এবারের দুর্গাপূজা | ফটোগ্রাফি সিরিজ -২

🌼সবাইকে শারদীয়দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা🌼
কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন। আমার বাংলা ব্লগের সকলকে জানাচ্ছি শারদীয়ার অন্তরিক শুভেচ্ছা।দাদা কে অসংখ্য ধন্যবাদ পূজা বিষয়ক একটি কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য । এবার পূজায় খুব একটা ঘুরা হয়নি। তারপরও আশে পাশের কয়েকটি প্রতিমা ঘুরে দেখেছি। যারা আগের পোস্টটি পড়েছেন তারা জানেন যে আমি আমার মাসির বাসায় চলে এসেছিলাম যেহেতু এবার আমার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে অনেকেই ব্যাস্ত সময় পার করছে। সপ্তমীর রাতে মাসির বাসায় আসি, তাদের এখানে থাকাতে একটু পূজা পূজা ভাব খুঁজে পেয়েছি।

---

_{স্থান:- মণিপুরি পাড়া, ফার্মগেট, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}
সপ্তমীর রাতে এসে শুধু খামারবাড়ির পূজা মন্দপেই সময় কাটিয়ে ছিলাম। সেদিন আর ঘুরার সময় পাইনি। অষ্টমীর দিন অর্থাৎ পরের দিন খামারবাড়ি পূজা মন্ডপে অঞ্জলী নেওয়ার পর কাছেই মণিপুরি পাড়ার পূজা দেখতে চলে যাই।

_{স্থান:- মণিপুরি পাড়া, ফার্মগেট, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

মণিপুরি পাড়ায় যে পূজাটি হয় সেটি একটা দালানের গ্যারেজে অনুষ্ঠিত হয়। মূল সড়ক থেকে বেশ ভিতরে হওয়ায় মানুষের আনাগোনা কম হয় কিন্তু তা কম বললেও ভুল হবে। একখানেও ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পূজা করা হয়। বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই ভিতরে এত সুন্দর প্রতিমা রয়েছে। প্রতিমার চেহারা, কারুকাজ, ভেতরকার অঞ্জলী ও প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা সব কিছু খুব চমৎকার।

_{স্থান:- মণিপুরি পাড়া, ফার্মগেট, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

_{স্থান:- মণিপুরি পাড়া, ফার্মগেট, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

_{স্থান:- ঢাকেশ্বরী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}
অষ্টমীতে আর কোথাও বের হওয়া হয়নি। নবমীতে হালকা ঘোরাঘোরি করেছি । নবমীতে অঞ্জলী নিতে দেরি হবে শুনে ভাবলাম একটু অন্যান্য মণ্ডপে মধ্যে ঘুরে দেখা যায়। তাই চলে গেলাম ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রথমে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম বিপুল মানুষের সমাগম । সকলে অধীর আগ্রহে অঞ্জলীর জন্য অপেক্ষা করছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমা প্রত্যেকবার দেখলেই চিনতে পারা যায়। প্রতি বছর প্রায় একই থিম ও কারুকাজ ব্যাবহার করা হয় বিগ্রহ ও মণ্ডপে। তারপরও এটিই প্রতিবার যেনো নতুন লাগে। এবার যে জিনিসটা আমার নজর কেড়েছে তা হচ্ছে প্রতিমার পিছনের কারুকাজ। এটা বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে, এটাই মূলত প্রতিমার সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছে। সব মিলিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমাও খুব ভালো ছিলো।

<sub>স্থান:- ঢাকেশ্বরী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20

স্থান:- রমনা কালী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20</sub>
ঢাকেশ্বরী মন্দির ঘুরে, রমনা না ঘুরে কখনও যাওয়া হয় না। তাই এরপর এলাম রমনা কালীবাড়ির পূজা মণ্ডপে। এখানকার পূজা এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজা দেখতে দূর- দুরন্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে । রমনা কালী মন্দিরে ঢুকতে দুইপাশে অনেক মজার এবং লোভনীয় খাবারের স্টল রয়েছে। মন্ডপের প্রবেশ পথের পাশে দেওয়ালের উপর কার্ডবোর্ড দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে মা দুর্গার প্রতিবিম্ব , দেখতে খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাগছিলো। সেদিকেই রয়েছে পদ্ম সরোবর।

_{স্থান:- রমনা কালী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

_{স্থান:- রমনা কালী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}
পদ্ম সরোবরে নামতে যে সিড়ি টা রয়েছে তার ওপর অসম্ভব সুন্দর রং বেরঙের আলপনা আঁকা হয়েছে। দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। সেখানে আমরা সকলে বসে কিছুক্ষন ছবি তুলি এবং তারপর মন্ডপের ভেতর ঢুকি। পদ্ম সরোবরের উপর রয়েছে বিষ্ণুর ভাসমান বিগ্রহ।

_{স্থান:- রমনা কালী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

_{স্থান:- রমনা কালী মন্দির, ঢাকা
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

রমনা কালী মন্দিরের প্রতিমা আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে। প্রতিমাতে অনেক নিখুঁত কাজ করা হয়েছে। মন্ডপ টি দেখতে পুরো রাজপ্রাসাদের মত লাগছিল। রাতে এখানকার সৌন্দর্য আরো ফুটে ওঠে। এর মধ্যেই অঞ্জলীর সময় হয়ে যায় তাই আমরা আবার খামারবাড়ির মন্ডপের দিকে রওনা দেই। সেখানে অঞ্জলী এবং প্রসাদ নেওয়ার পর বাড়ি ফিরি।
তারপর খামারবাড়ির পূজা মন্ডপেই দশমী পালন করি। সিদুর খেলা , প্রতিমা বিসর্জন এবং দুপুরে ভরপুর খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে এইবারের পূজার সমাপ্তি ঘটে।

---

_{উপরোক্ত ছবি গুলো ১৩/১০/২০২১ এবং ১৪/১০/২০২১ তারিখে তোলা হয়েছে।}

---

💖ধন্যবাদ 💖