আমার বাংলা ব্লগঃ||রেসিপি–ছোলার(বুট) ডাল এবং মাংস দিয়ে সুস্বাদু মচমচে বড়া তৈরি||
১লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ,বুধবার
আসসালামু আলাকুম
শ্রদ্ধেয় ভাই এবং বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের সামনে আবারো একটু নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।কিন্তু রেসিপিটা একটু ব্যাতিক্রম কারণ অন্যান্য রেসিপি তৈরি করতে আগের দিন থেকে যেমন একটা ভাবনা চিন্তা থাকে এটা তেমন নয়।এটি তৈরির পিছনে একটি মজার ব্যাপার আছে তা হলো--
বাসায় আম্মু সকালে খাসির মাংস রান্না করেছিল।সকালে এবং দুপুরে সেটা খাবার পর আর অল্প কিছু মাংসই অবশিষ্ট ছিল।তো ভাবলাম রাতে খাবার থেকে এটি দিয়ে বড়া তৈরি করা যাক। তাই আমি ডালের সাথে মাংসটাকে ফুড এডিটিভস হিসেবে ব্যাবহার করার চিন্তা করলাম।তো যেই ভাবা সেই কাজ বাসায় যে ডাল ছিল তা দিয়ে তৈরি করে ফেললাম রেসিপিটি।
তো কাহিনিটা তো শুনলেন এবার এটি তৈরি প্রক্রিয়া সম্পর্কে দেখা যাক।আমি কিন্তু পরিস্থিতিতে অল্প তৈরি করেছি আপনারা চাইলে মাংসের পরিমাণ বাড়াতে পারেন এতে বড়াগুলো আরো বেশি সুস্বাদু হবে।
বড়া তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১.ছোলার ডাল(২০০ গ্রাম)
২.মাংস(খাসির রান্না মাংস ৮ পিস)
৩.পেঁয়াজ(৩টি)
৪.কাচা মরিচ(৭ টি)
৫.ধনিয়ার গুড়া(পরিমাণমতো)
৬.হলুদের গুড়া(পরিমাণমতো)
৭.লবণ(ঐ)
৮.তৈল(ঐ)
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে ছোলার ডালগুলো ৩-৪ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখতে হবে।ভিজানোর পর পানি ফেলে দিয়ে ডালগুলো মিহি করে বেটে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার ডালের মতো মাংসগুলোও বেটে নিতে হবে।তারপর পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচগুলো কুচি করে কাটতে হবে।এবার সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে এর ভিতর হলুদের গুড়া,ধনিয়ার গুড়া এবং লবণ দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপঃ
এবার কড়াই এ প্রয়োজন মতো তৈল নিয়ে তা গরম করে নিতে হবে।এবার মিক্সটি গোল বড়ার মতো করে গরম তৈলের ভিতর ছেড়ে দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার তৈলের ভিতর বড়াগুলো উল্টিয়ে কিছু সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।কড়াইয়ে বড়াগুলোর বর্ণ গাঢ় বাদামী হলে তা একটি প্রিচে বা বাটিতে উঠিয়ে রাখতে হবে।
(দুঃখিত বিদুৎ ছিল না)
এভাবেই সম্পন্ন হলো আমার ডাল দিয়ে মাংসের বড়া।রেসিপিটি তৈরি করতে রাত হয়ে গেছিল কারণ আমার আগে থেকে তেমন প্রস্তুতি ছিল না।এরপরে মুহুর্তটি দারুণ ছিল এবং তার সাথে বড়াগুলোর টেস্টও হয়েছিল এক কথায় অসাধারণ।আসলে কষ্টের জিনিসের স্বাদটা একটু বেশিই হয়।আর আমার সেই মুহুর্তটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
সবিশেষে রেসিপিটা কেমন হয়েছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ইচ্ছা করলে আপনারাও বাসাতে একবার ট্রাই করতে পারেন আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।তো সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো থাকবেন।সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার পোস্টটি এখানেই শেষ করছি ভালো লাগলে আমাকে অবশ্যই সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন।
পোস্ট সম্পাদনকারীঃ@abir10
আপনার বড়ার রেসিপি টি খুব ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু..
মাংস দিয়ে বড়া খুব মজার হওয়ার কথা। কিন্তু এই ধরনের বড়া তৈরি আমি এর আগে দেখিনি। এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটা রেসিপি। আমরা মাংস দিয়ে টিকিয়া তৈরি করি। কিন্তু সেটা তৈরীর রেসিপি সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার বড়ার চেহারাটা সুন্দর হয়েছে। আশা করি খেতেও ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাইয়া টিকিয়ার রেসিপিটা থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা শুধু মাংসের আর ডালের ক্ষেত্রে মিল আছে।তবে এর স্বাদটাও কিন্তু অনেক ভাল।ট্রাই করে দেখতে পারেন একদিন বাসায়।
জ্বী ভাই বিশেষ করে কোরবানীর ঈদের পর এই ধরনের বড়া বেশী তৈরী করা হয়। তবে হ্যা, আমি জানি এর স্বাদটি দারুন এবং খেতেও বেশ ভালো লাগে। রেসিপিটি ভালো ছিলো, আমার কাছে ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।ভাই এর যে পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে তা বুঝতে পেরেছি।জ্বী,ভাই আমার মতে কোরবানি ঈদের সময়টাই এই বড়ার তৈরির জন্য পারফেক্ট একটা টাইম।
আমি একবার এই রকমভাবে তৈরী করেছিলাম, কিন্তু আমি ডালের চেয়ে বেশী মাংস দিয়ে বানিয়েছিলাম, তাই স্বাদও বেশী হয়েছিলো।
জ্বী আপু ডালের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাংস দিলে স্বাদটাও বেশি হয়।