমাদের লাঞ্চ করা হয় দুপুর দুইটার সময় কিন্তু আজ লাঞ্চ করেছি বিকেল চারটার সময়। বাসায় আসার পরে এমন জোরে ঝড় এবং বৃষ্টি আজ প্রথম দেখলাম। যদিও অনেকটা ভালো লাগছিল। দরজার বাহিরে বসে বসে সেই বৃষ্টি এবং সেই বাতাস অনুভব করছিলাম,, মনটা একদম শান্ত হয়ে গিয়েছিল।
যাইহোক আমাদের লাইব্রেরীর ইন্টেরিয়র ডিজাইন চমৎকারভাবেই যাওয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে সেগুলোকে কমপ্লিট করব। যেহেতু ডিজাইন করতে প্রচুর টাকা খরচ তাই সেই কাজকে আমি তিন ভাগে বিভক্ত করেছি। প্রথম ধাপের কাজ কালকে থেকেই শুরু হবে এবং আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে শেষ হবে। পরবর্তীতে সেগুলো আরও সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করব এবং সম্পূর্ণ প্লানিং করেই মাঠে নেমেছি। যদিও সম্পুন্ন সাপোর্ট করছে আম্মু।
প্রথম ধাপের কাছেই সবার পরেই আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। এইভাবেই প্লানিং করে রেখেছি তবে এ মত অবস্থায় আমার একটি ক্লাস মিস যাবে। তবে সেই ক্লাসটি মেকআপ করে নেওয়া যাবে। যেহেতু চার মাসের সেমিস্টার, দেখতে দেখতেই কখন যে পরীক্ষা চলে আসবে তা বলাই মুশকিল।
তবে আর যাই হোক না কেন আজকের পরিবেশটা অনেক উপভোগ করেছি। নীলফামারীতে আসার পরে আজকেই এত বৃষ্টি হলো। মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টিময় বিকেল আজ অনেক উপভোগ করেছি। যদিও প্রতিরাতেই বৃষ্টি হয়ে থাকে কিন্তু দিনের বেলা করে আবার গরম লাগতে শুরু করে, একটা বিচ্ছিরি অবস্থা।
হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায় আবার হঠাৎ করেই রোদ জ্বলজ্বল করে ওঠে। এমন ভাবেই দিন পার করছে নীলফামারী বাসী। যাইহোক আজ আর তেমন কিছু লিখছি না, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: মেঘলা আকাশ, বৃষ্টিময় বিকেল
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টিময় বিকেল বেশ দারুন উপভোগ করেছেন তা আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি ভাইয়া। আর এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ও মেঘলা দিন সত্যিই উপভোগ্য হয়। আর বৃষ্টিতে গোসল করতে পারলে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। যাইহোক ভাইয়া, সাথী পাঠাগারে দশ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। তার চাইতেও বেশি ভালো লাগলো সাথী পাঠাগারকে নীলফামারী শহরের মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম লাইব্রেরি হিসেবে পরিচিতি লাভ করানোর জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা দেখে। আশা করছি আপনাদের ব্যক্তিগত ইনভেস্টর ব্যতীত আরো ইনভেস্টর যুক্ত হবে। আপনাদের মনস্কামনা যেন পূর্ণ হয় এই প্রত্যাশা করছি। সাথী পাঠাগারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সেই সাথে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টিময় বিকেল নিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি ভাই। আশা করছি সাথী পাঠাগার একদিন অনেক বড় পাঠাগার হয়ে উঠবে।
বেশ সুন্দর মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টিময় সময়গুলোকে ক্যামারা বন্দী করেছেন ভাইয়া। আমার কিন্তু বেশ বৃষ্টিতে ভিজতে মনে চায় এবং মাঝে মাঝে মনে চায় কোন একটি গ্রামে যেয়ে এরকম ঝুম ঝুম বৃষ্টি আর প্রকৃতির খেলা দেখতে। তদপুরি সাথী পাঠাগারের জন্য রইল শুভ কামনা। আপনাদের স্বপ্ন গুলো পূরন হউক অতি দ্রুত এই কামনায়।
এরকম আবহাওয়া আমার অনেক ভালো লাগে, সর্বোপরি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঢাকা শহরে থাকার পরে যদি নিজের বাসায় যাওয়া যায় তাহলে সত্যি ভাই সেখান থেকে ছেড়ে আসতে একটু কষ্টই লাগে। তারপরও তো মনে হচ্ছে বাসায় আপনার অনেক কাজ রয়ে গেছে। যে আমার সাথী পাঠাগারে নতুন একটি রুম নিয়েছেন সেটা ডেকোরেশন করবেন এগুলো কাজে ব্যস্ত রয়েছেন এছাড়া অনেক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন দেখছি। সাথী পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি! এতগুলো বই, যাক ভাই শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। যাক সমস্ত কাজগুলো শেষ করে আপনি পুনরায় ঢাকায় ফিরবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমাদের লাইব্রেরীতে আরো কিছু বই সংযুক্ত হবে। আশা করছি সব কিছু মিলে ভালো পাঠাগার গড়ে উঠবে।
সাথী পাঠাগারের ডেকোরেশনের এর কাজগুলো সম্পন্ন হলে, নিঃসন্দেহে একটি অত্যাধুনিক পাঠাগার হবে বলে আশা করছি।কাজটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হলে তুমি তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারবে। সর্বোপরি হঠাৎ ঝড় ও বৃষ্টির কারণে কাল দুপুরে খাওয়াটা তুমি একটু দেরিতে খেয়েছো।মেঘলা আকাশ, বৃষ্টিময় বিকেল বেশ ভালই কেটেছিল।♥♥
সব মিলিয়ে সেদিনকে অনেক ভালোই কেটেছে। এছাড়াও সাথী পাঠাগারকে নিয়ে আমারও অনেক স্বপ্ন রয়েছে।
ভাইয়া আপনাদের পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা ১০ হাজার এর উপর এটা জেনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর অনেক ব্যস্ততার মাঝে যখন মেঘলা আকাশ হয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরতে থাকে ঠিক ওই সময়ের মুহূর্তটা খুবই উপভোগ্য হয়। আর বিকেলে বৃষ্টি হলে সেই মুহূর্তটুকু এমনিতেই খুবই উপভোগ্য হয়। যাহোক, অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আরো কিছু বই সংযুক্ত করব ভাই এ বছরেই। আশা করছি এই লাইব্রেরী টি অনেক চমৎকার একটি লাইব্রেরী হয়ে উঠবে।
আসলে বাড়ির মায়া ত্যাগ করে ব্যাক করাটা সত্যিই কষ্টকর। তার মধ্যে পাঠাগার ডেকোরেশন এর কাজের দায়িত্ব আপনার উপর। দায়িত্ব শেষ করে ঢাকায় ব্যাক করলে বেশ স্বস্তি পাবেন। যাইহোক পাঠাগারের জন্য শুভকামনা রইল। এমন বৃষ্টিময় বিকেল মাঝে মধ্যে আমার খুব ভালো লাগে। আপনিও বৃষ্টিময় বিকেল বেশ উপভোগ করেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাসার বড় ছেলে, এতটুকু দায়িত্ব তো কাঁধে তুলে নিতেই হবে। যাইহোক আপনাকেও সর্বোপরি অসংখ্য ধন্যবাদ।