মিথ্যে ভালোবাসা//পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
ভালোবাসা দুটি মনের মিল আর এই মনের মিল থেকেই ভালোবাসা তৈরি হয়। ভালোবাসা যেন হৃদয়ের অনুভূতি। হৃদয়ের অনুভূতি থেকেই প্রিয় মানুষের প্রতি ভালবাসার জন্ম হয়। কিন্তু এই ভালোবাসার মধ্যে সত্য ও মিথ্যা রয়েছে। যে ভালোবাসা যুগ যুগ ধরে টিকে যায় একই বন্ধনে। হৃদয়ের গভীর থেকে জন্ম হয় যে ভালোবাসা। সেই ভালোবাসায় যেন প্রকৃত ভালোবাসা। কিন্তু ভালোবাসার নামে অনেক অভিনয় করে থাকে। এই ভালোবাসা যেন শেষ হয়ে যায় অল্প সময়ে,ভালবাসার প্রতি সম্মান হারিয়ে যায়। ভালবাসার প্রতি বিশ্বাস উঠে যায়। আর এই মিথ্যে ভালোবাসার কারণে জীবন যেন ধ্বংস হয়ে যায়।তাই মিথ্যে ভালোবাসার গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি।
রতন ভাই তার ভালোবাসার প্রিয় মানুষকে নিয়ে জীবন সংসার সাজানোর জন্য বিয়ে করে পরিবারের বাইরে। পরিবার থেকে দূরে ছিলো।পরিবার অনেক কষ্টে পেয়েছিল। তারপরেও যখন তাদের ঘরে একটি সন্তান আসে, তখন পরিবার রতন ভাইকে মেনে নেয়। আর মেনে নিয়েই রতন ভাইকে সাথে নিয়ে তারা জীবন শুরু করে। তবে রতন ভাইকে তারা বিদেশে পাঠানো চিন্তা ভাবনা করে। আর এই বিদেশের যাওয়ার পেছনে রতন ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল অনেক বড়। সে বিদেশে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করে সুখে শান্তিতে থাকবে। এই উদ্দেশ্যে রতন ভাই বিদেশে যেতে রাজি হয় এবং বিদেশে যাওয়ার ৬ মাস পর্যন্ত অনেক ভালো ব্যবহার তার বউ। তারপরে রতন ভাইয়ের বউ যখন তার মায়ের বাড়িতে চলে যায়, তারপরে থেকেই রতন ভাইয়ের সাথে তার বউ ঠিকভাবে কথা বলত না।
রতন ভাইয়ের বউ তার নিজের বাড়িতে থাকতো। মানে তার বাবার বাড়িতে বেশি থাকতো।রতন ভাইয়ের বাড়িতে আসতে চায়তো না। অনেক বলার পরেও এখানে এসে দুই একদিন থেকে চলে যেত। আসলে বাবার বাড়িতে মেয়েরা বেশি স্বাধীনতা পায়, যেটা শ্বশুর বাড়িতে পায় না। আর ভাইয়ের বিদেশে থাকার কারণে তার বউয়ের জন্য প্রতি মাসে টাকা পাঠানো হতো। আর এই টাকা দিয়ে রতন ভাইয়ের বউয়ের যেন আরো চাহিদা বেড়ে যায় এবং সে যেন অন্যরকম চরিত্রের হয়ে ওঠে। সবার সাথে ফোনে কথা বলতে থাকে, এমনকি তাদের ঘরে যে সন্তান হয়েছে তার খেয়াল রাখেনা। এভাবে অনেক দিন চলতে থাকে। রতন ভাইও তার বউকে কোন কথা বললে আর শোনে না। রতন ভাইও বুঝতে পারে তার বউ তার কথার বাইরে চলে যাচ্ছে।
রতন ভাই তখন তার বউকে বেশি টাকা পাঠাতো না, এই নিয়ে রতন ভাইয়ের সাথে তার বইয়ের অনেক ঝগড়া হতো, কথা বলে কখনোই শান্তিতে থাকতে পারতো না রতন ভাই। আসলে একজন স্বামী যখন বিদেশ থাকে তখন তার পরিবার বউ সন্তান যখন সুখে থাকে তখনই তার ভালো লাগে। তারা যদি খারাপ ব্যবহার করে, এমনিতেই বিদেশের জীবন অনেক কষ্টের। তারপরেও যদি মানসিকভাবে তারা শান্তি না পায়, তারা যেন আরো ভেঙে পড়ে। রতন ভাই ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ল এবং রতন ভাই তার বাড়ির আশেপাশে লোক দের দিয়ে তার বউয়ের খোঁজ নিতে চাইলো,যে তার বউ কিভাবে এত চেঞ্জ হয়ে গেল।
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1835276846260445432?t=Y-VXscU08CrSn5ajH5SB6w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাস্তবতার সাথে ঘটনার কিছু মিল পাচ্ছি। যে সমস্ত মেয়েরা বাপের বাড়ি ছাড়া শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চায় না তার পিছনে কারণ থাকে। আরে সমস্ত মেয়েরা বেশ সাংঘাতিক হয়ে থাকে। পরবর্তীতে একটা দুর্ঘটনা ঘটাবেই এটাই সত্য।
ভাইয়া আপনার গল্পটা যদিও প্রথম পর্ব পড়া হয়নি। কিন্তু এই পর্বটি পড়ে বুঝতে পারলাম। আসলে এই ধরনের ঘটনা আমাদের চারিপাশে একটি বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এখন বেশীর ভাগ এই ঘটনগুলো শোনা যাচ্ছে। হাসবেন্ড বিশেদে থাকে আর বউ অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক করছে। আর এইভাবে কত সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে।
মিথ্যে ভালোবাসা গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছি। আজকে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার গল্পের বাস্তবতার অনেক মিল রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায় ঘটে থাকে। আসলে মেয়ে লোকেরা কখন কি করে তা বলা যায় না। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো, কারণ এরকম বাস্তব ঘটনা যেন প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে ঘটে যাচ্ছে। বিশেষ করে রতন হাজারো কষ্ট করে তার ভালোবাসার মানুষের জন্য সকল কিছু করছে। সেই এখন টাকা পেয়ে অন্যের হয়ে যাচ্ছে। আসলেই খারাপ লাগলো দেখা যাক আগামী পর্বে কি হয়।