শহরের ভিড়ে আমার একান্ত সময়
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, ব্যস্ত শহরে কিছু সময় নিয়ে, তো চলুন শুরু করি।
ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।
আজ যখন একটু বাইরে হাঁটছিলাম, তখনই এই দৃশ্যগুলো চোখে পড়লো। কেন জানি মনে হলো, এই মুহূর্তগুলো শুধু আমার নিজের জন্য মনে রাখা দরকার। চারপাশের এই ভিড় আর ছুটোছুটির মাঝে কেমন যেন একটা শান্তির জায়গা খুঁজে পেলাম। আমার শহরের একটা আলাদা রূপ, যা রোজ চোখে পড়ে না।
|  | 
|---|
প্রথমেই চোখ গেল আকাশের দিকে। আকাশটা কেমন যেন ভারী আর থমথমে হয়ে আছে! মেঘে ঢাকা, কিন্তু তারই ফাঁক দিয়ে সূর্যের যে আলোটা এসে পড়ছে, সেটা পুরো দৃশ্যটাকে একটা অন্যরকম রং দিয়ে দিয়েছে। এইরকম মেঘলা দিনে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে আমার ভালো লাগে। মনে হয় যেন আকাশটা চুপচাপ আমাদের সব কথা শুনছে।
|  | 
|---|
ওই দূরে দেখেন, ভেজা রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। বৃষ্টি হয়ে গেছে হয়তো বা সামান্য গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তখনও চলছিল। রাস্তার পিচটা কেমন চিকচিক করছে। রাস্তার পাশে ঘন গাছের ছায়াগুলো এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যেন মনে হয় প্রকৃতির নিজের হাতে আঁকা ছবি। গাড়িগুলো আসছে, চলে যাচ্ছে—কিন্তু এই গতি, এই শব্দ—এগুলো যেন এই দৃশ্যের শান্তিকে নষ্ট করতে পারছে না। মনে হলো, সবকিছুর মধ্যে একটা বিরতি চলছে, একটা স্বস্তির নিশ্বাস। এই মুহূর্তগুলো দেখলে মনটা কেমন ঠান্ডা হয়ে যায়। এই সময়টুকু একদম আমার নিজের, কেউ জানতেও পারবে না যে এই নীরবতা আমি কত গভীরভাবে অনুভব করছি।
|  | 
|---|
আর অন্যদিকটা তো আমাদের শহরের আসল চেহারা। উঁচু দালানগুলোর পাশে একটা পুরোনো দালান দাঁড়িয়ে আছে, যা হয়তো অনেক ইতিহাস ধরে রেখেছে। তার নিচে তাকালে দেখা যায় সেই চেনা ভিড় আর জীবনযাত্রা। সারি সারি অটো-রিকশাগুলো দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। মানুষজন যে যার মতো ছুটছে, কেউ বাজার করছে, কেউ বা কাজের সন্ধানে যাচ্ছে। হকাররা তাদের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। এই ভিড়, এই কোলাহলটা এখন আর আমাকে বিরক্ত করে না। বরং কেমন যেন মনে হয়, এটাই জীবন, আর আমি এই জীবনেরই একটা অংশ। এই ভিড়ের মধ্যেই যে একটা প্রাণশক্তি লুকিয়ে আছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
এই ঘোরাফেরাটা শুধু অন্য কিছু দেখার জন্য ছিল না। এই শহরের ভিড়ের মধ্যে নিজেকে একটুখানি খুঁজে পাওয়া। এই মুহূর্তগুলো হলো আমার দিনের একান্ত অনুভূতি। আর এই অনুভূতিটা শুধু আমার নিজের। এই সময়ের মধ্যে কেমন একটা আরাম খুঁজে পেলাম, সেটাই আমার কাছে সব। এমন সাদাসিধা দৃশ্যগুলো আসলে মনের ভেতরে অনেক বড় একটা জায়গা করে নেয়।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।
আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| 📱 ডিভাইসের নাম | 📍অবস্থান | ক্যাপচার📸 দ্বারা | 
|---|---|---|
| Redmi note 10 pro max | Jamalpur/BD | @alimtutorial | 
| - | - | - | 
ধন্যবাদ
@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin
আমার পোস্টটি দেখার জন্য


https://x.com/alimtutorial8/status/1980289583763050569?t=T9ftX37SrowxHbkgZD_6sA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.