আমার পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি। (গাজীপুর থেকে চট্টগ্রাম) হিলভিউ পার্ক, ভাটিয়ারী, পর্ব-৩।
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামু আলাইকুম" আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হিলভিউ পার্কের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। এর আগের পর্বে আমি বলেছিলাম আপনাদের মাঝে সানসেট পয়েন্টের বিষয়ে শেয়ার করব কিন্তু সেটা আমি আরো পরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাগানের সৌন্দর্যটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি, সেই গুলো শেয়ার করার পরে আমি আপনাদের মাঝে সানসেট পয়েন্ট নিয়ে ফিরে আসবো। যদিও সানসেট পয়েন্টে তেমন কোন কিছুর সৌন্দর্য নেই সেখানে শুধুমাত্র বসে দূরে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে পারবেন সেই সাথে বঙ্গোপসাগরের কিছু সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন কারণ এ সানসেট পয়েন্টটি পাহাড়ের অনেক চূড়ায় অবস্থিত। মূলত এটাই হচ্ছে সানসেট পয়েন্টের বিশেষত্ব।
দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে
এই পর্বটি আমি সাজিয়েছি হিলভিউ পার্কের বাগানের বেশ কিছু ফুটে থাকা ফুলের ও বিভিন্ন উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি নিয়ে। ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুল আমরা সকলেই কম বেশি ভালোবাসি কমবেশি বলার টা ঠিক হয়নি আমার মনে হয় আমরা সবাই অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি ফুলকে। তাই বিশেষ করে আমার বাংলা ব্লগে যারা আমরা কাজ করি তারা যেখানেই যাই যেরকম ফুল দেখি না কেন ভালোবাসা নিদর্শন স্বরূপ তার একটা ছবি তুলে সকলের মাঝে শেয়ার করি। এই কারণেই যে আমি নিজেও দেখেছি যাতে আমার মাধ্যমে সবাই দেখতে পায়। আমি এর আগে আপনাদের মাধ্যমে মাঝে দুটি পর্ব শেয়ার করেছি সেগুলো আমার পরিবার নিয়ে ঘুরার আনন্দঘন মুহূর্তগুলো। আজকে আমি সেই আনন্দঘন মুহূর্তের মাঝে ঘুরে ঘুরে দেখা এবং বিভিন্ন ফুলের ছবি তোলার যে আনন্দঘন মুহূর্তটি সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।
- আমরা যখন এই হিলভিউ পার্কের বাগানে প্রথম প্রবেশ করি সেখানে আমরা এরকম ছোট ছোট ঝাউ গাছের শাড়ি দেখতে পাই, গাছগুলো ছোট হওয়াতে এত সবুজ এত মনোরম এত সুন্দর ভাবে পাতাগুলোর মাধ্যমে ফুটে রয়েছে দেখতে এক রকম ফুলের মতই দেখা যায় এবং তখন মনে হল যে আল্লাহতালার সৃষ্টি এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে আমরা প্রবেশ করলাম তাই এই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
- এই ফুলটি আমাদের সকলেরই খুবই পরিচিত একটি ফুল। ফুলটির নাম হচ্ছে জুঁইফুল। যদিও এর চেয়ে ভালো কোন ফুল ফোটা গাছটিতে আমি পাইনি তাই যে অবস্থায় পেয়েছি সে অবস্থায় ফুল গুলোর ছবি তুললাম। যেহেতু এই ফুলটিকে আমরা সকলেই চিনি তাই এই ফুল নিয়ে আর তেমন কিছু বললাম না। আমার কাছে ভালো লেগেছিল তাই আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
- এই উদ্ভিদটির নাম আমার ঠিক জানা নেই তবে একবার খেয়াল করেছিলাম যে নার্সারিতে থাকা লোকগুলোর সাথে কথা বলে এর নামটা জেনে নিব কিন্তু মনের ভুলে সেটা আর জানা হয়নি। অনেকগুলো উদ্ভিদ একসাথে টবে লাগানো রয়েছে দেখতে অনেক অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছিল তাই আমিও একটা ছবি তুলে নিলাম আপনাদের যদি কারো নাম জানা থাকে অবশ্যই আমাকে জানাবেন উপকৃত হব।
- এই উদ্ভিদটির দিকে একটু লক্ষ্য করেন তাকিয়ে থাকলে কিন্তু চোখ জুড়িয়ে যাবে কি চমৎকার সৃষ্টি। পাতাগুলোর গায়ে সবুজের মধ্যে সাদা সাদা পোটাগুলো এত চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। যদিও এটি একটি পাতাবাহারে গাছ এ পাতার মধ্যেই এর সৌন্দর্যটা বিদ্যমান। তাই আমার কাছে ভালো লেগেছিল একটা ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
- এই উদ্ভিদটির নাম আগলেয়া গন্ধা। যদিও এর নাম আমরা সকলেই খুব একটা জানিনা তবে বিভিন্ন ফুলের দোকানে কিন্তু এই পাতাগুলো দিয়ে ফুলের তোড়া তৈরি করা হয়। যেগুলো দেখতে অনেকটা সুন্দর দেখা যায় এবং এই গাছের কিন্তু ছোট ছোট বেশ কিছু ফুল হয়ে থাকে যদিও ফুলগুলো তেমন একটা ব্যবহার করে না। কিন্তু এই গাছের পাতাগুলো কিন্তু সকল ফুলের দোকানেই পাওয়া যাবে এবং তারা এটি দিয়ে বিভিন্ন বড় বড় ফুলের তোড়া সাজিয়ে ফুলের তোড়ার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে।
- এই উদ্ভিদ গুলোর নাম হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস। দেখতে কিছুটা ভয়ংকর দেখালেও এর সৌন্দর্য কিন্তু অনেকটা পরিলক্ষিত হয় দূর থেকে দেখলে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস উদ্ভিদ পাওয়া যায় তার মধ্যে ওই হিলভিউ পার্কের বাগানে বেশ কিছু জাতের ক্যাকটাস আমি পেয়েছি এবং সেগুলোর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
- এই ফুলের নাম হচ্ছে জারবেরা ফুল। এই বাগানে একসাথে অনেকগুলো ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং কিছুদূর পর পর একটা একটা করে ফুল ফুটে রয়েছে দেখতে কিন্তু অনেক চমৎকার লাগছে ফুলগুলোকে ফুলগুলোর বাপরে এবং ফুলের কালার তাকিয়ে থাকলে মনটা জুড়িয়ে যায় একবারে মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মত।
- এখানে কি সুন্দর একটা ফল দেখতে, অনেকটা কাটা দিয়ে আবৃত কিন্তু দূর থেকে দেখতে কিন্তু অনেক চমৎকার লাগে। ফলটির নামও আমার জানা নেই যদিও গুগুলে সার্চ দিয়ে দেখেছিলাম। ফলটির নাম সার্চে আসতেছে আলামান্ডা। যাই হোক আমার কাছে দেখতে অনেকটা ভালো লেগেছিল তাই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
লোকেশন
আরো বেশ কিছু চমৎকার চমৎকার ফুলের ফটোগ্রাফি রয়েছে যেগুলো আমি আপনাদের পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। আসলে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালই লাগে যতক্ষণ পার্কে ছিলাম আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল বাগানের ভেতরে সেখানে ফুল ফুটে রয়েছে যেদিকে তাকাই শুধু ফুল আর ফুল। যতটা সময় পুরো পার্কে দিয়ে ঘুরেছি সবচেয়ে বেশি সময় এই বাগানে আমরা কাটিয়েছি বিভিন্ন ফুলের সাথে এবং বিভিন্ন উদ্ভিদের সাথে পরিচিত হয়েছি সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
চলবে.............
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
আমি আলাউদ্দিন পাবেল।
গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে।
তারিখঃ ১২-১১-২০২২ ইং
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। তবে আপনার ঘুরতে যাওয়ার কারণে অনেকগুলো ইনডোর ও আউটডোর প্লান্ট দেখতে পেলাম ফটোগ্রাফির মধ্যে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফ্যামিলির সাথে সময় কাটাতে এমনিই ভালো লাগে আর যদি ঘুরতে যাওয়া হয় তা হলে তো কথাই নেই মনটা আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ক্যাকটাসগুলোর ছবি খুব ভালো লেগেছে।অপেক্ষায় রইলাম আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
যেকোনো জায়গায় ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যাওয়া আনন্দটাই আলাদা।আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।তোমার সব থেকে ভালো লেগেছে জারবেরা ফুলটি।এই ফুলের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে ফুলের ভিতরে অংশটুকু।এখানে সবাই মিলা আপনারা অনেক আনন্দের সাথে ঘোরাঘুরি করেছেন। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় পেলে আমিও ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে যাই। ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজায় অন্যরকম। আপনি যে গাছটার নাম জানেন না সেটা হচ্ছে স্টার ক্যাকটাস। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই খুব মজা করে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই বলি হিলভিউ পার্ক এর কথা শুনে আমার ভালো লাগলো। কারন আমি নিজেও চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী হিলভিউ পার্কে গিয়েছি। বিশেষ করে হিল ভিউ পার্কের বাগানটা আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছে। কারন সেখানে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ কিংবা উদ্ভিদ গাছ দেখতে পেয়েছি। ক্যাকটাস গাছগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া জুঁই ফুলটাও ভীষণ সুন্দর। আসলে এই পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা সবথেকে বেশি। আপনি ভীষণ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই অন্য রকম। অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দাদা আপনার এই ঘোরাঘুরি পর্বটা তো এর আগেও দেখেছিলাম। এই পর্বে যে এত ধরণের ক্যাকটাস দেখতে পাব ভাবতেই পারি নি। আর যে গাছটা বললেন নাম জানতে ভুলে গেছেন ওটা অ্যালোভেরা নয়তো? অনেকটা তেমনই লাগছে। আমআদের বাড়িতে আগে জারবেরা, পিটুনিয়া এই গাছগুলো ছিলো।আর জারবেরা তো বিয়ে বাড়িতে মেয়েরা খোপাতেও লাগায়। দারুন অভিজ্ঞতা হল আপনার পোস্ট পড়ে।
Hi, @alauddinpabel,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @gorllara.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP