আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম। আর এই গল্পটি হল বর্ষাকালের গল্প। আসলে বর্ষাকালে চারপাশে শুধু পানি আর পানি থাকে। এই বর্ষাকালে কোথাও যেতে নৌকার প্রয়োজন হয়। যার কারণে আমাদের গ্রামে পানিতে যেন ডুবে গিয়েছিল, বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবা একটি নৌকা কিনে এনেছিল। আর এই নৌকা নিয়ে আমরা যেন চলাচল করতাম। তাই স্মৃতির পাতায় থেকে বর্ষাকালের স্মৃতিময় এই নৌকা ভ্রমণের গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি আমার গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্ষাকালে চারপাশে শুধু পানি আর পানি। এখুন আগের মত আর বর্ষা হয় না আমাদের গ্রামে। আর ওই ভাবে পানি হয় না। কিন্তু আমি ক্লাস সেভেনে পড়াশোনা করি। অনেক বেশি উঠেছিল সেবার। বন্যার কারণে আমাদের গ্রামের রাস্তাঘাট যেন সব ডুবে গিয়েছিলো। বাড়ি থেকে কোথাও যাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের অনেকেই নৌকা কিনেছিল। এই নৌকায় যেন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল। যার কারণে বাবাকে বলা হয়েছিল একটা নৌকা কেনার জন্য। আসলে আমার দাদু নৌকা কেনার জন্য বাবাকে বারবার জোর করছিল। তখন নৌকার দাম অনেক ছিল। তারপরেও আমাদের জন্য একটা ছোট নৌকা কেনার সিদ্ধান্ত করা হলো।
যখন আমাদের নৌকা কেনার সিদ্ধান্ত হলো। তখন আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। কারণ আমি এই নৌকাতে বর্ষার পানিতে চলাচল করতে পারব। আসলে গ্রাম অঞ্চলে খুব একটা বেশি নৌকা ছিল না। যার কারণে নৌকায় ছিল তখন অনেক আকাঙ্ক্ষার যানবাহন।যার কারণে এই নৌকা কেনার কথা শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তার কিছুদিন পরেই বাবা দাদু এবং চাচা মিলে নৌকা কেনার জন্য গেল। তারা গিয়েছিল সকালবেলা।বিকেল হয়ে যায় তাও আসে না। আমি শুধু সেই দিনটা অপেক্ষা করতেছিলাম, কখন আমাদের নৌকা নিয়ে আসবে। আমাদের বাড়ির পাশেই ঘাটে আমি পুকুর ঘাটে ছিলো। আমি সেখানে বসে ছিলাম। কারণ নৌকা আনলেই এখানে নিয়ে আসবে, যার কারণে অপেক্ষার সময় যেন পার হচ্ছিল না, কিন্তু মনের ভিতর অনেক আনন্দ যে আমাদের নিজেদের নৌকা কিনে নিয়ে আসবে।
সন্ধ্যা নেমে আসলো, এখনো যেন এই নৌকা নিয়ে আসে না। তার কিছুক্ষণ পরে বাবা চাচা মিলে একটি নৌকা নিয়ে ঘাটে আসলো কিন্তু নৌকাটা ছিল ছোট। বাবা চাচা যখন নামলো বলল যে এটা আমাদের নৌকা। আসলে এই নৌকাটি মেশিনের ছিল না। আমি ভেবেছিলাম বড় এবং মেশিনের নৌকা নিয়ে আসবে। এই নৌকাটি ছিল বোর্ড নৌকা, মানে নিজের হাত দিয়ে বয়ঠা দিয়ে চালাতে হয়। এই নৌকাটা দেখতে পেয়ে আমার অনেক খারাপ লাগলো। আমি সারাদিন ভেবেছি অনেক বড় নৌকা নিয়ে আসবে। আর মেশিনের এই নৌকাতে আমরা ঘুরবো। আসলে নৌকাগুলো অনেক বেশি দাম ছিল, আর এই বোড নৌকাতেই গ্রামের মানুষ চলাচলের জন্য কিনে থাকে। এটা আমি তখন বুঝতেই পারিনি। তাই বোট নৌকা কিনে নিয়ে আসাতে আমি যেন কান্না করে দিলাম।
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1847592309149618533?t=ddbzsN4ZTP1IBVIQlxWuwg&s=19
আপনার নৌকার প্রত্যাশা টা অনেক বেশি ছিল তবুও শেষ পর্যন্ত আপনার আব্বা এবং চাচারা মিলে মেশিনবিহীন একটা নৌকা এনেছিল যেটা দারুন একটি বিষয়। আপনার মত আমারও একদিন নৌকা ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল এই জিনিসগুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন নেয়ার জন্য।
বর্ষাকালে নদী ভ্রমণ কিন্তু বেশ কঠিন হয়ে যায়। তবে যেই সময় ঝড় বৃষ্টি থাকে না তখন কিন্তু আরও ভালো লাগে নৌকায় ভেসে বেড়াতে। যাই হোক সুন্দর একটা পোস্ট করে কিন্তু আমাদের জানার সুযোগ করে দিয়েছেন।
অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই গল্পের মধ্যে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আপনার অতীতের একটি ঘটনা। যেখানে নৌকা কেনার জন্য আপনার দাদা চাচা বাবা গেছিলেন ফ্রিতে দেরি হয়েছিল। আর এভাবে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন আমাদের মাঝে। বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হল আমার।
আসলে নৌকা ভ্রমণের আনন্দটাই আলাদা হয়ে থাকে। বর্ষাকালে নৌকা ভ্রমণ করতে খুব ভালো লাগে। নৌকাতে ভ্রমণ করে বর্ষাকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আপনার বর্ষাকালে নৌকা ভ্রমণের অনুভূতি বেশ দারুন ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার স্মৃতিময় গল্পের আজকের পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।