স্পেশাল রেসিপি // কাঁচা কলা দিয়ে তৈরি মজাদার পাকড়া রেসিপি।
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামু আলাইকুম", আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র কলা দিয়ে তৈরি আর বিভিন্ন মসলার সমন্বয়ে মজাদার নাস্তার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে এটি খুবই ভালো লাগবে।
পাকড়া আমরা কম বেশি সকলেই খেয়ে থাকি। সেটা বিভিন্নভাবেই তৈরি করা যায়। আমার বাংলা ব্লগে আমি অনেক রকম পাকোড়া তৈরি করতে দেখেছি তো সেখান থেকেই আমার হঠাৎ করে মনে হল এই কাঁচা কলা দিয়ে যদি পাকড়া তৈরি করি তাইলে খেতে কেমন হয় দেখে নেয়া যায়। তো যেই কথা সেই কাজ তাই আমি আর দেরি না করে এই কাঁচা কলা দিয়ে ঝটপট কিছু পাকড়া তৈরি করে নিলাম এবং সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। তাহলে বন্ধুরা চলুন কিভাবে আমি যে কাঁচা কলার পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছি তা আপনাদের সামনে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণঃ
- কলা: ২টি
- বেসন: আধা কাপ
- পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
- আদা বাটা: ১ চামচ
- রসুন বাটা: এক চামচ
- জিরা গুঁড়া: ১ চামচ
- হলুদের গুঁড়া: আধা চামচ
- কাঁচামরিচ: ৪/৫ টি
- ধনিয়া পাতা: পরিমাণমতো
- লবণ: পরিমাণমতো
- সয়াবিন তেল : পরিমানমতো।
- প্রথমে আমি কাঁচা কলা দুটিকে পানি দিয়ে ধৌত করে চামড়া ছাড়িয়ে নিলাম।
- এবার আমি কলা দুটিকে একটি গ্লেডার মেশিন দিয়ে গ্রেড করে নিলাম।
- এবার আমি এক এক করে মসলা আইটেমগুলো এর মধ্যে মিক্স করে নেওয়ার জন্য তো প্রথমে আমি পেয়াজ কুচিগুলো দিয়ে দিলাম।
- এবার আমি দিয়ে দিলাম কাঁচামরিচ কুচি গুলো।
- তারপর আমি দিয়ে দিলাম আধা বাটা ও রসুন বাটা গুলো।
- এবার আমি দিয়ে দিলাম হলুদের গুঁড়া।
- তারপর আমি এ পর্যায়ে এসে দিয়ে দিলাম জিরার গুড়া।
- এবার আমি এর মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবন।
- তারপর দিয়ে দিলাম বেসন গুলো।
- এবার আমি দিয়ে দিলাম আগে থেকে কেটে নেওয়া ধনিয়া পাতাগুলো।
- সবগুলো উপকরণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে এবার আমি সবগুলো উপকরণ একসাথে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
- এ পর্যায়ে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পরিমান মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তারপর এক এক করে যে মিশ্রণটি তৈরি করেছি, হাত দিয়ে পরিমাণ মত নিয়ে তেলে ছেড়ে দিলাম।
- আমার আজকের এই পাকোড়া রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
- তো বন্ধুরা এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের কাঁচা কলা দিয়ে মজাদার নাস্তার রেসিপিটি। রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি আপনাদের আমার আজকে রেসিপিটি দেখে ভালো লাগবে। অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর বিশেষ করে টমেটো সস দিয়ে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে।
আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে এই পোষ্টে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এই পোস্টটি কেমন লেগেছে আপনারা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
বিভাগ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
রেসিপি মেড বাই | @alauddinpabel |
তারিখ | ১১-১১-২০২২ ইং |
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার পর থেকেই বিভিন্ন রকমের পাকোড়া রেসিপি দেখেছি। তবে কাঁচা কলার পাকোড়া কখনো খাইনি। কিংবা দেখিওনি। আজকে প্রথম দেখলাম ভাইয়া। মনে হচ্ছে কাঁচা কলার পাকোড়া খেতে ভালোই লাগবে। একেবারে ইউনিক হয়েছে আজকের এই রেসিপি। মাঝে মাঝে যদি ভিন্ন কিছু তৈরি করা হয় তাহলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সেই রেসিপি শেয়ার করতেও ভালো লাগে।
এটা অবশ্য আমি জানি এ পর্যন্ত কাউকে দেখিনি কাচ কলার পাকোড়া তৈরি করতে তাই নিজে থেকে চিন্তা করে রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার রেসিপিটি দেখে এতটা গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হালকা হালকা শীতে যেকোনো পাকোড়া খেতে অনেক বেশি ভালোলাগে।মুচমুচে পাকোড়া আর এক কাপ চা হলে বিকেলটা জমে যায়।শীতের সময়ে প্রায়ই বিভিন্নরকম পাকোড়া তৈরি করা হয়।ভিন্ন রকমের শাক-সব্জি দিয়ে পাকোড়া তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে।আর এটাও ট্রাই করবো একদিন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু হালকা হালকা শীতে পাকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন এই কাঁচা কলা দিয়ে পাকড়া তৈরি করে, আমার বিশ্বাস খেতে অনেক ভালো লাগবে।
বাহ্ দারুণ রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার সব ধরনের পাকড়ো খেতে ভালো লাগে । আমি মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পাকোড়া বানায়। আপনার রেসিপিটা খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পাকড়া রেসিপি টা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ওয়ালাইকুম আসসালাম,
এরকম বড়া আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি এর আগে ডালের বড়া, পিঁয়াজ বড়া, আলুর বড়া ও পেঁপে বড়াই খেয়েছি। কিন্তু এরকম কাঁচকলা দিয়ে বড়া কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত হলাম। আর হ্যাঁ যেহেতু এই কাঁচা কলা দিয়ে পাকড়া তৈরি উ খাননি, অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আমার বিশ্বাস খেতে অনেক ভালো লাগবে।
কাঁচা কলা দিয়ে এত চমৎকার ভাবে পাকড়া রেসিপি বানিয়েছেন, যেটি আসলে এর আগে কখনো দেলহা হয়নি। তবে আপনার এই পাকড়া বানানোর ধাপগুলো দেখে মনে হচ্ছে বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
জি ভাই অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবেন আমার বিশ্বাস খেতে ভালো লাগবে। তবে হ্যাঁ অবশ্যই টমেটো সস দিয়ে খেয়ে দেখবেন আরো বেশি ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য।
কলা দিয়ে যে পাকোড়া তৈরি করা যায় সেটা আগে জানতাম না।
কিভাবে কলা দিয়ে মজাদার তেলেভাজা পাকোড়া তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের কে দেখিয়েছেন। পরিবেশন করা দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে, একদম দেখেই জিহ্বায় জল চলে আসছে ভাইয়া। এমন লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাই জিব্বায় জল চলে আসার মতই একটা রেসিপি, অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন তাহলে আর জল পড়বে না। অসংখ্য ধন্যবাদ এতটা অনুপ্রাণিত মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার পাকোড়া তৈরি করার এই পদ্ধতিটি আমার কাছে পুরোটাই একটা ভিন্নধর্মী পোস্ট বলে মনে হয়েছে। কেননা আমরা সাধারণত বাঁধাকপির পাকোড়া খেয়ে থাকি কিন্তু কোন সময় কলার পাকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয় না। আশা করি আপনার ধাপগুলো অবলম্বন করে এই ধরনের পাকোড়া তৈরি করে খাব।
অবশ্যই খাবেন ভাই আশা করি খেতে অনেক ভালো লাগবে। কেমন লাগে সেটা অন্তত পরীক্ষা করার জন্য অবশ্যই তৈরি করে খাবেন। ধন্যবাদ ভাই এতটা উৎসাহমুলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভাই খুবই মুখরোচক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এ ধরনের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো বড়ই মুশকিল হয়ে পড়ে। গরম গরম পাকোড়া খাবার মজাই আলাদা। আর সেই পাকোড়া যদি হয় কাঁচা কলার তৈরি, তাহলে তার স্বাদ নিয়ে কোন কথাই হবে না। কাঁচা কলা দিয়ে মজাদার পাকোড়া তৈরীর প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
লোভনীয় রেসিপি বটে এবং গরম গরম খেতেও কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ভাই অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এতটা লোভনীয় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কাঁচকলার পকোড়া রেসিপি আমি কখনো তৈরি করিনি। আপনি আজকে নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই রেসিপি আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। রেসিপিটি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাল্লাহ।
অবশ্যই তৈরি করবেন যেহেতু নতুন একটি রেসিপি অন্তত খেতে কেমন হয় সেই স্বাদটা টেস্ট করার জন্য। আমার মাধ্যমে আপনি নতুন একটা রেসিপি জানতে পেরেছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য।