"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৬৬ || আমার করা সেরা শীতকালীন ফটোগ্রাফি।
বিসমিল্লাহি রহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি। আপনাদের মাঝে আজও এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের আমার মোবাইলে তোলা কিছু শীতকালীন ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন।
প্রথমে শীতকালীন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য শ্রদ্ধেয় দাদা সহ সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। খুবই সুন্দর এবং সময়োপযোগী ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে। শীতকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব দুর্দান্ত হয়ে থাকে। ষড়ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হচ্ছে শীতকাল। শীতকালে যেমন নবান্ন উৎসব হয়ে থাকে ঠিক তেমনি মায়ের হাতে গরম গরম নানা রকমের পিঠা খাওয়া যায়। সকালবেলা কাঁচা খেজুর রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়ে থাকে। শীতের সকালে কুয়াশা ভেজা প্রকৃতি খুবই দুর্দান্ত হয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশির বিন্দুর সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাছাড়া বৈচিত্রময় ফুলের সৌন্দর্য আমাদের মনকে বিমোহিত করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক শীতকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো ।
Device :- realme C55
শীতের সকালের ভোরবেলার দৃশ্য
শীতের ভোরবেলার প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। সকালবেলা বের হলে দেখতে পাওয়া যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন আচ্ছন্ন। সবকিছু কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। কুয়াশা মেঘের মতো উড়তে থাকে। ফজরের নামাজ পড়ে বাইক নিয়ে বের হয়েছি গ্রামের দৃশ্য ফটোগ্রাফি করার জন্য। ভোরবেলায় প্রচন্ড ঠান্ডা আর সবকিছু কুয়াশা চাদরে ঝাপসা দেখতে পেলাম। সামনের কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। কিছুক্ষণ যাবার পরে কিছুটা ঝাপসা কেটে গেলো তখন কিছু গ্রামীন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
সকাল প্রায় ৬ টা বাজে সূর্য মামার কোন দেখা নেই। বাইক নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কখন সূর্য মামা দেখা হবে কখন ফটোগ্রাফি করবো। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঝাপসা কুয়াশার মাঝে পূর্ব আকাশে সূর্য মামার দেখা মিললো। সূর্য ধীরে ধীরে মেঘ কাটিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমারও দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়লো কারণ যে পরিমাণ ঠান্ডা অনুভব করতেছি সূর্যের তাপ দেহে না লাগলে দেহ অচেতন হয়ে যাবে।
শীতের তীব্রতা বেশ অনুভব করছি। বাইক চালাতে আর পারছি না। তখন পূর্ব আকাশে লাল গোলকের মতোন সূর্য দেখা দিলো। ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ প্রকৃতির উপর পড়ছে। কুয়াশা আর সূর্যের কিরণে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হলো। এমন দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমিও চেষ্টা করছি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। সূর্য কিরণের নানা রং যখন প্রকৃতির উপর পড়ছে তখন দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।
কুয়াশার ঘন আস্তরণ আর সূর্যের কিরণ সব মিলিয়ে প্রকৃতির নতুন সাজে সজ্জিত। আসলে এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। সকালের না বের হলে প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। সূর্যের আলো আর কুয়াশা মাখা প্রকৃতি দেখতে বেশ ভালো লাগলো। সূর্যের কিরণে ঠান্ডা কিছুটা কম অনুভব করছি। শীত মোড়া সকালে সূর্যের দেখা পাওয়া সত্যি বেশ ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ শীতের সময় প্রতিদিন সূর্য উঠে না। সূর্য প্রায় সময় অনেক দেরিতে উঠে।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ষড়ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যায় শীতকালে। শীতকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দুর্দান্ত হয়ে থাকে। বিশেষ করে সকালবেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। লতাপাতা ঘাসের উপর শিশির ফোঁটার সৌন্দর্য দেখলে মন হারিয়ে যায় প্রকৃতির মাঝে। কনকনে শীতে কিছুটা কষ্ট হলেও এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলে বেশ ভালো লাগে। গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। সকালে বের হলে কুয়াশা ভেজা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় চমৎকার ভাবে।
বিশেষ করে গ্ৰাম অঞ্চলে কুয়াশা ভেজা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বেশ দারুন ভাবে। লতাপাতা ঘাসের উপর শিশির বিন্দু জমে থাকে। কুয়াশার শিশির বিন্দু দেখতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে পাতার অগ্রভাগ শিশির বিন্দু দেখতে বেশ দারুন লাগে। টলমল টলমল জল, থাকে ঝুলে গাছের পাতায় পাতায়। ঘাস, লতা পাতা এবং যে কোনো বস্তুর উপর শিশির বিন্দু জমে থাকে। শিশিরের কণার এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সত্যি খুবই ভালো লাগে। শীতের ভোরের শিশির স্নিগ্ধতা এনে দেয় হৃদয়ে।
শিশির গুলো কচুপাতা আঁকড়ে ধরে থাকে জড়িয়ে থাকে। দেখলে মনে হয় যেন এখনি মাটিতে পড়ে যাবে কিন্তু পড়ে না। আসলে শীতের সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হচ্ছে শিশির বিন্দু সৌন্দর্য। সবুজ ধানের চারা গুলো শিশিরের ছোঁয়ায় আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। সূর্যের কিরণে ঘাসের উপরে ঝিলমিল করতে দেখা যায় শিশির বিন্দু। সন্ধ্যার পর থেকে সারারাত ধরে শিশির বিন্দু জমা হতে থাকে লতাপাতার উপর সকালে লতা পাতার উপর এমন সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করে থাকি।
লোকেশন
সকালবেলা খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে শিশির বিন্দুর অনুভূতি এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা এবং শীতের প্রকৃতি চমৎকার উপলব্ধি করা যায়। শিশির বিন্দুর সৌন্দর্য প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি করে। ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ, ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু এক অন্যরকম বৈচিত্রতা এনে দেয় প্রকৃতিতে। ঘাসের ডগায় শিশির আর ফোঁটা ফোঁটা কুয়াশা পূর্ণতা দেয় শীতের সৌন্দর্যের।
শিশির ফোঁটার সৌন্দর্য সত্যি খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে খুব ভালো লাগে। লতা পাতা, ঘাস এবং যে কোন বস্তুর মধ্যে শিশির বিন্দু লেগে থাকে । দেখলে মনে হয় যেন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এখনি মাটিতে পড়ে যাবে কিন্তু মাটিতে শিশির ফোঁটা পড়ে না। এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যি বেশ অসাধারণ মনে হয়। অনেক শিশির বিন্দু জমা হয়ে বড় একটি ফোঁটা সৃষ্টি হয়। লতা পাতার নিচের অংশে ঝুলে থাকে যা দেখতে বেশ ভালো লাগে।
শীতকালে সবচেয়ে সুন্দর লাগে কুয়াশা ভেজা মাকড়সার জালের সৌন্দর্য । শীতকালে প্রচুর পরিমাণ কুয়াশা ভেজা নানা রকম মাকড়সা জালের সৌন্দর্য লক্ষ করা যায় সকালবেলা। শীতকালে রাতে মাকড়সা ফসলের জমিতে, লতাপাতা গাছে মধ্যে যেই জাল বুনে তাতে প্রকৃতির শিশির ঝরে মুক্তো দানার রূপ ধারণ করে। মাকড়সা বেশ অসাধারণ ভাবে জাল বুনে থাকে। মাকড়সার জালে যখন শিশির বিন্দু জমা হয় তখন দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। বিশেষ করে ঝুলন্ত বড় মাকড়সা ঝাল দেখতে বেশ দুর্দান্ত মনে হয়।
শীতকালে খাওয়ার জন্য সবচেয়ে প্রধান আকর্ষন হচ্ছে কাঁচা খেজুর রস। শীতকালে খেজুর গাছ কেটে গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। শীতকালে সকাল বেলা এক গ্লাস কাঁচা খেজুরের রস খেতে পারলে খুবই ভালো লাগে। খেজুরের রস দিয়ে নানা রকম খাবার বিশেষ করে বিভিন্ন রকম পিঠা পায়েস ফিন্নি তৈরি করা হয়ে থাকে। খেজুর রসের খাবার বেশ মজাদার এবং সুস্বাদ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এখন খেজুর গাছ খুব কম দেখা যায়। প্রত্যেক এলাকায় খেজুর গাছ দেখতে পাওয়া যায় না।
শীতের হিমেল সকালে বা, গোধূলি সন্ধ্যায় মায়ের হাতে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। পরিবারের সকলকে নিয়ে গল্প করতে করতে ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। শীতকালে নানা রকম পিঠা তৈরি করা হয় তার মধ্যে ভাপা পিঠা অন্যতম। ভাপা পিঠা চালের গুঁড়, নারিকেল এবং খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। ভাপা পিঠা বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে।
[লোকেশন]( https://w3w.co/sequenced.rehearsal.entangling
)
শীতকালে প্রকৃতির বৈচিত্র সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যায়। শীতকালে অনেক গাছের পাতা সব ঝরে পড়ে। শূন্য ডালপালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গাছের গুঁড়িটি। দূর থেকে দেখে মনে হয় গাছটি মারা গেছে। আসলে গাছের সব পাতা ঝরে গেছে। গাছের পাতা ঝরা আসলে এইটি প্রকৃতি নিয়ম। শীতের রুক্ষতার জন্য অনেক গাছের পাতা ঝরে যায়। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ঝরে পড়ে গাছের পাতা। বসন্ত কালে আবার নতুন পাতা বের হয় হয়।
শীতকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দারুণ হয়ে থাকে। সকাল বেলায় কুয়াশা ভেজা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর দুপুরবেলা ঝলমলে হাস্যোজ্জ্বল প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায়। শীতকালে নানা রকম শাকসবজি চাষ করা হয়। মাঠের পর মাঠ শীতকালীন শাকসবজি সৌন্দর্য খুবই সুন্দর লাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ ষড়ঋতুর এমন দেশে প্রত্যেক ঋতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়েই আবির্ভূত হয়।
সন্ধ্যা-সকাল কুয়াশার চাদর মুড়ে থাকে চারপাশ। ঘাসের ডগায় দেখা মিলছে শিশিরের মুক্তোর দানা। শীতের আগমনে সব জায়গায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায় চমৎকার ভাবে। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপিয়ে শীত জেঁকে বসে। শীতের দাপটে প্রকৃতি নীরব হয়ে যায়। সবুজ প্রকৃতি রুক্ষ মূর্তি ধারণ করে। তবুও সবুজ প্রকৃতি দেখতে খুব ভালো লাগে। সকালে মাঠে মাঠে ঘাসের ডগায় বিন্দু বিন্দু জমে থাকা শিশির বিন্দুর রোদের আলোয় ঝিকমিক করে। শাকসবজির ওপর টলমল করা শিশির বিন্দু সূর্যের সোনালি রশ্মিতে মুক্তার মতো ঝলমল করে। সব মিলিয়ে শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দারুণ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ । এই দেশে অসংখ্য নদ নদী বিদ্যমান। শীতকালীন নদ নদী প্রাকৃতির নতুন রূপে সাজে থাকে। শীতকালে নদ নদীর পানি অধিকাংশে কমে যায় এতে করে নদীতে চর জাগে। চরের মধ্যে সবুজ ঘাস জন্মায়। নদীর পাড়ে এবং চরে বিভিন্ন ধরনের নৌকা থাকতে দেখা যায়। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সত্যিই বেশ সুন্দর লাগে। শীতের আগমনীতে নদী আর ঝর্ণাসহ প্রকৃতিতে এসেছে এক অনাবিল সৌন্দর্য। বর্ষাই তো বাংলার চিরায়ত রূপ পরিবর্তন করে শীতের নতুন রূপ ধারণ করে।
ফুলের সৌন্দর্য আমাদের সবাইকে বেশ মুগ্ধ করে। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া যায় না। কিছু কিছু ফুলের সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ফুলের সৌরভ এবং সৌন্দর্য আমাদেরকে বারবার বিমোহিত করে। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ । এই দেশের প্রত্যেক ঋতুতে ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে শীতকালে সবচেয়ে বেশি ফুল ফুটে। বৈচিত্র্যময় ফুলের সৌন্দর্য আমাদের হৃদয়কে নাড়া দেয়।
শীতকালে অনেক রকমের ফুল ফুটে থাকে । কিছু কিছু ফুল বেশ পরিচর্যার মাধ্যমে চাষ করা হয় থাকে । আবার কিছু ফুল প্রাকৃতিকভাবে জন্ম থাকে। শীতকালে সবচেয়ে বেশি শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এই কারণে অনেক রকম শাকসবজির ফুল দেখতে পাওয়া যায়। শীতের স্নিগ্ধ সকালের শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল টকটকে হয়ে উঠে বৈচিত্র্যময় ফুলগুলো। ফুলের পরশে মোহনীয় হয়ে উঠে চারপাশ।
সারাটা শীত ফুলের সৌন্দর্য প্রাণ জুড়িয়ে যায়। রোদের কিরণ ফুলের গায়ে পড়তেই চারিদিকে তার আভা ছড়িয়ে পড়ছে। প্রকৃত এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে সত্যি খুব ভালো লাগে। ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। তাইতো মানুষ ফুলকে খুব বেশি ভালোবাসে।
শীতকালে অনেক রকমের ফুল ফুটে থাকে। আসলে নির্দিষ্ট করে কত রকমের ফুল ফুটে থাকে তা বলা মুশকিল। শীতকাল হচ্ছে ফুলের মৌসুম। কত যে বৈচিত্র্য এর রঙে ও রূপে। হলুদ থেকে লাল, কমলা, গাঢ় খয়েরি, আছে লাল-হলুদের মিশ্রণ বৈচিত্র্যময় রং উপভোগ করা যায় ফুলের সৌন্দর্যের মাধ্যমে। তাছাড়া কমলা, বেগুনি, হলুদ ও গাঢ় গোলাপি রঙের পাপড়িতে বৈচিত্র্যময় ফুল দেখলে মুগ্ধ হতে বাধ্য আমরা।
শীতকালীন সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে খুবই সুন্দর। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর উপভোগ করতে সত্যি খুব ভালো লাগে। পড়ন্ত বিকেলে সবার দৃষ্টি যেন সূর্যাস্তের দিকে থাকে। বিশেষ করে সবুজ গাছের ফাঁকে এবং বিশাল সাগরের বুকে ক্ষণিকের ডুবন্ত সূর্যের দৃশ্য দেখতে সবাই অধিক আগ্রহ অপেক্ষা করে। শীতকালীন সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। যতোই হেলে পড়ছে সূর্য, ততোই রাঙা হয়ে উঠে আকাশ ও তার চারপাশ।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | আলোকচিত্র |
---|---|
ক্যামেরা | realme C55 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ওয়াও আপনি তো দেখছি একেবারে মুগ্ধ হওয়ার মত বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা আপনি অনেক সুন্দর হয়েছে আর দেখতেও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবো অংশগ্রহণ করলেন এই প্রতিযোগিতায়। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফির প্রশংসা করতেই হচ্ছে। অনেক সময় নিয়ে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।আপনার পোস্টে এত সুন্দর সুন্দর শীতকালীন ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হলাম ভাইয়া।প্রতিটা ফটোগ্রাফি যেনো মনমুগ্ধকর ছিলো।আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে এবং তার সাথে সুন্দর বর্ণনা শেয়ার করছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
উরিবাবা এত্তগুলা ফটোগ্রাফি!!ফটোগ্রাফি গুলো একটার পর একটা দেখতেছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম।কি দুর্দান্ত সব ফটোগ্রাফি!!যেন শীতকাল জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে।শিশির ভেজা, কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফির সমরহ ঘটিয়েছেন। এক কথায় অসাধারণ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনি সব সময় দারুন দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ফুলের ফটোগ্রাফিও দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আশা করছি প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু হবে। শুভকামনা রইল।
https://x.com/MdAgim17/status/1869577493805711845?t=1wcp3k_OQ-e_YnHn9O789A&s=19
চমৎকার ফটোগ্রাফি হয়েছে ভাইয়া। কোনটা থেকে কোনটাকে ভালো বলবো বোঝার উপায় নেই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এত মনোমুগ্ধকর লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। ধানের শীষের নিচ দিয়ে কি দারুন ভাবে সূর্যের ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছেন। কচুর পাতার উপর শিশির ফোটা কতইনা নজর কারছে। আলাদা আলাদা করে এর প্রশংসা করলে শেষ হবে না। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। আপনি এতটাই সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন যা দেখে আমার কাছে মনে হয় আপনি এই প্রতিযোগিতায় ভালো একটা ফলাফল অর্জন করবেন। আপনার এই পোষ্টের মধ্যে শীতকালের সকল দৃশ্য গুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আজকে আপনি অসাধারণ অসাধারণ শীতকালীন ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। আপনার এক একটা ফটোগ্রাফির মধ্যে এক একটা সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। সত্যি এতগুলো অসাধারণ ফটোগ্রাফি একসাথে দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। ভালো লাগার মত শীতকালীন ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।