ওয়াইফাই এর তার, রাউটার,ও অনু কেনার উদ্দেশ্যে বদরগঞ্জ যাওয়া
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আমার বন্ধু আমাক বলতেছে যে চল বদরগঞ্জ যাবো। তা আমি ওকে বলতেছি যে বদরগঞ্জ যাবি কেন? তা ও আমাক বলতেছে যে বর্তমানে যে এমবির দাম এতো টাকা দিয়ে এমবি কিনতে পারবো না বাসায় ওয়াইফাই লাগাবো। তারপর আমি ওকে বললাম যে আমিও তো ভাবতছি যে বাসায় ওয়াইফাই লাগাবো কিন্তু আমার সাথে যদি কেউ নিতে চাইতো তাহলে দুইজনে মিলে ওয়াইফাই নিতাম একাই নিতে গেলে তো অনেক টাকা লাগবে। আর আমার কাছে তো এখন অতো টাকা নাই।তা আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম যে তুই কি একায় ওয়াইফাই নিবি নাকি আরো কেউ নিবে। তা ও আমাক বলতেছে যে আমার চাচাতো ভাই মানিক আছে না ও নাকি নিবে।তা আমরা দুইজনে মিলেই নিব তাহলে কম টাকায় হবে,আর আমি যদি একাই নেই তাহলে অনেক টাকা লাগবে। তা আমি আমার বন্ধুকে বললাম তা আর দেরি কিসের চল এখনেই বদরগঞ্জ যাবো।
তারপর আমি, আমার বন্ধু ,আর আমার বন্ধুর চাচাতো ভাইসহ তিনজন মিলে বদরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমার বন্ধুর বাড়ি থেকে বেগম রোকেয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত আমরা হেঁটে গেলাম বেগম রোকেয়ায় গিয়ে আমরা একটা ভ্যান পেলাম ভ্যান ওয়ালা মামাকে বললাম যে মামা পদাগঞ্জ যাবেন? মামা বললেন যে মামা যাবো। তারপর আমরা আর দেরি না করে করে তাড়াতাড়ি ভ্যানে উঠে বসলাম। তারপর মামা আমাদের সাথে কি গল্প শুরু করে দিল গল্প করতে করতে আমরা যে পদাগঞ্জ আসছি আমার বিশ্বাস এ হচ্ছে না। এতো তাড়াতাড়ি আমি আর আগে কখনো পদাগঞ্জ আসিনি। যে পদাগঞ্জ আসতে ভ্যানে করে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগে সেখানে ঐ ভ্যান ওয়ালা মামা আমাদেরকে মাত্র ৯ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে পদাগঞ্জ নিয়ে আসছে। তারপর আমরা পদাগঞ্জ আম চত্বরে গিয়ে অটো ঠিক করতেছি। আমি এক অটো ওয়ালা মামাকে বললাম যে মামা বদরগঞ্জ যাবেন তা উনি বলতেছে যাবো। তা আমি বললাম যে ভাড়া কত? তা উনি বললেন যে মামা কয়জন যাবেন? আমি বললাম যে আমরা তিনজন যাবো।তা উনি বললেন যে তিনজন ১৫০ টাকা দিয়েন।তা আমি বললাম যে মামা ২৫ টাকা করে তিনজনের ভাড়া হয় ৭৫ টাকা আর আপনি চাইলেন ১৫০ টাকা কেমনে কি মামা। তারপর আমি রাগ করে আমার বন্ধুকে বললাম যে আজকে আর অটোতে যাবো না। তারপর আমরা একটা ভ্যান ঠিক করে নিয়ে বদরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
পদাগঞ্জ থেকে বদরগঞ্জ আসতে আমাদের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট লাগছে। তারপর আমরা বদরগঞ্জ রেলগেট থেকে একটা রিক্সা নিয়ে বদরগঞ্জের বড় মসজিদ এর পাশের দোকানে যাই ওয়াইফাই এর তার, রাউটার এবং অনু কেনার জন্যে। আমরা একটা রাউটার নিলাম টিপি লিংক এর ১৪০০ টাকা দিয়ে।তার নিলাম ১১টাকা মিটার ১০০ মিটার ১১০০ টাকা দিয়ে আর অনু নিলাম একটা ১০০০ টাকা দিয়ে সব কিছু নেয়া শেষ আমরা ঐ দোকান থেকে বিদায় নিলাম। তারপর আমরা হাঁটতে শুরু করলাম একটু খানি হাঁটতেই আমাদের বন্ধুর দেখা আমি প্রথমে ওকে দেখি নাই ও আগে আমাদেরকে দেখি বলতেছে যে বন্ধু কেমন আছো তোমরা অনেক দিন থেকে দেখা হয় না তোদের সাথে আমি বললাম যে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো বন্ধু তোমার সাথে আজকে প্রায় এক বছর পর দেখা। তারপর অনেকক্ষণ আমরা তিন বন্ধু মিলে গল্প করলাম। ঐ বন্ধু আমাদেরকে নাস্তা করাইতে চাইলো তা আমি বললাম যে আজকে গল্প করতে সময় শেষ আজকে আর নাস্তা করবো না,আর একদিন আসলে দেখা হলে অবশ্যই নাস্তা করবো।ঐ কথা বলে আমরা আর দেরি না করে একটা অটোতে চরে বাসায় আসলাম।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। আর যদি আমার ব্লগটি আপনাদের কাছে একটুও ভালো লাগে তাহলে আপনারা লাইক, কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন। আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ।
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
ওয়াইফাই লাইন লাগানোর জন্য কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলেন বদরগঞ্জে আর সেই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে বেশ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। খুবই ভালো লাগলো যেহেতু অনলাইনে কাজ করতে হয় পাশাপাশি অনলাইনে থাকতে হয় তাই অবশ্যই ইন্টারনেট কেনা আছে ওয়াইফাই লাইন থাকা একান্ত প্রয়োজন। এতে সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি।
হুম ভাই বর্তমানে এমবির যে দাম এতো টাকা দিয়ে এমবি কিনে আর ফোন চালা সম্ভব হচ্ছে না।তাই ওয়াইফাই লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনলাইনে তো কাজ করি অনেক আগে থেকেই কিন্তু এই স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি নতুন।আমার পোস্টটা পড়ে আপনি কমেন্ট করেছেন আমি খুব খুশি হয়েছি ভাই। আমার পোস্টটা পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যতদিন ABB স্কুলে আছেন ততদিন পোস্ট করার সময় @abb-school কে 5% ও shy-fox কে 10% বেনিফিসিয়ারী দেওয়া অবশ্যক।