"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ২৬৮ [ তারিখ : ০৭-০৪-২০২৪]

গত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে। ২৬৭ তম রাউন্ড শেষে আজ ৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৬৮ তম রাউন্ড এর আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।

"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।



"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার-@aongkon



অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম- অংকন বিশ্বাস। জাতীয়তা- বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা- বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছেন। তিনি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করেন। স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার- ২০২২ সালের আগস্ট মাস-এ এবং এখন মোট ব্লগিং ক্যারিয়ারের বয়স ৫৮৬ দিন।



এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি:



"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল:

1000077050.jpg

Pixabay

ছবিটি নেওয়া হয়েছে-অংকন এর পোস্ট থেকে

"লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট গ্রামীণ জনজীবন" ( Publish: 06.04.2024 )

আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে আসার পর বেশ ভালো সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীন প্রকৃতিতে সময় কাটাতে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। কংক্রিটের ঢাকা শহরে একদমই মন বসে না আমার। তাই সুযোগ পেলেই ছুটে আসি গ্রামীন প্রকৃতিতে। গ্রামীণ প্রকৃতিতে দিনের বেলাতে সময় ভালো কাটালেও রাতের বেলাটা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এই গ্রীস্মের সময়ে আমাদের দেশে গ্রামে সব থেকে বেশি পরিমাণে লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রামের দিনের বেলায় লোডশেডিং দিলে মানুষজন বাইরের প্রাকৃতিক বাতাসেই মানিয়ে নেয়। কিন্তু রাতের লোডশেডিং দিলে গ্রামের মানুষের কষ্টের আর শেষ থাকে না।...


গ্রীস্মের সময়ে গ্রামে এমনিতেই প্রচন্ড পরিমাণে গরম থাকে তার উপরে যদি আবার প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং হয় তাহলে গ্রামের মানুষের গরমে টিকে থাকাটা কতটা কঠিন হয়ে পড়ে একবার ভেবে দেখুন!

আসলেই গরমকালে এই এক সমস্যা, লোডশেডিং হলে মনে হয় গরমে জীবনটা বেরিয়ে গেলো। বর্তমানে এখন যে পরিমানে গরম পড়ছে তাতে করে ফ্যান, এসি, কোনোটার কাছের থেকে নড়ার মতো নেই। এক মুহূর্ত ফ্যান, এসি ছাড়া থাকা যাচ্ছে না। তবে গ্রামঞ্চলের দিকে কিন্তু একটা সুবিধা আছে যে গরম অতিরিক্ত পড়লেও একটু কম অনুভূতি হয়, তার কারণ গাছপালা রয়েছে প্রচুর। গাছপালার নিচে তাও একটু শীতলতার আভাস খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু শহর অঞ্চলে এই সুবিধা একদমই পাওয়া যায় না। আমাদের কলকতার কথা যদি বলি, তাহলে মনে হয় সর্বাধিক গরম পড়ে আর এই বছরও এখন পর্যন্ত প্রচন্ড গরম পড়ছে, যা সহ্য করার মতো না। বাইরে বেরোলেই যেন ঘাম হচ্ছে প্রচুর। আমাদের এখানে শুধু লোডশেডিং হয় না বলে পারা।

তবে গ্রামের দিকে দিনের বেলা তাও মাঠে ঘাটে গিয়ে বিকেলবেলা প্রকৃতির হাওয়া গায় লাগানো যায়, আর প্রকৃতির সামান্য হওয়াটাই যেন শরীরকে পুরো শীতলতার আভাস করিয়ে দেয়। তবে আপনি যেটা বললেন প্রচুর লোড শেডিং হয়, এটা একটা আসলেই বিরক্তিকর, কারণ এই প্রচন্ড গরমে যদি একভাবে লোডশেডিং হতে থাকে তাহলে কার না খারাপ লাগবে, তখন গরমটা সহ্য করা অসম্ভব হয়ে ওঠে যেন। আর তাও যদি সেটা রাতের বেলা ঘুমানোর সময়ে হয়, তাহলে তো মেজাজ আরো গরম হয়ে যায়। আমার কথাই যদি বলি, ঘুমানো অবস্থায় যদি ৫ মিনিট এর জন্যও লোডশেডিং হয় তাও মেজাজ খারাপ হয়ে যায় গরমের যন্ত্রনায়। আর এইটা আপনার কথার সাথে একমত যে, গ্রামের দিকে তুলনামূলক একটু বেশিই লোডশেডিং হয়ে থাকে সেটা দিনে হোক বা রাতে।

আমার পিসিমণির বাসায় এসির ভিতরে থেকে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। আর এই ছোট সৌর বিদ্যুতের ফ্যানের বাতাসে ওর কিছুই হয় না সারারাত ঘুম না পেরে ছটফট করে।

এটা কিন্তু একটা সমস্যা যারা প্রতিনিয়ত এসির ভিতরে থেকে অভ্যস্ত, তাদের এসি ছাড়া থাকতে কষ্ট হয়। কারণ, একবার যার যেটাতে অভ্যস্ত তার বাইরে ফ্যানের হাওয়া তার কাছে কিছুই মনে হবে না। আর সৌরবিদ্যুৎ এ যে ফ্যান চলে তাতে আসলে সেই এনার্জি নেই ঘোরার।

প্রতিটা রাত যদি গ্রামের মানুষের এইভাবে লোডশেডিং এর ভেতর দিয়ে যায় তাহলে তাদের জীবন কতটা কষ্টে আছে ভাবতেই অবাক লাগে।

এই লোডশেডিং এর সমস্যাটা কিন্তু আসলে আজকের বলে কথা না, এইটা অনেক আগের থেকেই সমস্যা। কারণ গ্রামাঞ্চলে তুলনামূলক বিদ্যুৎ কম সাপ্লাই করে থাকে। আর এই বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার নাম থাকে না সত্যি কথা বলতে গেলে, ৪-৫ ঘন্টাও মাঝে মাঝে পার করে দেয়। আর যদি ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে তো কতদিন অফ রাখবে তার ঠিক থাকে না। আসলে বর্তমানে অনেক কিছুর উন্নতি হলেও অনেক জায়গায় এখনো এই সমস্যাগুলো রয়েই গিয়েছে।


ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner New.png

Sort:  
 5 months ago 

আমার গতকালকে করা "লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রামীণ জনজীবন" পোস্ট ফিচারর্ড আর্টিকেল করা হয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে শহরে থেকে আমরা গ্রামের মানুষদের জীবন যতটা সহজ মনে করি আসলে অতটা সহজ নয়। এমনিতেই গ্রামে গ্রীষ্মের সময়ে প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং হয় আর তার উপর যদি একটু ঝড় বাতাস হয় তাহলে দিনের পর দিন বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক উন্নতি হচ্ছে কিন্তু এখনো সেই গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা অনেকটা অবহেলিত। গ্রাম অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ সবার মুখে অন্ন তুলে দিয়েও রাতে লোডশেডিং এর জন্য ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। আমার পোস্টটি ফিচারর্ড আর্টিকেল করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ♥️♥️♥️

 5 months ago 

লোডশিডিং এর কারণে জনজীবন সত্যিই একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে পড়েছে। গরম বাড়ার সাথে সাথেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। দারুন একটি পোস্ট আজকের ফিচারড আর্টিকেল পোস্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো।

 5 months ago 

অংকন ভাইয়ের এই পোস্ট আমি পড়েছি আমার কাছে ভালো লেগেছে । উনি লোডশেডিং নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন । ঠিকই বলেছে লোডশেডিং হলে আসলে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না । বিশেষ করে রাতের দিকে ঘুমের ভিতর যদি লোডশেডিং হয় তখন তো মানুষের ঘুমটাই নষ্ট হয়ে যায় । এরকম চলতে থাকলে তো মানুষ সত্যিই অসুস্থ হয়ে যাবে । ভালো লাগলো এই পোস্টটিকে ফিচার আর্টিকেল হিসেবে নমিনেশন দেওয়া দেখে ।

 5 months ago 

লোডশেডিং এর কারণে গ্রামের মানুষের জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। গ্রামে গ্রীস্মের সময় প্রচন্ড লোডশেডিং হয় এবং তার উপরে একটু ঝড়-বৃষ্টি হলে চার পাঁচ দিন কারেন্ট থাকে না। গ্রামের মানুষ আসলে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে এই লোডশেডিং এর কারণে। বেশ দারুন একটি পোস্ট ফিচারড আর্টিকেলের জন্য সিলেক্ট করা হয়েছে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56828.09
ETH 2368.51
USDT 1.00
SBD 2.26