আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৪৭
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা , নিয়ে মজার কোন অভিজ্ঞতা।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
কাঠাল মামার বউ মুরগির মাংস রান্না করতে ছিল। রান্না করতে করতে সব ঠিক আছে কিনা সেটি দেখার জন্য একটু একটু করে খেয়ে টেস্ট করতে লাগলো। একটা সময় খেতে খেতে মুরগির ঝোল ছাড়া আর বাকি সব কাঁঠাল মামার বউয়ের পেটেই চলে গেল। কাঁঠাল মামা পরিশ্রম করে বাসায় এসে যখন খেতে বসে। তখন মামিকে বলে কি ব্যাপার শুধু ঝোল দিচ্ছ,মুরগির মাংস কই? তখন মামি ওঠে বলে হাড়ির একটা জায়গাতে ছিদ্র ছিল মুরগির মাংসগুলো সেই ছিদ্র দিয়ে আগুনে পড়ে গেছে। আর সেজন্য সেগুলো নিতে পারিনি। তখন তো মামার কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার, যে হাড়ির মধ্যে ছিদ্র দিয়ে যদি মাংস চলে যায় তাহলে ঝোল কিভাবে থাকে?🤣🤣 পরে মামা-মামিকে বলে যে শাক দিয়ে মাছ ঢকছো নাকি।🤣🤣
ছোটবেলায় একবার ফুটবল খেলতে গিয়ে প্রচন্ড গতিতে দাদার মারা শট দুই হাত দিয়ে ধরতে গিয়ে আমার বুড়ো আঙুল মোচকে ফুলে গিয়েছিল।পুরো হাত এতটাই ফুলে গিয়েছিল যে আমার খুবই কষ্ট হতো।ওদিকে দাদা আমাকে বলতে নিষেধ করেছে।কি আর করা অজুহাত দেখিয়ে সবার শেষে ভাত খেতাম।স্নান করতেও কষ্ট হতো,কারন দিন দিন হাতের অবস্থা খারাপ হচ্ছিল ,কিছুতেই ফুলো ও ব্যথা কমছিল না।তিনদিনের দিন বিকেলে আমার জেঠুর ছোট মেয়ে খেলবে বলে আমাকে ডাকতে এলো।আমি তো হাত ঢেকে ঢেকে রাখছিলাম তবুও বার বার ও হাত ধরে টানাটানি করছিল।বাধ্য হয়ে ওকে বারণ করলাম আমার মাকে যেন না বলে।কিন্তু ও আমাকে হাত ধরে ব্যথা দিচ্ছিল আমি চেঁচিয়ে উঠলাম।মা সবজি খেতে জল দিচ্ছিল এসেই দেখে হাতের বেহাল দশা।তার উপরে কষিয়ে পিঠে বসিয়ে দিল দুই চড়।😢😢তারপর শুরু হলো আমার মায়ের করা ঘরোয়া চিকিৎসা।লবন তেল হাতে গরম করে নিয়ে মালিশ করা সকাল বিকেলে।দুইদিনে আমার ব্যথা ও ফুলে যাওয়া ভাব উধাও হয়ে গেল।ওদিকে বিকেলে দাদা বাড়ি ঢুকতেই পিটানি খেল মায়ের হাতে।মজার বিষয় হচ্ছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেও আমি পারেনি।
কলেজ লাইফে আমার এক বান্ধবী ছিল সে দিনে অন্তত তিনবার হলেও সবাইকে কল করতো। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমাদের আরেক বান্ধবী ওই বান্ধবীর নাম দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের নাম্বার সেভ করে রেখেছিল। যখন সেই নাম্বার থেকে কল আসতো তখন আন্টি গিয়ে ফোনটা উনার মেয়েকে দিয়ে আসতেন 😅। একদিন এমন হয়েছে সেই বান্ধবীটাও সেদিন ওদের বাড়িতে এসেছে আর এই সময় ফোন কলটাও এসেছে। এরপর তো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কতই না চেষ্টা করেছে আমার সেই বেচারা বান্ধবী। কিন্তু বাকিটা ইতিহাস।😅😅
আমি কয়েক বছর আগে রাতে বাইক এক্সিডেন্ট করছিলাম তো আমার শরীরের কয়েক জায়গা বেশ ভালোই কেটে গিয়েছিলো। অনেক ভয়তে ভয়তে বাড়িতে এসে "শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে" মা-বাবাকে বললাম যে, তেমন একটা কিছুই হয় নাই আমার হালকা লেগেছে। তো হালকা লাগার কথা শুনে মা-বাবার কিছু বললো না, শুধু বললো যে বাইক একটু দেখেশুনে চালালেই তো পারিস। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরের দিন শরীরের কাটার ব্যথার যন্ত্রণায় আর বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না। তখন মা বলতেছে যে, আমি কালকেই বুঝেছিলাম বেশ ভালই লেগেছে তোমার কিন্তু কালকে বললে যে, হালকা লাগেছে আজকে তো বিছানা থেকে উঠতে পারছো না। তখন আমি আর কি বলবো চুপ মেরে শুধু শুনছিলাম 😍
নতুন জামাই খেতে বসেছে। সামনে লোভনীয় অনেক আইটেম। সব বাদ দিয়ে শাশুড়ী প্রথমেই পাতে তুলে দিল পাটশাক। তারপর শাশুড়ী জিজ্ঞেস করলো,
"বাবা, শাক কেমন লাগছে?
জামাই ভদ্রতা করে বলল -ভালো!
শাশুড়ী খুশি খুশি মনে আবার পুঁইশাক তুলে দিল। জামাই নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাচ্ছে।
শাশুড়ী আবারও জিজ্ঞেস করলো, বাবা, রান্না ভালো হয়েছে তো?
জামাই ভদ্রতা করে 'হ্যাঁ' বলতেই শাশুড়ী এবার মুলোশাক তুলে দিতে গেল। জামাই চরম বিরক্ত হয়ে-
"আম্মা, শাক দিয়েই যদি মাছ ঢাকবেন তাহলে এগুলো রান্না না করলেই পারতেন, মাছগুলো শুধু শুধু আমায় দেখে কষ্ট পাচ্ছে!
আমার এক বন্ধু গার্লফ্রেন্ড এর নাম্বার Gp offer দিয়ে সেভ করছিল,যাতে বাপ মা বুঝতে না পারে।একদিন আন্টি কি কাজে ফোন হাতে নিয়েছে আর মেসেজ ও এসেছে। আন্টি দেখে, লেখে আছে লাভ ইউ।এরপর আন্টি ওরে বলে কি রে আজকাল জিপি থেকে এগুলো মেসেজ ও আসে। এরপর যে ধোলাই টা দিয়েছে আন্টি,দুই দিন বেচারা বসতে পারে নি।
বেশ ভালো আইডিয়া তো। Gp offer দিয়ে নাম্বার সেভ করে রাখলে সুবিধা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধোলাইটা খেতেই হলো।
হাহাহা গল্পটা শুনে বেশ ভালোই লাগলো দাদা 🤣 আসলে বর্তমানে জিপি সিমের ভালো অফার দেয় তো তাই আই লাভ ইউ আসে। 🤓